Bangladesh

যে ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে দেশের সার্বভৌমত্বের ভিত, পিলখানা হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্ত দাবি

‘আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া/করিতে পারিনি চিৎকার/ বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার’ (হায়দার হোসেন)। পিলখানা হত্যাযজ্ঞের দৃশ্য দেখে হায়দার হোসেনের মতোই বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ, কেঁদেছে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। দিল্লির নাচের পুতুল শেখ হাসিনা পালানোর পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছে। হাসিনা ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে রয়েছে। সবদিকে পরিবর্তনের হাওয়া। এতে সামনে চলে এসেছে পিলখানা হত্যাকাণ্ড রহস্য উদঘাটনের দাবি। ফখরুদ্দিন-মঈন উ আহমদের অনুকম্পায় নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। এ বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন শহীদ হন। ওই বিদ্রোহের সময় নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ড, মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের তৎপরতা ছিল রহস্যজনক। শুধু তাই নয়, হত্যাযজ্ঞ নিয়ে সরকারের শীর্ষ স্থানীয় নেতার কথাবার্তা, তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ, বাহিনীর প্রধানের পদে বিশেষ ব্যক্তিকে নিয়োগ এবং পরবর্তীতে যাবতীয় কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক হয়েছে; রহস্যের ডালপালা ছড়িয়েছে। সবার প্রশ্ন সেনা বিদ্রোহে হত্যাকাণ্ডের রহস্য কি? নতুন সরকার ক্ষমতায় আসায় সে দাবি জোড়ালোভাবে উচ্চারিত হচ্ছে। গতকাল বিডিআর বিদ্রোহে শহীদ সেনাদের সন্তানরা সংবাদ সম্মেলন করে ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন।

রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শহীদ সেনা সদস্যদের স্বজনরা বলেছেন, ১৫ বছর ধরে আমাদের একটাই দাবি, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। একটা স্বচ্ছ বিচার হোক। বিগত সরকার তদন্ত ও বিচার নিয়ে লুকোচুরি করেছে। আমরা এ বিষয়ে আর লুকোচুরি চাই না। সরকারের পক্ষ থেকে চাপ দিয়ে আমাদের মুখ বন্ধ করা হয়েছিল। বাধার মধ্যে ১৬ বছর পার করেছি। বিডিআরের সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া বলেছেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলুল করিম সেলিম সরাসরি জড়িত পিলখানা হত্যাকাণ্ডে জড়িত। পৃথিবীর ইতিহাসে একজন সিটিং প্রধানমন্ত্রী একটি বিদেশি রাষ্ট্রের (ভারত) সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে দেশের সেনা অফিসারদের হত্যা করেছেন। পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিচারের নামে ১৫ বছরে যা তদন্ত হয়েছে, তা আমরা মানি না। কারণ, পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের যে নির্দেশ দিয়েছেন, তিনি (শেখ হাসিনা) তখন ছিলেন গণভবনে।

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে যে সেনা হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসলীলা হয়েছে তা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ভীত নাড়িয়ে দিয়েছে। ওই ঘটনার পর দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কার্যত প্রতিবেশী দেশের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
ওই ঘটনার পর বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে বিজিবি রাখা হয়। কিন্তু পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে গোটা রাষ্ট্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিবেশী দেশ ভারতের তাবেদারে পরিণত হয়ে গেছে। সীমান্তে বিজিবি প্রহরা দিয়েছে কার্যত নতজানু হয়ে। সে সুযোগ নিয়ে বিএসএফ বীরদর্পে সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার মহোৎসব করেছে।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সময়ের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ও কয়েকজন মন্ত্রী ও নেতার আচরণ, কিছু তাবেদার সাংবাদিক ও অনুগত গণমাধ্যমের প্রচারণায় জনমনে রহস্যময়তার জন্ম দেয়। বিদ্রোহী বিডিআরের নেতৃত্ব দেয়া নেতাদের প্রধানমন্ত্রীর বাসা যমুনায় ডেকে এনে আপ্যায়ন করার ঘটনায় প্রথম থেকেই রহস্য ও সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় অবসরে যাওয়া পুলিশ অফিসার কাহার আখন্দকে। কাহার আখন্দ দিল্লির অনুগত ব্যক্তি। তিনি অবসর থেকে ফিরিয়ে এনে ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি চুক্তি ভিক্তিক নিয়োগ দেয়া হয় তাকে। এই কাহার আখন্দ ২০২০ সালের অবসরে যান এবং ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের নৌকার নমিনেশন পান। ওই সময় (বর্তমানে বিতর্কিত) অবসরে যাওয়া সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদকে বিডিআরের মহাপরিচালকের দায়িত্বে বসানো হয়েছিল। আজিজ আহমেদের পরিবারের পরিচিতি সবার জানা।

