রাশিয়া শস্য চুক্তিতে না ফিরলে বিশ্বজুড়ে বহু মানুষের মৃত্যু ঘটবে: জাতিসংঘ
সামনের দিনগুলোতে বহু মানুষ না খেয়ে মরা যাবে
গত ১৭ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে শস্য চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় মস্কো। তারপর থেকেই অনিশ্চিত হয়ে গেছে এই চুক্তি নবায়নের সম্ভাবনা।
শস্য চুক্তির স্থগিতাবস্থা নিয়ে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বিতর্ক হয়েছে। শান্তি সংঘের বক্তব্য, অবিলম্বে এ চুক্তি পুনরায় কার্যকর না করা হলে সামনের দিনগুলোতে ক্ষুধার কারণে বিশ্বজুড়ে বহু মানুষের মৃত্যু ঘটবে। কর্মসূচিতে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিভাগের শীর্ষ নির্বাহী মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, চুক্তি থাকাকালে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় আফগানিস্তান, জিবুতি, কেনিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেনসহ দারিদ্র ও সংঘাতপীড়িত বেশ কয়েকটি দেশে খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার টন গম আমরা পাঠাতে পেরেছি। কিন্তু এখন চুক্তি কার্যকর না থাকায় গমের দাম বিশ্বজুড়ে বাড়ছে এবং স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল বিভিন্ন দেশের দরিদ্র পরিবারগুলো ইতোমধ্যেই সেই মূল্যবৃদ্ধির আঁচ পাচ্ছে। যদি যদি এই চুক্তি কার্যকর না করা হয়, সেক্ষেত্রে সামনের দিনগুলোতে বহু মানুষ না খেয়ে মরা যাবে।
রাশিয়ার পক্ষে বক্তব্য দেন জাতিসংঘে কর্মরত রুশ প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য ও অর্থনীতিবিদ মিখাইল খান। গ্রিফিথসের বক্তব্যের সমালোচনা করে এই রুশ অর্থনীতিবিদ বলেন, গত বছর চুক্তি সম্পাদনের পর থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে যে পরিমাণ গমের চালান গেছে, তার মাত্র ৩ শতাংশ পেয়েছে দরিদ্র দেশগুলো। বাকি সব গম নিয়েছে ধনী বিভিন্ন দেশ। তাই বিগত শস্যচুক্তি কার্যকর করা হলে দরিদ্র দেশগুলো উপকৃত হবে, কিংবা বিশ্ববাজারে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে— এমনটা আমরা মনে করছি না।
খবর অনুসারে, ইউক্রেনে আক্রমণ করায় রাশিয়ার শস্য ও কৃষিপণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা দেয়। খাদ্য শস্য রপ্তানির শর্ত মেনে রাশিয়া শস্যবাহী জাহাজগুলোকে নিরাপত্তা দিয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার শস্য ও কৃষিপণ্যের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি পশ্চিমা বিশ্ব।
রাশিয়া ব্যাপারটি নিয়ে খুবই ক্ষুব্ধ।