International

যুদ্ধের অবসান চান নেতানিয়াহু এবং তার জেনারেলরা

ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসনের পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখোমুখি হচ্ছে ইসরায়েল। এখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং জেনারেলরা গোপনে গাজা যুদ্ধের অবসান চান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির হারেৎজ পত্রিকা। 

এজন্য নেতানিয়াহু সবসময় যতটা সম্ভব বিকল্প রাখতে চান। তিনি উপসংহারে পৌঁছেছেন যে যুদ্ধ শেষ করার জন্য তাঁর একটি বিকল্প দরকার। কিন্তু যুদ্ধ থামানোর জন্য তাঁর উদ্দেশ্য তাঁর জেনারেলদের থেকে ভিন্ন বলে পত্রিকাটি জানায়। 

এদিকে অস্ত্রবিরতির জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করেছে ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের রাজধানীতে, জাতিসংঘে এবং তার বাইরেও বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলি এবং হামাস নেতাদের প্রস্তাবিত অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে রাজি করানোর জন্য এ যাবতকালের সবচেয়ে জোরদার কূটনৈতিক চাপ দিচ্ছে। তবে মার্কিন চাপের এক সপ্তাহ পরও এখনও বিশ্ব আশার লক্ষণ দেখতে পাচ্ছে না। 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং হামাস নেতাদের যুদ্ধবিরতিতে রাজি করতে বাইডেন গত ৩১ মে তিন ধাপবিশিষ্ট একটি প্রস্তাব দেন। এটি এখন মার্কিন কূটনীতির পরীক্ষায় পরিণত হয়েছে। 

মার্কিন কূটনীতিকরা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির জন্য একটি প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন চীন ও রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করছে। যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য গাজায় আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে অষ্টম দফায় সফরের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে পাঠাচ্ছেন বাইডেন।
 
সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস এবং বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্যের উপদেষ্টা ব্রেট ম্যাকগার্কও চুক্তিটির পক্ষে সমর্থন জোগাড় করতে ওই অঞ্চলে সফর করেছেন। সাতটি শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতির দেশ জি-৭ বাইডেনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। 

তবে মার্কিন প্রচেষ্টা ইসরায়েলের রাজনৈতিক সমীকরণ পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। নেতানিয়াহুর ডানপন্থি জোটের অংশীদাররা হুমকি দিয়েছেন, বাইডেনের রূপরেখা নেতানিয়াহু গ্রহণ করলে সরকারের পতন ঘটাবেন তারা। শনিবারই ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গানৎজের পদত্যাগের কথা। 

হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওসামা হামদান এ সপ্তাহে বৈরুতে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাইডেনের ঘোষণা ‘ইতিবাচক’ কিন্তু স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে ইসরায়েলি সৈন্যদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বন্দি বিনিময়ের গ্যারান্টি ছাড়া তারা কোনো চুক্তি মেনে নেবে না। 

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button