রুশ হামলার আশঙ্কায় কিয়েভে দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন দূতাবাস বুধবার এক জরুরি সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, রাশিয়া ‘একটি উল্লেখযোগ্য বিমান হামলার’ পরিকল্পনা করছে। তাই দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং কর্মীদের নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কায় ইউক্রেনের কিয়েভে থাকা মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন দূতাবাস বুধবার এক জরুরি সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, রাশিয়া ‘একটি উল্লেখযোগ্য বিমান হামলার’ পরিকল্পনা করছে। তাই দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং কর্মীদের নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিমান হামলার সতর্কতা ইউক্রেনের নাগরিকদের জীবনের একটি দৈনন্দিন সত্য। রাজধানী কিয়েভ ঘন ঘন রুশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়। তবে দূতাবাস খুব কমই এই ধরনের সতর্কতা জারি করে।
এর একদিন আগেই ইউক্রেনের সেনাবাহিনী প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রুশ ভূখণ্ডে হামলা চালায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (অ্যাটাকমস) দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে হামলা চালায় ইউক্রেন।
অন্যদিকে, এ হামলার পর ক্রেমলিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এ ধরনের যেকোনো হামলার জন্য তারা ‘উপযুক্ত ও কার্যকর জবাব’ দেবে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ‘আমরা এটিকে পশ্চিমাদের রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের একটি নতুন ধাপ হিসেবে বিবেচনা করছি এবং আমরা উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানাব।’
কিয়েভে মার্কিন দূতাবাস সম্ভাব্য আক্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি, তবে শহরটিতে মার্কিনিদের বিমান হামলার সতর্কতার ওপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজ সকাল ৮টার কিছু আগে রাজধানীতে একটি ড্রোন ভূপাতিত করার সময় সেটির ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি বহুতল আবাসিক ভবনে আগুন লেগে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
নগর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধে এক হাজার দিনের মধ্যে কিয়েভে প্রায় ১ হাজার ৩৭০টি সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যা মোট ১,৫৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলেছে।
শহরের সামরিক প্রশাসনের সংগৃহীত তথ্য থেকে জানা গেছে, এ সময়কালে কিয়েভ লক্ষ্য করে আড়াই হাজারের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে অর্ধেক হামলার ঘটনা ঘটেছে এ বছরই।