যে কারণে ৩ দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা
ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসকে অর্থনৈতিক, সামরিক ও কৌশলগত সহায়তা প্রদানের অভিযোগে ৩ দেশের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের ফেডারেল আদালতে। দেশ তিনটি হলো— ইরান, সিরিয়া এবং উত্তর কোরিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইসরায়েলপন্থি সংস্থা অ্যান্টি ডিফেমেশন লীগ (এডিএল) গতকাল সোমবার বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বছরের পর বছর ধরে হামাসকে আর্থিক, সামরিক এবং কৌশলগত সহায়তা দিয়ে আসছে এই তিন দেশ।
মামলা করার পর এক বিবৃতিতে এডিএলের শীর্ষ নির্বাহী জোনাথন গ্রিনব্লাট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইহুদিবিদ্বেষ এবং সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক ইরান। দেশটির সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে ছড়ানো বিশ্বজুড়ে হচ্ছে ইহুদিদের প্রতি ঘৃণামূলক মনোভাব এবং সন্ত্রাস; আর এক্ষেত্রে বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো ইরানের পাশে রয়েছে সিরিয়া ও উত্তর কোরিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গণহত্যার পর থেকে এ পর্যন্ত ইহুদিদের লক্ষ্য করে যত হামলা হয়েছে, প্রতিটির পেছনে এই তিন দেশের মদত ছিল।’
মামলায় এই তিন দেশের কাছে মোট ৪০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে এডিএল।
মামলার পর এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে ইরান, সিরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, কিন্তু কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাস যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার পর এই গোষ্ঠীটিকে চিরতরে নিষ্ক্রীয় করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই অভিযান এখনও চলছে।
৭ অক্টোবরের হামলায় হামাস যোদ্ধাদের নির্বিচার গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৯০০ জন ফিলিস্তিনি। নিহততের ৫৬ শতাংশই নারী এবং শিশু।
তবে শত শত হামাস যোদ্ধাও নিহত হয়েছেন এই অভিযানে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, গোষ্ঠীটির সামরিক শক্তি অর্ধেকে নেমে এসেছে।
২০০৭ সাল থেকে গাজায় ক্ষমতাসীন হামাস মতাদর্শগতভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্র ধ্বংসের পক্ষে।