International

রাশিয়া-ইরানের বন্ধুত্ব টিকবে কতদিন

দীর্ঘদিন পরে থাকা চুক্তি চূড়ান্ত করেছে রাশিয়া ও ইরান। ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক চাপের মুখে সম্পর্ক জোরদার করেছে দুই দেশ। গতকাল শুক্রবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০ বছরের সহযোগিতা চুক্তিতে সই করেছেন। এই চুক্তির ফলে উভয় দেশের মধ্যে সামরিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে। নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়, এমন কোনো কাজে উভয় দেশ তাদের ভূখন্ড ব্যবহার করতে দেবে না। বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করতে ইরান ও রাশিয়া একে অন্যকে সহযোগিতা করবে।

এই চুক্তি সই করতে উভয় দেশ বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা করছে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটের ফলে এ চুক্তি দ্রুত সই করলো রাশিয়া-ইরান। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে- রাশিয়া-ইরানের বন্ধুত্ব টিকবে কতদিন?

ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ভূ-রাজনৈতিক চাপে পড়েছে রাশিয়া। ইরানের পর মস্কোও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের বেশ কয়েকটি মিত্রের ওপর ইসরায়েলের হামলায় দুর্বল হয়ে পড়েছে দেশটি।

ডিসেম্বরের শুরুতে বাশার আল আসাদের পতনের পর আরও চাপে পড়েছে মস্কো ও তেহরান। উভয় দেশ তাদের প্রধান মিত্রকে হারিয়েছে, ফলে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তাদের শক্তি অনেকটাই কমে গেছে। ফলে এ চুক্তি সই তাদের জন্য অবধারিত হয়ে পড়েছে। মস্কো ও তেহরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। এর প্রতিফলন দেখা যায়, পেজেশকিয়ানের মস্কো সফরে কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি সই।

দ্বিপাক্ষিক চুক্তিটি শুধুমাত্র ইউক্রেন ও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সহযোগিতা নয়, এটি উত্তর-দক্ষিণ করিডোর তৈরি করে এশিয়া থেকে রাশিয়ায় বাণিজ্য সহজ করতে মস্কোর একটি উদ্যোগ। ফলে সুয়েজ খাল বাল্টিকের মতো ভূ-রাজনৈতিক চেকপয়েন্টগুলো এড়িয়ে ইরান, আজারবাইজান ও কাস্পিয়ান সাগরের মধ্য দিয়ে একটি বাণিজ্যিক পথ তৈরি হবে।

সিরিয়ার ভূমিকা কী

সিরিয়ায় ২০১১ সালের যুদ্ধের শুরুর সময় থেকে দামেস্কের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব ছিল মস্কো ও তেহরানের। রাশিয়া ভূমধ্যসাগরজুড়ে শক্তিবৃদ্ধি করার জন্য ১৯৭১ সালে টার্টাউসে নৌঘাঁটি স্থাপন করে। সিরিয়ার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বাশার আল আসাদকে সহায়তা করার জন্য ২০১৫ সালে খমেইমিম বিমান ঘাঁটি তৈরি করে রাশিয়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই বিমান ঘাঁটি আফ্রিকায় অভিযান পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা আধিপত্যে বাধা দিতে ১৯৮০ সালের ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় তেহরান ও দামেস্কের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হয়। লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর অস্ত্র সরবরাহ করতে সিরিয়া গুরুত্বপূর্ণ পথ হিসেবে ব্যবহার হয়। ২০১৫ সালে সিরিয়ায় আসাদবিরোধীদের ঠেকাতে ইরান ও রাশিয়া কৌশলগতভাবে একত্রিত হয়েছিল। সেই সময় রাশিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপ ও ইরানসমর্থিত মিলিশিয়াদের ভূমিকা আসাদকে তার পতন হতে রক্ষা করে।

‘রাশিয়া ও ইরানের সম্পর্ক সেই সময় থেকে বাড়তে থাকে’, আল জাজিরাকে এ কথা বলেছেন রাশিয়ার আন্তর্জাতিকবিষয়ক কাউন্সিলের একজন অনাবাসিক বিশেষজ্ঞ কিরিল সেমেনভ। তিনি বলেন, ‘২০২০ সালের পর সিরিয়ার ঘটনায় অল্প প্রভাব পড়ে রাশিয়া ও ইরানের সম্পর্কে, যা নতুন দিগন্তের সূচনা করে। এরপর থেকে উভয় দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা, অর্থনৈতিক বন্ধন আরও দৃঢ় হয়। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেহরান ও মস্কো অর্থ লেনদেন ও জ্বালানি চুক্তি করে। এছাড়া ইরান রাশিয়ার উত্তর ও দক্ষিণে পণ্য পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ করিডোর হিসেবে ব্যবহার হতে থাকে। ভৌগলিকভাবে ইরান রাশিয়ার পণ্য পরিবহনে ট্রানজিট হাব, যা এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথ।

