রোহিঙ্গাদের পাশে থাকবে জাতিসঙ্ঘ

উখিয়ার ক্যাম্পে অ্যান্তোনিও গুতেরেসের প্রতিশ্রুতি
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের মানবিক সহায়তার বরাদ্দ ‘নাটকীয়ভাবে’ কমিয়ে দিয়েছে, আর সে কারণেই রোহিঙ্গাদের রেশন বরাদ্দ কমে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণসহায়তা কমানো ঠেকাতে জাতিসঙ্ঘ যথাসাধ্য সবকিছু করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। গতকাল শুক্রবার কক্সবাজারের উখিয়ায় বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থীশিবির ঘুরে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিজ চোখে দেখে তিনি এই আশ্বাস দেন। তিনি কক্সবাজারে বসবাসরত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য মানবিক সহায়তা কমে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া সফররত জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে নেয়া সংস্কার কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
উখিয়ার ক্যাম্পে ব্রিফিংয়ে গুতেরেস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের মানবিক সহায়তার বরাদ্দ ‘নাটকীয়ভাবে’ কমিয়ে দিয়েছে, আর সে কারণেই রোহিঙ্গাদের রেশন বরাদ্দ কমে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, তহবিলের অভাবে মানুষের যেন আরো বেশি কষ্ট পেতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে আমি বিশ্বের সব দেশকে আহ্বান জানাব, যারা আমাদের সহায়তা করতে পারে। গুতেরেস বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আমি জোর গলায় বলব, আমাদের জরুরি ভিত্তিতে আরো সহায়তা প্রয়োজন, কারণ এই জনগোষ্ঠীর মর্যাদার সাথে বাঁচার জন্য এই সহায়তা খুবই জরুরি।
প্রসঙ্গত, এমন এক সময়ে গুতেরেস কক্সবাজারের আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করলেন যখন জাতিসঙ্ঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি তহবিল সঙ্কটের কারণে রোহিঙ্গাদের খাবারের রেশন কমে অর্ধেক হতে পারে বলে সতর্ক করেছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলেছে, অর্থায়নের অভাবে এপ্রিল থেকে রোহিঙ্গাদের মাসিক খাদ্য রেশন সাড়ে ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ৬ ডলার করা হতে পারে, যা আশ্রয় শিবিরের খাদ্য নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেবে।
আমাদের কক্সবাজার অফিস জানায়, ব্রিফিংয়ে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব রোহিঙ্গাদের টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে হলে মিয়ানমারের রাখাইনেও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন রয়েছে। এর আগে শরণার্থীশিবিরে মতবিনিময়কালে রোহিঙ্গারা রাখাইনে গণহত্যার বিচার এবং স্বদেশে ফেরত যেতে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিবের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস গতকাল বেলা ১টায় ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সে কক্সবাজারে পৌঁছান। তাদের স্বাগত জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক।
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছেই সরাসরি উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে চলে যান। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাশন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব শুক্রবার দুপুরে শরণার্থীশিবিরে পৌঁছে বেশ কিছু কর্মসূচিতে অংশ নেন। তিনি শরণার্থীশিবিরে জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন সংস্থা পরিচালিত কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন। পরে রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা এবং রোহিঙ্গা যুবকদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং শিবিরের লার্নিং সেন্টার এবং রোহিঙ্গাদের পাটজাত পণ্যের উৎপাদন সেন্টার পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া তিনি রোহিঙ্গা মেমোরিয়াল কালচারাল সেন্টার পরিদর্শন করেন।
তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক
বাসস জানায়, সফররত জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে নেয়া সংস্কার কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। এ ছাড়া কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা কমে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব গতকাল ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে এক বৈঠকে সংস্কার এজেন্ডার প্রতি জাতিসঙ্ঘের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বিশ্বব্যাপী ‘সবচেয়ে বৈষম্যের শিকার জনগোষ্ঠী’ রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি চার দিনের সফরে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় আসেন।
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অধ্যাপক ইউনূসকে বলেন, ‘আমি সংস্কার কর্মসূচির প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করতে চাই। আমরা আপনাদের সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিতে এখানে এসেছি। আমরা আপনাদের সর্বোত্তম সফলতা কামনা করি। যেকোনো সহযোগিতা লাগলে আমাদের জানান।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এই সংস্কার প্রক্রিয়া একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং দেশের একটি ‘বাস্তব রূপান্তর’ নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, ‘আমি জানি যে সংস্কার প্রক্রিয়াটি জটিল হতে পারে’।
গুতেরেস বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে তিনি রমজান মাসে বাংলাদেশে এসেছেন। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত ১২ লাখ রোহিঙ্গার জন্য মানবিক সহায়তা হ্রাস নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বলেন, ‘পৃথিবীতে এতটা বৈষম্যের শিকার অন্য কোনো জনগোষ্ঠী আমি দেখিনি’। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলতে বসেছে’।
