Science & Tech

রোজমেরি হতে পারেন চাঁদে পা রাখা যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী

যুক্তরাজ্যের মহাকাশচারী রোজমেরি কুগান হতে পারেন দেশটির প্রথম নারী, যিনি চাঁদে পা রাখবেন। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) প্রাথমিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে নাসার নিউট্রাল বয়ান্সি ল্যাবরেটরিতে মহাশূন্যে হাঁটার কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।

নাসার জনসন স্পেস সেন্টারের ১২ মিটার গভীর বিশেষ জলাধারে আইএসএস-এর অনুরূপ স্ট্রাকচারে ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্রশিক্ষণ নিতে হচ্ছে তাঁকে। রোজমেরি বলেন, “এটা শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। তবে ছোটবেলা থেকেই মহাকাশচারী হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম, সেটা আজ বাস্তবতার কাছাকাছি।”

স্কুলে পেশা-পরিচিতি দিবসে মহাকাশচারীদের উপস্থিত না পাওয়ার আক্ষেপ থাকলেও, তিনি পরে অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে পড়াশোনা করেন। এরপর ইএসএর মহাকাশযাত্রার বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে ২২ হাজারের বেশি প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচিত হন।

২০২০ দশকের শেষভাগে ইউরোপীয় মহাকাশচারীদের নিয়ে আর্টেমিস কর্মসূচির মাধ্যমে নাসা নতুন করে চাঁদ অভিযানে যাচ্ছে। সেই অভিযানে যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী হিসেবে চাঁদে পা রাখার সুযোগ পেতে পারেন রোজমেরি।

নাসার সাবেক স্পেস স্টেশন কমান্ডার আকি হোশিদে তাঁর প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। রোজমেরির প্রশিক্ষণের একপর্যায়ে তাঁকে একটি নাটকীয় পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়—সহকর্মী এক মহাকাশচারী অজ্ঞান হয়ে পড়ার ভান করলে, তাঁকে তাৎক্ষণিক সাড়া দিয়ে নিরাপদ স্থানে টেনে নিয়ে যান রোজমেরি।

নাসার প্রশিক্ষক জেনা হ্যানসন বলেন, “রোজমেরি একদম চ্যাম্পিয়নের মতো ধৈর্য দেখিয়েছে। আজকের পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ।”

রোজমেরি আশাবাদী, একদিন সত্যিকারের মহাশূন্যে দাঁড়িয়ে পৃথিবী আর তারার দিকে তাকিয়ে তাঁর স্বপ্ন সত্যি হবে। তাঁর কথায়, “এটা হলে আমার জন্য ষোলোকলা পূর্ণ হবে।”

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

bacan4d slot toto