যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বনভোজন আয়োজনের হিড়িক
সামার সিজন আসতেই প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী বাংলাদেশী অধ্যুষিত বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে শুরু হয়ে গেল বনভোজনের হিড়িক। নিউইয়র্ক, বাফেলো, নিউজার্সি, কেলোফর্নিয়া, জর্জিয়া সহ নানা রাজ্যে নানান ব্যানারে এমন উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। তন্মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য হচ্ছে মিশিগান।এখানে মুসলিম, হিন্দু সহ নানান দেশের বিভিম্ন ধর্ম মিলিয়ে বাঙালী নারী-পুরুষ বসবাস করছে।
শুধু এক লাখেরও অধিক বাংলাদেশী নারী-পুরুষ এই মিশিগানের বিভিন্ন সিটিতে বসবাস করছেন।এমন সিজন আসলেই এই রাজ্যে মূলত বাংলাদেশীরা নানান জেলা ও উপজেলার নামে জমকালো বনভোজনের আয়োজন করে থাকেন আয়োজকরা। এতে ব্যায় করা হয় হাজারো ডলার,লাখো টাকা। লটারীর টিকেট বিক্রি করে আয় করা হয় অনেক ডলার।ফান্ড করা হয় শক্তিশালী।দেশের কয়েকটি এলাকা তাতে তালিকায় থাকলেও মূলত সিলেট বিভাগ এমন আনন্দ আয়োজনে এগিয়ে আছে।
হবিগঞ্জ জেলা ও হবিগন্জ সদর, নবীগন্জ উপজেলা, সিলেট জেলা, বিয়ানীবাজার, সুরমা, ছাতক, গোলাপগন্জ উপজেলা, সুনামগন্জ জেলা অন্যতম। তবে হবিগন্জ জেলা, সদর উপজেলা সমিতি এবং সিলেটের বিয়ানীবাজার এসোসিয়েশনের আয়োজন গুলোতেই প্রবাসী নারী-পুরুষের ঢল নামে।
মূলত সাপ্তাহিক বন্ধের দিন শনি ও রবিবারে বিভিন্ন সিটিস্থ নামকরা পার্ক গুলোতে সুসজ্জিত বিশাল মঞ্চ তৈরী করে এবং পার্ক শেট,ময়দানে সকল প্রস্তুতির মাঝে এসব বনভোজনে নানান প্রাণবন্ত আলোচনা,খোশগল্প,খেলাধূলা,ভূড়িভোজ,রাফ্রেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণ পর্ব কর্মক্লান্ত প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে মাতিয়ে তুলে আনন্দে। এ যেন প্রতিবছর এক মিলনমেলায় একে অপরকে দেখা ও কথা বলার ঐতিহাসিক সুযোগের মাধ্যম হিসেবে প্রবাসীরা মনে করেন।
এমন ধারাবাহিকতায় গত ৪ আগষ্ট রবিবার মিশিগানের ওয়ারেন সিটিস্থ হলমিছ পার্কে হবিগন্জ জেলা এসোসিয়েশন এক জমকালো বনভোজনের আয়োজন করে। এতে আয়োজক কমিটির সার্বিক তত্বাবধানে হবিগন্জের ৯টি উপজেলা ছাড়াও বিভিন্ন জেলার হাজারো প্রবাসী নারী-পুরুষ অংশ নেন।তাদের পদচারণায় সংশ্লিষ্ট পার্ক প্রাঙ্গন হয়ে উঠে আনন্দ-উল্লাসে ভরপুর এবং মিলনমেলার কেন্দ্র বিন্দু। এসময় প্রবাসীরা ভূড়ি ভোজ ছাড়াও নানান পর্বে অংশ নেন। বিশেষ করে খেলাধুলা ও রাফ্রেল ড্র-তে অংশ নিয়ে অনেকেই জিতে নেন,বিলাসবহুল গাড়ি সহ নানা মূল্যবান সামগ্রী।
আয়োজকগণের পক্ষে লুতফুর রহমান শেলু ও রব্বানী তালুকদার জনকন্ঠের এ প্রতিনিধিকে জানান,প্রতিবছর তারা এমন আয়োজন করবেন।এবারের আয়োজন আরো প্রাণবন্ত ও জাকজমক হয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশী ও বিদেশী অতিথিরাও বেজায় খুশি। তারাও সন্তুষ্ট।