‘মানবিক সহায়তা হ্রাস করা একটি অপরাধ’ উল্লেখ করে অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো এখন প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় দ্বিগুণ করছে, কিন্তু তখন আবার বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তা সঙ্কুচিত হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি জাতিসঙ্ঘের ‘অপরিসীম কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করেন গুতেরেস। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রতি অত্যন্ত উদারতা দেখিয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আমার জন্য একটি বিশেষ বিষয়।
অধ্যাপক ইউনূস জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবকে এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আপনার আসার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর হতে পারত না। আপনার সফর কেবল রোহিঙ্গাদের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের জন্যও সময়োপযোগী।’
প্রধান উপদেষ্টা গুতেরেসকে সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রায় ১০টি রাজনৈতিক দল তাদের মতামত জমা দিয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দলগুলো ছয়টি কমিশনের সুপারিশগুলোর সাথে একবার একমত হলে তারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে, যা দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পাশাপাশি রাজনৈতিক, বিচারিক, নির্বাচনসংক্রান্ত, প্রশাসনিক, দুর্নীতি দমন ও পুলিশ সংস্কারের একটি রূপরেখা হবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি ‘সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজ’ নিয়ে একমত হয়, তা হলে নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে। তবে তারা যদি ‘বৃহৎ সংস্কার প্যাকেজ’ গ্রহণ করে, তাহলে নির্বাচন আগামী বছরের জুনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা ‘সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন’ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ইউনূস জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের সহযোগিতা চান, যাতে রোহিঙ্গারা সম্মানের সাথে তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে ফিরে যেতে পারে। তিনি বলেন, যত দিন তারা বাংলাদেশে অবস্থান করছে তত দিন পর্যন্ত তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও মানবিক সহায়তা যেন নিশ্চিত করা যায়। তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের দুর্দশার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি। বিশ্বকে জানতে হবে তারা কতটা কষ্ট পাচ্ছে। তাদের মধ্যে একটা হতাশার অনুভূতি রয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বলেন, তিনি রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন এবং তাদের জন্য সহায়তা সংগ্রহকে অগ্রাধিকার দেবেন। গুতেরেস বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর কার্যক্রম ‘অসাধারণ’ এবং বাংলাদেশ ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব প্রতিষ্ঠার অগ্রভাগে রয়েছে উল্লেখ করে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বৈঠকে ভূরাজনীতি, সার্কের বর্তমান অবস্থা এবং বাংলাদেশের সাথে প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্কের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। অধ্যাপক ইউনূস দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক ফোরামকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তার প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ আসিয়ানের সদস্য হতে চায়। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে একাধিক বন্দর নির্মাণ প্রকল্প সম্পর্কেও কথা বলেন, যা নেপাল ও ভুটানসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দেশকে ‘একটি অর্থনৈতিক কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন ও জাপানসহ প্রায় প্রতিটি দেশের সমর্থন পেয়েছে। অর্থনীতি প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার উত্তরাধিকারসূত্রে ধ্বংসপ্রাপ্ত ও ভঙ্গুর ব্যাংকিং খাত, সঙ্কুচিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে পড়া অবস্থায় পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি এখন সুসংহত হয়েছে। রফতানি কয়েক মাস ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ভালো অবস্থানে রয়েছে।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অর্থনীতি এমনভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী বছর স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, আমরা এলডিসি উত্তরণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছি। তিনি বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের শাসনামলে লুটপাট হওয়া কয়েক শ’ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ফেরত আনার জন্য সরকার চেষ্টা করছে।
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বলেন, আগের সরকারের রেখে যাওয়া অর্থনীতির ভঙ্গুর পরিস্থিতি তাকে ১৯৭৪ সালের পর্তুগালের বিপ্লবী দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়।
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলিসংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান এবং এসডিজিবিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসঙ্ঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা ও বাংলাদেশে জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইসও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘের ওপর নির্ভর করতে পারে-এক্সে আন্তোনিও গুতেরেস : টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘের ওপর নির্ভর করতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে তার কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন তিনি। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য বাংলাদেশের জনগণ এবং অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যেহেতু দেশ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার এবং পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই আপনারা টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য জাতিসঙ্ঘের ওপর নির্ভর করতে পারেন।’