লক্ষাদ্বীপে কেন ভারতের নতুন নৌ-ঘাঁটি
ভারত একটি দ্বীপে একটি নতুন নৌ-ঘাঁটি স্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই দ্বীপটি দক্ষিণ-পূর্ব উপকুলের অদূরে অবস্থিত। মালদ্বীপের সাথে সম্পর্কের অবনতি এবং চীন যখন কৌশলগত কারণে সমুদ্রে তার উপস্থিতি বাড়াচ্ছে তখন এ নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে ভারতও এই মহাসাগরে তার উপস্থিতিকে আরো জোরালো করছে।
আইএনএস জটায়ুনামের এই ঘাঁটিটি ভারতের লক্ষাদ্বীপের একেবারে দক্ষিণের দ্বীপ মিনিকয়ে অবস্থিতি। সেখানেই রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক পথ।এই দ্বীপপুঞ্জের কাছে এটি হবে ভারতের দ্বিতীয় নৌঘাঁটি এবং এটি মালদ্বীপের কাছাকাছি অবস্থিত।
প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী বুধবার এই ঘাঁটিটি উদ্বোধনের পর ভারতের নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল হরি কুমার বলেন, চলমান ভূরাজনৈতিক অবস্থায় আরো উন্নত স্তরের নজরদারির জন্য বিষয়টি অনুধাবনের প্রয়োজন ছিল।
নৌবাহিনী বলেছে যে এই নতুন ঘাঁটি হচ্ছে ‘কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপগুলোতে নিরাপত্তা প্রচেষ্টা আরো জোরালো করার প্রচেষ্টারই অংশ।’
এই নতুন নৌঘাঁটির ঘোষণাটি এমন এক সময়ে বরলো যখন মালদ্বীপের নতুন সরকার নতুন দিল্লির প্রতিপক্ষ চীনের সাথে আরো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করছে।
মঙ্গলবার মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ওই দ্বীপরাষ্ট্রে সামরিক সহযোগিতার ব্যাপারে তারা চীনের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তবে তারা বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি। মালদ্বীপ তাদের দ্বীপুঞ্জে অবস্থিত ৮০ ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মীকে সরিয়ে নিতে ভারতকে বলেছে। তারা নজরদারি ও উদ্ধার কাজে হেলিকপ্টার ও অন্যান্য বিমান চালানোর কাজে নিয়োজিত ছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মিনিকয় দ্বীপে অবস্থিত এই নতুন ঘাঁটিটি হবে চীনের বিরুদ্ধে একটি কৌশলগত ব্যবস্থা। কারণ নতুন দিল্লি সন্দেহ করছে, চীন মালদ্বীপে তার সামরিক উপস্থিতি আরো জোরালো করবে। কারণ এ দু’টি দেশ কৌশলগতভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করতে চলেছে।
গত এক দশক ধরে ভারতে এ রকম উদ্বেগ বেড়ে চলেছে যে প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কায় হামবানতোতা বন্দর এবং পাকিস্তানে গোয়াদার বন্দরের মতো অবকাঠামোগত প্রকল্প বাস্তবায়িত করার ফলে এশিয়ার এ প্রতিপক্ষ রাষ্ট্রটি ভারতের উপকূলে এসে উপস্থিত হয়েছে।