১৫ বছর আগে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের পেছনের রহস্য এখনো দেশের মানুষের অজানা। পিলখানায় শহীদ মেজর জেনারেল মরহুম শাকিল আহমেদের পুত্র সংবাদ সম্মেলনে ‘হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত’ ইংগিত করে যে অভিযোগ তুলেছেন ঘটনার পরপরই এ ধরনের অভিযোগ এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন দেশের সামরিক বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ওই সময় বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছিলেন এই বলে যে, বড়ইবাড়ি সীমান্তের প্রতিশোধ নিতে ভারত পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। ২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি উপজেলার বড়াইবাড়ি সীমান্তে (অন্যদিকে আসাম রাজ্যের সীমান্ত) রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১৮ জন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী (বিএসএফ) নিহত হয়। সারাবিশ্বে এ নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল।

পিলখানা বিদ্রোহের আগে বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যরা উচ্চ পদস্থ পদগুলো থেকে নিয়মিত সেনা কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারসহ ২২ দফা দাবি উত্থাপন করেছিলেন। পরিবর্তে, তারা চেয়েছিলেন বিডিআর সদস্যদের মধ্য থেকে পদোন্নতি দিয়ে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা করতে হবে। কিন্তু সেটা নিয়ে আলোচনার বদলে চললো তাণ্ডবলীলা। পিলখানা হত্যাযজ্ঞের সময় বিডিআর সদর দফতরের সামনে সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা হয়েছিল। অথচ সেনা বাহিনীকে বিদ্রোহ দমনের নির্দেশ দেয়া হয়নি। কেন নির্দেশ দেয়া হয়নি সেটাও রহস্যজনক। প্রশ্ন হচ্ছে ওই সময় কি পিলখানায় সেনা অফিসারদের হত্যাকারীদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছিল? রাতের আঁধারে কাদের পিলখানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছিল সে রহস্য এখনো অজানা।