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ইরানের ড্রোন ব্যবহার উভয় দেশের সম্পর্কে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যের ফলে মস্কোর সঙ্গে তেহরানের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।

২০০৩ সালে ইরান উদীয়মান অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসে যোগ দেয়। এটি একটি সহযোগিতামূলক প্ল্যাটফর্ম। ইরান এর মাধ্যমে বহুমুখি অর্থনৈতিক ব্লকে যোগ দেওয়ার জন্য নজর দিতে থাকে। বিশেষজ্ঞ কিরিল সেমেনভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সম্প্রসারণবাদী পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বহুমুখী বিশ্ব গড়ে তুলতে রাশিয়া-ইরান পরস্পরকে সহযোগিতা করে। এমন ভাবনা থেকেই তারা জোটবদ্ধ হয়।

জার্মান ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্সের ভিজিটিং ফেলো হামিদ্রেজা আজিজি বলেন, অভিন্ন শত্রুর কারণেই ইরান ও রাশিয়া একে অপরের আরও ঘনিষ্ঠ হয়।

তিনি বলেন, উভয় দেশই তাদের কৌশলগত কারণে সম্পর্ককে উন্নত করার পদক্ষেপ নিয়েছে, বিশেষ করে সামরিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতায়। সম্প্রতি অথনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও এতে যোগ হয়েছে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা থেকে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে মস্কো-তেহরান সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করে।

রাশিয়া-ইরানের অংশীদারিত্বের সীমাবদ্ধতা

গত শুক্রবারের চুক্তি সই উভয় দেশের গভীর অংশীদারিত্বের আরেকটি কৌশল। এটি শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা ধারা অন্তর্ভুক্ত, এটি আনুষ্ঠানিক জোটও নয়। এটি গত বছরের উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার চুক্তির মতো নয়। এই চুক্তি ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের একটি সীমা প্রতিফলিত করে, যা ইতিমধ্যে সিরিয়ায় দেখা গেছে। সেখানে তেহরান ও মস্কো ঐক্য হয়নি, আবার অবমূল্যায়নও নয়।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি রোগজিন বলেছিলেন, সিরিয়ার জ্বালানি শিল্প পুনর্গঠনে তার দেশই যথেষ্ট। পরে ইরানের এক এমপি সতর্ক করেন যে, বাশার আল আসাদ ইরানকে ত্যাগ করছে।

সিরিয়ার বর্তমান প্রশাসন রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে মতবিরোধের একটি বিন্দু পরিণত হতে পারে। তবে মস্কো দামেস্কের সঙ্গে নিরাপদ সম্পর্ক বজায় রেখে চলছে।

হামিদ্রেজা আজিজি বলেন, বাশার আল আসাদের পতনের পর রাশিয়া-ইরানের সম্পর্ক অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে। যার মধ্যে রয়েছে- একদিকে রাশিয়া। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে পর্দার আড়ালে কোনো চুক্তি বা বোঝাপড়া হয়েছে কি না। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সিরিয়া ও ইউক্রেন ইস্যু।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, রাশিয়া যদি সিরিয়ায় সামরিক ঘাঁটি রাখতে সক্ষম হয় এবং ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়, তাহলে ইরানের সহায়তা লাগবে না। হামিদ্রেজা আজিজি আরও করেন, রাশিয়া- ইরানর সম্পর্কের কোনো মৌলিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম ছিল। কারণ, গত কয়েক বছরে দুই দেশের সহযোগিতার গভীরতা খুব বেশি একটা বৃদ্ধি পায়নি।

তিনি বলেন, অন্যান্য ক্ষেত্রেও ভিন্নতা রয়েছে। বিশেষ করে পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে, ইরানকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমারা। ইরানের প্রতিরক্ষানীতি আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের বৈধতা দেয়। তবে ইরানের মিত্র হিজবুল্লাহও ওপর ইসরায়েলের হামলার পর দেশটির বিরোধী দলগুলো পারমাণবিক নীতিতে পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছে।

রাশিয়া ইরানের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণসহ দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচিতে যুক্ত ছিল। কিন্তু ২০০০ থেকে ২০১০ সালে রাশিয়া নিজেক এই প্রকল্প থেকে সরিয়ে নেয়। পরে ইরান রাশিয়াকে তার অবিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে অভিযুক্ত করে। কারণ, ২০১৬ সালের পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার পর মস্কো এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে দেরি করেছিল।

