International

যুদ্ধবিরতি চুক্তি সক্রিয়ভাবে ভণ্ডুল করছেন নেতানিয়াহু

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যেকোনো সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি-পণবন্দী মুক্তি চুক্তি ভণ্ডুল করার জন্য সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। চুক্তি হলে তার সরকারের পতন হতে পারে- এমন শঙ্কায় তিনি তা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এর অংশ হিসেবে তিনি আরো দুটি নতুন শর্ত যোগ করেছেন।

তিনি তার সর্বশেষ শর্ত হিসেবে জোর দিয়ে বলেছেন যে ফিলাডেলফি করিডোর নামে পরিচিত মিসর ও গাজার মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ বাফার জোনের নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই ইসরাইলি বাহিনীর হাতে থাকতে হবে। তার অভিযোগ, এখান দিয়েই হামাস চোরাইপথে অস্ত্র আমদানি করে থাকে।

নেতানিয়াহু আরো দাবি জানিয়েছেন যে হামাসের কোনো সশস্ত্র সদস্য উত্তর গাজায় ফিরতে পারবে না।

সূত্র জানিয়েছে, ইসরাইল ইতোমধ্যেই ফিলাডেলফি করিডোরে মাটির ওপরে সেন্সর ব্যবহারের ব্যাপারে মিসরের সাথে একমতে পৌঁছেছে। এর নিয়ন্ত্রণ থাকবে ইসরাইলের হাতে। এছাড়া মাটির নিচে থাকবে মোটা প্রতিবন্ধকতা। এর ফলে ওই এলাকা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহারের পরও হামাসের পক্ষে সেখান দিয়ে অস্ত্র সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না। তাছাড়া সেখানে মিসরীয় ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের যৌথ বাহিনী মোতায়েন থাকতে পারে।

সূত্র জানিয়েছে, উত্তর গাজায় ইতোমধ্যেই হামাসের সশস্ত্র যোদ্ধা রয়েছে। ফলে তাদেরকে সেখানে ফিরতে দেয়া হবে না বলাটা রাজনৈতিক স্লোগান ছাড়া আর কিছুই নয়।

তবে সূত্র জানায়, নেতানিয়াহু এখন কেবল বেন গভিরের সমর্থন কামনা করছেন। কারণ এই চরমপন্থী ইহুদি নেতা সমর্থন প্রত্যাহার করামাত্র নেতানিয়াহু সরকারের পতন হবে। আর গভির বার বার বলে আসছেন, চুক্তি হলেই তিনি সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেবেন। এ কারণেই একের পর এক শর্তারোপ করে নেতানিয়াহু চুক্তি ভণ্ডুল করে যাচ্ছেন।

গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে আগ্রহী। তবে যুদ্ধবিরতি হতে হবে স্থায়ী। এমনকি হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফকে হত্যার চেষ্টা করার পরও আলোচনা ত্যাগ করেনি হামাস।

এদিকে নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেরার অপেক্ষা করছেন। তিনি তার দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনায় মনে করছেন যে ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরলে তার সুবিধা হবে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button