বিডিআর বিদ্রোহের নামে মহাপরিচালক শাকিল আহমেদসহ কয়েক ডজন বিডিআর সিনিয়র কমান্ডারকে (সেনা সদস্য) প্রথম দিনেই হত্যা করা হয়। অতঃপর ডিআইডি তৌহিদের নেতৃত্বে হত্যাকারীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যমুনায় যান। এর আয়োজন করে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক। সেখানে তাদের গ্রেফতার করা হয়নি। হত্যাযজ্ঞে বিপুল পরিমাণ সেনা অফিসার নিহতের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের জন্য সাধারণ ক্ষমার প্রস্তাব দেন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নানা ধরনের প্রশ্ন ভাসছে। নেটিজেনরা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করছেন। তারা নতুন করে পিলখানা হত্যাকাণ্ড তদন্ত এবং দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন। নেটিজেনদের প্রশ্ন পিলখনা হত্যাকাণ্ডের আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কি গোয়েন্দা তথ্য পাঠানো হয়েছিল; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন ২৬ ফেব্রুয়ারির পিলখানার ডিনারে যেতে অস্বীকার করেছিলেন; ২৬ ফেব্রুয়ারি কার নির্দেশে পিলখানার আশপাশের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে বলা হয়; বিডিআর সদর দফতরের ৫ নম্বর গেট কেন খোলা রাখা হয়েছিল; প্রধানমন্ত্রী কেন ঘটনা জানার ৪ ঘণ্টা পর সেনাবাহিনীকে অভিযানে না নামিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং মির্জা আজমকে দায়িত্ব দেন; সেনা অফিসারদের হত্যাকাণ্ডের পর বিদ্রোহীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেন, যমুনায় বিদ্রোহীদের প্রবেশের সময় নাম-ঠিকানা কেন তালিকা হয়নি; প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বিদ্রোহীদের নেতা ডিএডি তৌহিদ জানিয়েছিলেন বিডিআর ডিজিসহ কয়েকজন অফিসার নিহত হয়েছে-এ তথ্য কেন ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত গোপন করা হলো; বাংলাদেশ টেলিভিশন সেদিন বিদ্রোহের ঘটনা কেন প্রচার করেনি; অথচ ঘটনার আগে বেসরকারি টিভির এক নারী সাংবাদিক নিউজ সংগ্রহের জন্য আশপাশে কেন অপেক্ষা করছিলেন, তিনি কার কাছে খবর পেয়েছেন যে পিলখানায় বিদ্রোহ হবে; বিদ্রোহীরা কেন প্রধানমন্ত্রীকে ‘আমাদের নেত্রী’ বলে সম্বোধন করেছিল; ‘জয় বাংলা’ স্নোগান দিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল; আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন খান আলমগীর কেন ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন; ঘটনার পর থেকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কেন লুকিয়ে ছিলেন; ফজলে নূর তাপস ঘটনার আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীর সঙ্গে কেন ঘন ঘন বৈঠক করেছেন; মন্ত্রী ফারুক খান কেন বলেছিলেন আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীতে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে, তারাই বিদ্রোহ করেছে; পুলিশের আইজিকে তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে দূরে সরিয়ে রাখার হয়েছিল? বিডিআর সদর দফতরে সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীকে অভিযান চালাতে দেয়া হয়নি কেন? এ রকম অসংখ্য প্রশ্ন রয়ে গেছে।

গতকাল মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শাকিলের পুত্র রাকিন বলেছেন, রাকিন আহমেদ ভূইয়া বলেন, এক আওয়ামী লীগ নেতা ফোন করে আমাকে বলেছিলেন, ওনার নেত্রী (শেখ হাসিনা) আমার বাবা-মাকে জবাই দিয়েছেন। যদি বেশি বাড়াবাড়ি করি তাহলে বাবা-মার মতো আমাকেও জবাই দিয়ে দেবে। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই, যেখানে রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) অন্য একটা বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে রাজধানীতে ৫৭ সেনা অফিসারকে হত্যা করে। গত ১৫ বছরে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের ট্রায়াল বা তদন্ত আমরা মানি না। কারণ প্রধান যে হত্যাকারী, নির্দেশদাতা তিনি তখন ক্ষমতায় ছিলেন। খুনি কি তার নিজের বিচার করবে? মুখ বন্ধ করে দেখতে হয়েছে, কেমন করে তদন্ত, ট্রায়াল প্রভাবিত করল, ডাল-ভাতের কথা বলল। নীরবতায় সহ্য করতে হয়েছে।

কর্নেল নাহিদের মেয়ে নাবিলা বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি আন্তর্জাতিক চক্রের কাজ। আন্তর্জাতিক শক্তির দ্বারাই কাজটি করা হয়েছে। আপনারা বের করবেন আসল কারণ। এটা বিদ্রোহ নয়, এটা হত্যাকাণ্ড, পরিষ্কার হত্যাকাণ্ড। আমার বাবা মারা যাননি। হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। কিছু অপপ্রচারের জন্য আমরা হেনস্থা হয়েছি। এত দিন ভয়ে কথা বলিনি, আজ নির্ভয়ে কথা বলছি।’ মেজর মোসাদ্দেকের মেয়ে নাজিয়া বলেছেন, ‘আমাদের কষ্টের কথা যদি বলি, একই পরিস্থিতিতে এখনও যাচ্ছি। কষ্ট দূরে হয়ে যায়নি। এর পেছনে অনেক ঘটনা ছিল। আমরা তো আমাদের স্বজনদের হারিয়ে ফেলেছি। মানুষ জানুক, এই হত্যাকাণ্ড কারা করেছে। কেন এত বছর পরও আমাদের মুভমেন্টে বাধা হয়।’

