যুক্তরাষ্ট্রের ভেতর ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা, যুদ্ধনীতিতে ব্যয় আট ট্রিলিয়ন ডলার
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে হুমকি-ধমকির ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে এবং অনেক মার্কিন নাগরিককেই আত্মরক্ষার জন্য বন্দুক বহন করতে দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রবণতা আগের চেয়ে বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক নাগরিকই এখন দেশী-বিদেশী বিপদের আশঙ্কায় অবসর সময়ে এমন সব কাজ করছে বলে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে। ফলে যুদ্ধনীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা। খবর পার্সটুডের।
ব্রাউন ইউনিভার্সিটির দ্য কস্টস অব ওয়ারের গবেষণায় জানা যায়, যুদ্ধের জন্য আট ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করা হয়েছে, যা মার্কিন জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন এবং মানুষের একাকিত্ব ও বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি কমাতে ব্যয় করলে বড় ধরনের ইতিবাচক ফল পাওয়া সম্ভব হতো।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি সামাজিক বিষয়াদির উন্নয়ন ঘটানোকে গুরুত্ব দেওয়া না হয় এবং বাজেটের কাঠামোতে পরিবর্তন না আসে অর্থাৎ যদি যুদ্ধই অগ্রাধিকার পেতে থাকে, তাহলে মার্কিন জনগণের একাকিত্ব ও ক্রোধের আগুন গোটা দেশকেই জ্বালিয়ে দেবে। বিখ্যাত দার্শনিক হানা আরেন্ট একাধিপত্যকামী আন্দোলন সম্পর্কে বলেছেন, যারা নিজেদেরকে অক্ষম এবং বিচ্ছিন্ন মনে করে তারা এই ধরনের আন্দোলনে বেশি যোগ দেয়। আসলে ট্রাম্প এবং তার সহযোগী নেতারা মানুষের একাকিত্বের অনুভূতির সুযোগ নিয়ে একে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করেছেন।
এই পরিস্থিতি ট্রাম্পের মতো লোকদেরকে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে। এর পাশাপাশি যুদ্ধের বিশাল ব্যয় এবং বিশাল সামরিক বাজেট সবসময় সামাজিক কর্মসূচিতে বিনিয়োগ এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পরিবর্তে একাকিত্ব ও বিচ্ছিন্নতাকে উস্কে দেয়। সাপ্তাহিক ছুটিতে মার্কিনিরা শূটিং অর্থাৎ বন্দুক চালানোর অনুশীলন করছে এবং ভয়ে অনেকেই তাদের মুখম-লে ক্যামোফ্লাজ পেন্ট ব্যবহার করছে।
তারা শুধু মজা করার জন্য ক্যামোফ্লাজ পেন্ট ব্যবহার করছে না, বরং অভিবাসীদের সম্ভাব্য হুমকির বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিতেও এই কাজগুলো করছেন তারা। এসব নাগরিক শুধু রাস্তায় চলাফেরার সময় নয়, ব্যবসাসংক্রান্ত বৈঠকেও অস্ত্র নিয়ে হাজির হচ্ছে।