রোবটের আত্মহত্যা: কোরিয়াজুড়ে হইচই
রোবট মানুষ নয়। তবে দিন দিন মানুষের মতো করে রোবট বানানোর প্রতিযোগিতা চলছে। তাই রোবটের মৃত্যু নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় একটা রোবটের মৃত্যু আলোড়ন তুলেছে গোটা দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গুমি সিটি কাউন্সিলে কর্মরত ছিল ‘রোবট সুপারভাইজ়ার’ নামক রোবটটি। সম্প্রতি কাউন্সিল বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে পড়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই ঘটনার আগে রোবটটি অদ্ভুত আচরণ করছিল। সিঁড়ি থেকে গড়িয়ে পড়ার আগে একই জায়গায় বার বার ঘুরছিল সে।
পতনের কারণ সম্পর্কে এখনো সঠিকভাবে জানা না গেলেও, রোবটটির ওপর কাজের চাপ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, রোবটটিকে দিয়ে অত্যধিক কাজ করানো হচ্ছিল কিনা। রোবটেরে মানুষ সহকর্মীরা জানিয়েছেন, দক্ষতার সঙ্গেই কাজ করত যন্ত্রটি। ইমারতের বিভিন্ন তলায় কাগজপত্র নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে অঞ্চলের অধিবাসীদের বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ ছিল তার কাজ।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়ায় রোবটের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রোবোটিসের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পক্ষেত্রে প্রতি দশ জন মানব শ্রমিক পিছু এক জন রোবট কাজ করে।
গুমি সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এখনই ওই রোবটের জায়গায় অন্য কোনো রোবটকে নিয়োগ করছেন না।
রোবটটি কি কোনো যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে পড়ে গিয়েছিল, নাকি এটি সত্যিই আত্মহত্যা করেছিল—এ প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। কিন্তু ঘটনাটি সমাজে রোবটের ভবিষ্যৎ কার্যকলাপ নিয়ে পুনরায় প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।
এই ঘটনার মাধ্যমে রোবটের উপর কাজের চাপ এবং তাদের ব্যবহারের পদ্ধতি নিয়ে নতুন করে ভাবনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।