৭ দফা দাবি : এক. পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সত্য উদঘাটনের ক্ষেত্রে আমরা শহীদ পরিবার মনে করি যে আগে যেসব তদন্ত হয়েছে, সেসব তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। দুই. ন্যায়বিচারের আলোকে আমরা শহীদ পরিবার মনে করি যে হাইকোর্ট ডিভিশনের রায় মোতাবেক তিন জন জজ যে ইনকোয়ারি কমিশন গঠতের কথা বলেছেন, অবিলম্বে সেই ‘ইনকোয়ারি কমিশন’ গঠন করতে হবে। এতে আমরা মনে করি যে পর্দার আড়ালে রয়ে যাওয়া ষড়যন্ত্রকারীদের নাম বেরিয়ে আসবে। তিন. অফিসিয়াল গ্যাজেট করে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ সেনা দিবস হিসেবে ঘোষণা করতে হবে এবং গেজেটে শাহাদাতবরণকারী সবাইকে শহীদের মর্যাদা দিতে হবে। চার. ২৫ ফেব্রুয়ারি শোক দিবসকে ঘিরে দেশজুড়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখতে হবে। পাঁচ. এই নৃশংস বর্বর পিলখানা ট্র্যাজেডিকে স্কুলের পাঠ্যবইয়ের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এতে আগামী প্রজন্ম জানতে পারবে কী ছিল এসব শহীদের ত্যাগ। ছয়. এ ঘটনাকে ঘিরে যেসব সেনা কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন, তাদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে অথবা যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এবং সাত. নির্দোষ কোনও বিডিআর জওয়ানকে যেন কোনোভাবেই সাজা না দেয়া হয়।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
Situs Toto
toto togel
slot toto
Toto slot gacor
bacan4d
totoslotgacor
bacan4d
bacan4d slot gacor
bacan4d login
Bacan4d
bacan4d
bacan4d bonus
Toto gacor
Toto gacor
slot gacor hari ini
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d link alternatif
slot gacor bett 200
situs toto
SITUS TOTO
toto 4d
toto gacor
Slot Toto
Slot Toto
Slot Toto
Situs toto
Slot toto
Slot Dana
Slot Dana
Judi Bola
Judi Bola
Slot Gacor
toto slot
bacan4d toto
bacan4d akun demo slot
bacantogel
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacantoto
bacan4d
Bacan4d Login
slot demo
Bacan4d Toto
toto gacor
Slot Gacor
Live Draw
Live Draw Hk
toto slot
Bacan4d slot gacor
toto macau
toto slot
Toto Gacor
slot dana
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
Slot Dp Pulsa
Bacan4d Login
toto slot
Bacansports/a>
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
slot gacor
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
slot demo
toto slot gacor
bacansports Slot toto toto slot Slot toto Slot dana Slot toto slot maxwin slot maxwin toto slot toto slot slot dana
Toto Bola
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
bacan4d
ts77casino
situs toto
slot pulsa
bacansports
situs toto
slot toto
situs toto
slot toto
situs toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansports
slot toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
situs toto
situs toto
xx1toto
toto slot
xx1toto
xx1toto
slot qriss
Slot Toto
slot dana
situs toto
slot toto
slot dana
Situs Toto Slot Gacor
xx1toto
xx1toto
bacan4d
xx1toto
xx1toto
toto slot
situs toto slot gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
situs toto
Slot Toto
Toto Slot
Slot Gacor
Slot Gacor
Slot Gacor
slot toto
Toto Slot
slot gacor
situs togel
Toto Slot
bacan4d
bacan4d