রাষ্ট্রপক্ষের দুই আইনজীবীর মধ্যে মারামারি
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রস্তুতি সভা শেষে রাষ্ট্রপক্ষের দুই আইনজীবীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুমের সামনে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মজিবুর রহমান মজিব ও নারী আইনজীবী তামান্না ফেরদৌসের মধ্যে মারামারির এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে আইনজীবী মজিবুর রহমান এটর্নি জেনারেল বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন। আইনজীবীদের মধ্যে মারামারির ঘটনার এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আইনজীবীদের ওয়ালে ঘুরপাক খাচ্ছে।
লিখিত আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মজিবুর উল্লেখ করেন, দুপুর ২ ঘটিকার সময় বারের সম্পাদকের রুমের সামনে অবস্থানকালে আগের শত্রুতার জের ধরে রাজনৈতিক কথাবার্তা চলাকালীন মুহূর্তে হঠাৎ করে সহকারী এটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস আমাকে গালিগালাজ করেন। আমি এর প্রতিবাদ করলে তিনি আমার দুইগালে দুইটা চড়- থাপ্পড় মারেন। এমনকি বেশি বাড়াবাড়ি করলে তিনি আমাকে বহিরাগত লোকজন দিয়ে খুন করার হুমকি দেন। উক্ত ঘটনাস্থলে বিজ্ঞ আইনজীবীরা ও অন্যান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখলে প্রকৃত বিষয়টি জানা যাবে। এ ঘটনায় আমার মান, সম্মান ও ইজ্জতহানি ঘটে। আমি এর বিচার চাই।
বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক অপরাধীকে বিচারের সম্মুখিন করে সুবিচার করার জোর দাবি জানাই।
প্রত্যক্ষদর্শী এক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রস্তুতি সভা শেষে রাষ্ট্রপক্ষের দুই আইনজীবীর মধ্যে চড়-থাপ্পড়ের ঘটনা ঘটেছে। সামান্য খাবারের টোকেনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনা আমাদের জন্য লজ্জাকর। দ্রুত তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌসের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। অপরদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল বরাবর ব্যবস্থা নিতে আবেদন দেয়া রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এডভোকেট মো. মজিবুর রহমান মজিব
বলেন, আগামী ২১শে অক্টোবর বার কাউন্সিল ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে রাজধানীর সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে আইনজীবী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ওই সমাবেশ সফল করতে সোমবার বার ভবনের অডিটোরিয়ামে একটি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে আমি সম্পাদকের রুমের সামনে এলে তামান্না ফেরদৌস আমার সম্পর্কে পলিটিক্যালি কিছু বাজে কথা বলতে থাকেন। আমি তাকে বলি আপা এসব কথা বলা ঠিক না। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে অতর্কিতভাবে তিনি আমার দুই গালে দু’টি চড় মারেন। তিনি আরও বলেন, তামান্না ফেরদৌস সব সময় আমার সঙ্গে লেগে থাকে। কিন্তু কেন তা আমি জানি না। প্রোগ্রাম শেষে উপস্থিত আইনজীবীদেরকে খাবার টোকেন দেয়া হয়। খাবারের ব্যবস্থা কোথায় করা হয়েছে এ বিষয়ে কিছু আইনজীবী আমার কাছে জানতে চাইলে তাদেরকে আমি বলি, আমি নিজেও সঠিক জানি না। তবে ক্যান্টিনে খাবারের ব্যবস্থা করা হতে পারে বললে তামান্না ফেরদৌস আমাকে কটাক্ষ করেন। আজকে (সোমবার) এ ঘটনা নিয়ে সূত্রপাত। তবে তিনি আগে থেকেই আমার সঙ্গে লেগে আছেন।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক এডভোকেট আব্দুন নুর দুলাল বলেন, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমি এটর্নি জেনারেলের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। দুই আইনজীবীর সঙ্গেও কথা বলেছি। দ্রুত তাদের সঙ্গে বসে বিষয়টির সমাধান করব।
লিখিত আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মজিবুর উল্লেখ করেন, দুপুর ২ ঘটিকার সময় বারের সম্পাদকের রুমের সামনে অবস্থানকালে আগের শত্রুতার জের ধরে রাজনৈতিক কথাবার্তা চলাকালীন মুহূর্তে হঠাৎ করে সহকারী এটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস আমাকে গালিগালাজ করেন। আমি এর প্রতিবাদ করলে তিনি আমার দুইগালে দুইটা চড়- থাপ্পড় মারেন। এমনকি বেশি বাড়াবাড়ি করলে তিনি আমাকে বহিরাগত লোকজন দিয়ে খুন করার হুমকি দেন। উক্ত ঘটনাস্থলে বিজ্ঞ আইনজীবীরা ও অন্যান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখলে প্রকৃত বিষয়টি জানা যাবে। এ ঘটনায় আমার মান, সম্মান ও ইজ্জতহানি ঘটে। আমি এর বিচার চাই।