‘রাশিয়া চায় না ইরান পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত হোক…। কারণ, এতে রাশিয়ার স্বার্থের বাইরে গিয়ে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী হয়ে তার প্রভাব বিস্তার করবে।’- বলেছেন তেহরানের হামিহান ডেইলির বৈদেশিকনীতি সম্পাদক আরমিন মনতাজেরি। তিনি বলেন, রাশিয়া চায়, ইরান নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাক। কারণ, এতে ইরান পারমাণবিক বোমা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। তেহরান মস্কোর প্রতি অনুগত থাকবে।

রাশিয়া যদি ইরানকে পারমানবিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়, তবে ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সুবিধা চাইতে পারে রাশিয়া, যোগ করেন মনতাজেরি।

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন নির্দেশনা

ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলো সব সময় দেশের ঘটনাগুলোর ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়, যেমন ঘটেছে সিরিয়ায়। শক্তিশালী আদর্শিক বন্ধনের অভাবে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী যে কোনো কৌশল ভন্ডুল হতে পারে। ফলে রাশিয়া ও ইরানের সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে।

জোটের পরিবর্তিত প্রকৃতি হতে দেখা যায়, ইরান ও রাশিয়াকে সহযোগিতার ক্ষেত্রে তুরস্ক বিরোধীতা করছে। আসাদ সরকারের পতনের পর তুরস্ক, ইরান ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কাতারের দোহায় এক অনুষ্ঠানের সাইডলাইনে একত্রিত হন। ত্রিপক্ষীয় ওই বৈঠকে রাশিয়া ও ইরান আসাদ সরকারের পক্ষে ছিল, তুরস্ক বিদ্রোহীদের পক্ষে। 

তুরস্ক সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য আহ্বান জানায় সিরিয়ায় নিরাপত্তার জন্য, যদিও তারা বিভিন্ন পক্ষকে সমর্থন করেছিল। তবে বেশির ভাগ সময়ে তুরস্ক দুর্বল অবস্থানে ছিল, যা আসাদের প্রকৃত বিজয় হিসাবে দেখা হয়েছিল। সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের পতনের পর তুরস্কের অবস্থান পরিবর্তিত হয়েছে।

বিদ্রোহীদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় দামেস্কের সঙ্গে আঙ্কারার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। ইস্তাম্বুলের ওমরান সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের তুর্কি স্টাডিজের পরিচালক ওমের ওজকিজিলসিক বলেছেন, এটি একটি নতুন বাস্তবতা, যা রাশিয়া ও ইরানকে মানিয়ে নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইরান স্পষ্টতই সুবিধাবঞ্চিত হলেও নতুন বাস্তবতার সঙ্গে তাকে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে পুনরায় সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে তেহরানকে।

এমন বাস্তবতায় রাশিয়া কার্গো বিমানগুলো লিবিয়ার বেনগাজির খাদিম বিমান ঘাঁটিতে নামছে। অন্যদিকে ইরান তার অবস্থান দৃঢ় করতে ইরাকের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ইরান তার ইরাকি মিত্রদের ইসরায়েলের দিকে রকেট ও ড্রোন নিক্ষেপ বন্ধ করার জন্য চাপ দিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ইরানের প্রতিরোধ অক্ষের শেষ স্তম্ভ হিসেবে ইরাকে তার প্রভাব বাড়াতে পারে, যোগ করেন মনতাজেরি।

ইরানের জন্য ইরাক এখন খুবই গুরুত্বর্পূর্ণ পছন্দ। কারণ, যুদ্ধের সময় আর্থিক সংস্থান ও প্রতিরক্ষামূলক বাফার জোন হিসেবে কাজ করবে ইরাক এবং নিষেধাজ্ঞাকালে দেশটির ওপর নির্ভর করবে ইরান।

তেহরানের গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ ইমামিয়ান বলেছেন, ভূ-রাজনৈতিক গতিশীলতার পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ইতিহাস ইরানের রয়েছে। তারা যে কোনো পরিবর্তনকে প্রতিরোধ ও রাশিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক বজায় রাখতে সক্ষম হবে।

ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক যেমন হোক না কেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট মনে করেন না যে, পুতিন হুট করেই তার কৌশলগত অবস্থান পরিবর্তন করবেন। কারণ, পুতিন তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয়দের অবস্থান সম্পর্কে ভালোভাবেই জানেন।

গত তিন বছরে রাশিয়াকে পশ্চিমারা অস্তিত্বের চ্যালেঞ্জে ফেলেছে। এটি পুতিন বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন। তবে এটা অসম্ভব বলে মনে হয় যে, পুতিন ইরানের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন করবেন। কারণ, ইরান ইউক্রেন যুদ্ধ ও সিরিয়ার ঘটনায় রাশিয়ার সঙ্গে ছিল, এমন আনুগত্য প্রমাণ হয়েছে। এখন দেখা যাক, কী হবে। কতদিন টিকবে রাশিয়া-ইরানের বন্ধুত্ব?

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button