International

যুদ্ধের অর্থায়নে বেকায়দায় পড়বে রাশিয়া

রুশ জ্বালানি খাত ও তাদের কথিত গোপন ট্যাংকারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। দুই দেশের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। 

শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জেলেনস্কি বলেছেন, নতুন নিষেধাজ্ঞায় যুদ্ধের অর্থায়নে বেকায়দায় পড়বে রাশিয়া।খবর বিবিসির। 

জেলেনস্কি আরও বলেছেন, মার্কিন পদক্ষেপের ফলে রাশিয়ার পুরো সাপ্লাই চেইনে ব্যাঘাত ঘটবে। ফলে মস্কোর যুদ্ধ চালানোর জন্য আর্থিক ভিত্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আয়ে আঘাত হানতে শুক্রবার কঠোরতম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ ঘোষণা করে মার্কিন প্রশাসন। 

বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়ার জ্বালানি খাত দেশটির যুদ্ধে অর্থায়নের সবচেয়ে বড় রাজস্ব উৎস, সেটিকে লক্ষ্য করেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় রুশ কোম্পানি গ্যাজপ্রম নেফট, সারগুটনেফতেগ্যাস এবং ১৮৩টি তেলবাহী জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। 

এর আওতায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে ১২ মার্চ পর্যন্ত তাদের জ্বালানিসংশ্লিষ্ট লেনদেন শেষ করার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। তবে রুশ তেলের প্রধান ক্রেতা ভারত ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে বড় ধরনের ব্যাঘাত সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে দেশটি মাসিক কয়েক বিলিয়ন ডলারের রাজস্ব হারাবে বলে ধারণা মার্কিন কর্মকর্তাদের। 

এরপর এক্সে লেখা আরেক পোস্টে রুশ তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার জন্য ব্রিটেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি। 

তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে আগ্রাসন অব্যাহত রাখতে পুতিনের অর্থায়ন করার সক্ষমতায় সার্থক একটি আঘাত হেনেছে লন্ডন। 

তিনি আরও বলেছেন, যুদ্ধে অর্থায়ন অব্যাহত রাখতে রুশ তেল বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম ছিল গোপন তেলবাহী জাহাজের মাধ্যমে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া। তাদের এই প্রচেষ্টায় ব্যাঘাত ঘটাতে যুক্তরাজ্যের পদক্ষেপকে আমরা সম্মান জানাই। 

এদিকে অব্যাহত রয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের লড়াই। ইউক্রেন একাধিক ড্রোন হামলা চালিয়ে রাশিয়ার তামবভ অঞ্চলে দুটি আবাসিক ভবন আঘাত করেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। 

তামবভ অঞ্চলের প্রধান ইভগেনি পেরভিশভ শনিবার টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে বলেছেন, কোতোভস্ক শহরে দুটি ভবনে ড্রোন হামলার কারণে জানালা ভেঙে আহত কয়েকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মস্কো থেকে প্রায় ৪৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এই শহর। পেরভিশভ আরও জানান, ভবনগুলোতে সামান্য ক্ষতি হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পৃথকভাবে জানিয়েছে, রাতে ইউক্রেনের ৮৫টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩১টি কৃষ্ণ সাগরের ওপর, ১৬টি ভোরোনেজ ও ক্রাসনোডার অঞ্চলে এবং ১৪টি আজভ সাগরের ওপর প্রতিহত করা হয়েছে। এই ঘটনাগুলো নিয়ে ইউক্রেন তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button