যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন খনিজ চুক্তি নিয়ে যা জানা গেলো

ইউক্রেন জানিয়েছে তারা একটি প্রাথমিক চুক্তির শর্তাবলীতে সম্মত হয়েছে। যা যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদের ভাণ্ডারে প্রবেশাধিকার দেবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি আশা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রাথমিক চুক্তি আরও চুক্তির দিকে পরিচালিত করবে। তবে নিশ্চিত করেছেন যে এখনও কোনও আমেরিকান সুরক্ষা গ্যারান্টিতে একমত হয়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই চুক্তি আমেরিকান করদাতাদের যুদ্ধের সময় ইউক্রেনে পাঠানো সাহায্যের বিনিময় ফল পেতে সহায়তা করবে। সেই সাথে কিয়েভকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অধিকারও দেবে।
তবে সম্ভাব্য চুক্তির ব্যাপারে বিস্তারিত এখনও প্রকাশ করা হয়নি। বুধবার ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল বলেছেন ইউক্রেন এবং যুক্তরাষ্ট্র চুক্তির একটি সংস্করণ চূড়ান্ত করেছে।
ইউক্রেনীয় টিভির সাথে কথা বলতে গিয়ে শ্যামিহাল বলেছেন, প্রাথমিক চুক্তিতে ধারণা করা হয়েছে যে ইউক্রেনের পুনর্গঠনের জন্য একটি বিনিয়োগ তহবিল গঠন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কিয়েভ এবং ওয়াশিংটন সমান শর্তে তহবিল পরিচালনা করবে।
তিনি বলেছেন ইউক্রেন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন খনিজ সম্পদ, তেল এবং গ্যাস থেকে ভবিষ্যতের আয়ের ৫০ শতাংশ তহবিলে অবদান রাখবে এবং তহবিলটি তখন ইউক্রেনের নিজস্ব প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করবে।
জেলেনস্কিও তহবিলের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে বুধবার বিবিসিকে বলেছেন, অর্থের বিষয়ে কথা বলা এখনই সম্ভব নয়। এটা এখনও শুরু পর্যায়ে আছে।
একটি খসড়া নথির উদ্ধৃতি দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, মার্কিন আইনের অধীনে অনুমোদিত তহবিলের সর্বাধিক পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রের থাকবে, তবে পুরোটাই নয়।
খনিজ চুক্তির শর্তাবলী নিয়ে মতবিরোধ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির মধ্যে গভীরতর দ্বন্দ্বের একটি অংশ ছিল।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ৫০০ বিলিয়ন ডলার খনিজ সম্পদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রাথমিক অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, কিন্তু মিডিয়া রিপোর্ট বলছে যে এই দাবি এখন বাদ দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেন সরকারের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, চুক্তির বিধানগুলো এখন ইউক্রেনের জন্য অনেক ভালো।
মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ৩০০ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে এবং তিনি একটি চুক্তির মাধ্যমে সেই অর্থ ফেরত পেতে চান।
কিন্তু জার্মান থিঙ্ক ট্যাঙ্ক কিয়েল ইনস্টিটিউট অনুমান করেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে ১১৯ বিলিয়ন ডলার সহায়তা পাঠিয়েছে।