যুদ্ধবিরতি আর সরকার পতনের ‘ফাঁদে’ নেতানিয়াহু
গাজা উপত্যকায় আটক ইসরায়েলি পণবন্দিদের মুক্ত করে আনতে হামাসের সঙ্গে চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন লক্ষাধিক ইহুদি। তারা শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত তেল আবিবের রাজপথ অবরোধ করে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সরকারের পতন এবং নতুন নির্বাচন দেয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
চুক্তি করে পণবন্দিদের মুক্ত করে আনার দাবিতে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে প্রতি শনিবার তেল আবিবসহ সারা ইসরায়েলে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়ে আসছে। তবে গতরাতের প্রতিরোধ বিক্ষোভকে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ বলে আখ্যায়িত করেছেন এতে অংশগ্রহণকারীরা। এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি করতে এবং যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ছে। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন। যদিও নেতানিয়াহু তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তবে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক লুসিয়ানো জাক্কারা সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে বলেছেন, নেতানিয়াহু আসলে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফাঁদে পড়েছেন। একদিকে জিম্মিদের পরিবার ও সাধারণ ইসরায়েলিরা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে নেতানিয়াহুকে চাপ দিচ্ছেন। অপরদিকে তার জোট সরকারের দুই উগ্রপন্থি মন্ত্রী হুমকি দিচ্ছেন, যদি নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতিতে রাজি হন তাহলে তারা সরকার ভেঙে দেবেন।
আর যদি ওই দুই উগ্রপন্থির কারণে সরকার ভেঙে যায় তাহলে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ইতি ঘটতে পারে। এ বিষয়টি নিয়েই মূলত নেতানিয়াহু বেশি ভয় পাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ‘যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তটি দীর্ঘদিন ধরে পেছাচ্ছেন নেতানিয়াহু। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছেন যুদ্ধে জয় কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’
কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সহযোগী অধ্যাপক আরও বলেছেন, নেতানিয়াহু এখন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে গিয়ে সময় ক্ষেপণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। সঙ্গে তিনি জিম্মিদের মুক্তির ক্ষেত্রেও আরও সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। যেন তিনি আরও কিছুদিন রাজনৈতিকভাবে বেঁচে থাকতে পারেন।