যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নিতে হামাসকে বাইডেনসহ ১৬ নেতার আহ্বান
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নিতে হামাসকে আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ ইউরোপীয় ও লাতিন আমেরিকার ১৬ নেতা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার (৬ জুন) যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলকেও আপস করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
হোয়াইট হাউস থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আর কিছু হারানোর কোনো সময় নেই। তাই আমরা হামাসকে এই চুক্তি সম্পন্ন করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে প্রধান ইউরোপীয় শক্তি ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির পাশাপাশি স্পেনের নেতারাও স্বাক্ষর করেছেন। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার কারণে ইসরায়েল ক্ষুব্ধ হয়েছে। ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডে অনেক নেতাই নিন্দা জানিয়েছেন। কিন্তু আর্জেন্টিনার নতুন স্বাধীনতাবাদী নেতা ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলেছে, চুক্তিটি মেনে নেওয়ার দায়িত্ব হামাসের। তবে ইসরায়েলের নমনীয়তারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা ইসরায়েলের পাশাপাশি হামাসের নেতাদের প্রতি চুক্তি সম্পন্ন করার আহ্বান জানাই। জিম্মিদের পরিবারগুলোর পাশাপাশি বিপর্যস্ত পরিবারকে ত্রাণ দেওয়ার জন্য সমঝোতায় আসা দরকার।
এখন যুদ্ধ শেষ হওয়ার সময়। এর জন্য এই চুক্তিটি খুবই দরকারি।’
গত সপ্তাহে একটি নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করে বাইডেন বলেন, গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে ইসরায়েল আর জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস। এর পরই গাজায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি চিন্তা করা হবে।
পরিকল্পনাটি পর্যালোচনার জন্য হামাসের কাছে জমা দিয়েছে মধ্যস্থতাকারী কাতার।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনও আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনালাপের মাধ্যমে পরিকল্পনাটি জোরদার করছেন।
বৃহস্পতিবার এই বিবৃতিতে থাইল্যান্ডও স্বাক্ষর করেছে। থাইল্যান্ডের অনেক মানুষ ইসরায়েলে কাজ করেন। ৭ অক্টোবর হামাস প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে। সেই জিম্মিদের মধ্যে প্রায় ৩০ জন থাইল্যান্ডের নাগরিক ছিলেন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী অন্য দেশগুলো হলো অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া ও সার্বিয়া।
ইসরায়েলি সরকারি পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এএফপি জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় এক হাজার ১৯৪ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই ছিল বেসামরিক নাগরিক।
অপরদিকে হামাস পরিচালিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রায় ৩৬ হাজার ৬৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।