রাশিয়ার চেয়ে অর্ধেক খরচে মহাকাশে পৌঁছালো ভারত
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণের পর নতুন ইতিহাস গড়েছে ভারত। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে সফল অবতরণকারী দেশও তারা। চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে অবতরণ করার পর আলোচনায় কীভাবে দেশটি এত কম খরচে মহাকাশ অভিযান পরিচালনা করতে পেরেছে?
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের এই চন্দ্রাভিযানে মোট খরচ হয়েছে ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অপরদিকে রোববার চাঁদে বিধ্বস্ত হওয়া রাশিয়ার চন্দ্রযান লুনা-২৫ এর খরচ ছিল ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তুলনা করলে প্রমাণ হয় ভারত রাশিয়ার থেকে অর্ধেকেরও কম খরচে একটি সফল ল্যান্ডিং উপহার দিয়েছে বিশ্বকে।
ভারতীয় মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের পূর্ববর্তী চাঁদ ও মঙ্গল মিশনগুলোও অল্প খরচে পরিচালিত হয়েছিল। এর সম্পূর্ণ কৃতীত্ব ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর। ‘পণ্যের অপচয়’ সংস্থাটি বিশেষ প্রচেষ্টার দিকে সবসময় নজর দিয়েছে।
কেন ভারতের মঙ্গল মিশনে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও কম খরচ হয়েছে, এ প্রশ্নের ব্যাখ্যায় যুক্তরাজ্যের মহাকাশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক অ্যান্ড্রু কোটস বিবিসিকে বলেন, ভারত মঙ্গলযানটি ১৫ কেজির মধ্যে রেখেছে। যার কারণে তারা ছোট করে সফল মিশন পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছে।
ইসরোর সিনিয়র বিজ্ঞানীরা বিবিসি তামিলকে বলেছেন, ভারতের উৎক্ষেপণ খরচ এখনও কম হতে পারে কারণ দেশটি দক্ষিণ রাজ্য তামিলনাড়ুর কুলাসেকারাপট্টিনমে একটি নতুন মহাকাশবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। নির্মাণ সম্পন্ন করতে পারলে মহাকাশযান উৎক্ষেপণের জন্য এটি হবে আদর্শ স্থান এবং পাশাপাশি পরিবহন খরচ অনেক কমে যাবে।