International

যুদ্ধবিমান হারানো নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রতিরক্ষাপ্রধান

ভারতের প্রতিরক্ষাপ্রধান শনিবার এক সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিত দিয়েছেন, চলতি মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি সংঘাতে দেশটি অন্তত একটি যুদ্ধবিমান হারিয়েছে। ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

চলতি মাসে ভারত ও পাকিস্তান চার দিনব্যাপী সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, যা ১৯৯৯ সালের পর তাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর সংঘর্ষ। ১০ মে এক যুদ্ধবিরতিতে তারা সম্মত হয়।

উভয় পক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও গোলাবর্ষণে ৭০ জনের বেশি নিহত হয়।

পাকিস্তান দাবি করে, চীনের কাছ থেকে পাওয়া যুদ্ধবিমান দিয়ে তারা ছয়টি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করেছে। ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান পাকস্তানের এই দাবি ‘একেবারেই ভুল’ বলে উড়িয়ে দেন।

তবে ভারত কোনো বিমান হারিয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের মুখে পড়লে এবার চৌহান পরোক্ষভাবে স্বীকার করেন যে তার দেশ যুদ্ধবিমান ভারত হারিয়েছে, যদিও তিনি নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা বা বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি।

সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত শাংরি-লা ডায়ালগ প্রতিরক্ষা সম্মেলনের ফাঁকে ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিমান ভূপাতিত হয়েছে কি না তা নয়, বরং কেন সেগুলো ভূপাতিত হয়েছে।’

তবে নয়াদিল্লি এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

১০ মে যুদ্ধবিরতির পর দিন ভারতের এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সব পাইলট ঘরে ফিরেছেন। আমরা এক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রয়েছি, আর ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধেরই অংশ।

একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে জানিয়েছেন, ভারতীয় মাটিতে তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়, তবে সেগুলোর ধরন বা বিধ্বস্তের কারণ জানানো হয়নি। তবে শনিবারের আগে পর্যন্ত ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো যুদ্ধবিমান হারানোর কথা স্বীকার করেনি।

ব্লুমবার্গকে চৌহান আরো বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো দিক হলো, আমরা বুঝতে পেরেছি কোথায় কৌশলগত ভুল করেছি, সেই ভুল সংশোধন করে আবার তা প্রয়োগ করেছি এবং দুই দিন পর সব যুদ্ধবিমান নিয়ে দূরপাল্লার লক্ষ্যবস্তুর দিকে হামলা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘সেগুলো কেন ভূপাতিত হয়েছিল সেটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং এরপর আমরা কী করেছি তাও।’

পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই দেশের সাম্প্রতিক সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে ২২ এপ্রিল, যখন ভারতশাসিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলা হয়। এ ঘটনাকে মুসলিম অধ্যুষিত এই বিতর্কিত অঞ্চলে গত কয়েক দশকের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। নয়াদিল্লি ওই হামলার জন্য ইসলামপন্থী জঙ্গিদের দায়ী করে। একই সঙ্গে দাবি করে, পাকিস্তান তাদের সহায়তা দিয়েছে। তবে ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

bacan4d slot toto