যে কারণে পাকিস্তানকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের
তিন দিনের সফরে পাকিস্তানে রয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তার এই সফরে ইসলামাবাদের সঙ্গে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে।
পাকিস্তান সফর এখনও শেষ হয়নি রাইসির; কিন্তু এর মধ্যেই ইসলামাবাদকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে ওয়াশিংটন।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘কেউ যদি ইরানের সঙ্গে কোনো প্রকার বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী হয়, সেক্ষেত্রে এ সম্পর্কিত কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা।’
ওই মুখপাত্র আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র শুধু পাকিস্তানের বৃহত্তম রপ্তানি বাজারই নয়, বরং দেশটির অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ।
‘গত ২০ বছর ধরে আমরা পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী। তাই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সাফল্য এক অর্থে আমাদেরও সাফল্য, এবং আমরা এই অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে চাই।’
‘আরেকটি কথা আমি (পাকিস্তানকে) স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কিন্তু ঢালাও নিষেধাজ্ঞা।’
এমন এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের এই সতর্কবার্তা এলো, যখন অর্থনৈতিক সংকটে টালমাটাল পাকিস্তান বৈদেশিক বিনিয়োগ ও সহায়তার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে এবং এক্ষেত্রে বড় সম্ভাবনা হয়ে এসেছে ইরান।
তাছাড়া পাকিস্তান সবসময়েই ইরানকে ভাতৃসুলভ দেশ বলে মনে করে। চলতি বছরের জানুয়ারির দিকে দ্বন্দ্বে জড়ালেও প্রতিবেশী এ দু’দেশ শিগগিরই তা মীমাংসাও হয়ে যায়।
এদিকে পাকিস্তানের সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে তেহরানের সঙ্গে বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি এবং বিচার বিভাগ সংক্রান্ত অন্তত ৮টি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইসলামাবাদ। ইব্রাহিম রাইসি ইরানে ফিরে যাওয়ার আগে আরও কয়েকটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে।