যে কারণে ভেঙে যেতে পারে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধবিরতি

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, পাকিস্তান ও ভারতে মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি যে কোনো সময় ভেঙে যেতে পারে ।
মার্কো রুবিও বলেন, যুদ্ধবিরতির সবচেয়ে বড় জটিলতা হলো সেটি বজায় রাখা। প্রতিদিন আমরা খেয়াল রাখছি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কী ঘটছে। রবিবার (১৬ আগস্ট) মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসি নিউজে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে রুবিও এসব কথা বলেন।মার্কো রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই প্রতিবেশী পরাশক্তির মধ্যে সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘাত এড়াতে ভূমিকা রেখেছেন। এ কথার মাঝেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অস্ত্রবিরতি তখনই কার্যকর হয় যখন উভয়পক্ষ গুলি চালানো বন্ধে রাজি হয়।
কিন্তু রাশিয়া এখনো তাতে সম্মত হয়নি। তবে লক্ষ্য কেবল অস্ত্রবিরতি নয়, বরং এমন এক শান্তিচুক্তি যা বর্তমানেও যুদ্ধ রোধ করবে এবং ভবিষ্যতেও সংঘাত এড়াবে।
ফক্স বিজনেসকে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে রুবিও আবারও ট্রাম্পের দাবির প্রতিধ্বনি করে বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে, আমাদের একজন প্রেসিডেন্ট আছেন যিনি শান্তিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
আমরা তা দেখেছি কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে, রুয়ান্ডা ও কঙ্গোতে। বিশ্বজুড়ে যেখানে সুযোগ পাওয়া যায় আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাব।’
এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১০ মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান ‘তাৎক্ষণিক পূর্ণাঙ্গ’ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে।
এরপর থেকে প্রায় ৪০ বার তিনি বলেছেন যে, তিনি ভারত-পাকিস্তান সংঘাত মিটিয়ে দিয়েছেন এবং দুই দেশকে আশ্বস্ত করেছেন, সংঘাত থামালে আমেরিকা তাদের সঙ্গে বড় অঙ্কের বাণিজ্য করবে। অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে গত মে মাসে সংঘাত নিয়ে নতুন তথ্য দিল পাকিস্তান।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন রাজা নাকভি দাবি করেছেন, তাদের হাতে ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্রগোষ্ঠীর হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও স্থানীয় একজন ঘোড়াচালক নিহত হন।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েন চরমে পৌঁছায়। সে সময়ে নয়াদিলি অভিযোগ করে, পেহেলগাম হামলার সঙ্গে ইসলামাবাদের যোগসূত্র রয়েছে। ইসলামাবাদ দৃঢ়ভাবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল।