USA

‘লাফিং গ্যাস’ যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রে মারাত্মক আসক্তির কারণ হয়ে উঠেছে

গত বছর নভেম্বর মাসে একটা ‘ভেপ শপ’ (যে দোকানে ভেপ বিক্রি হয়)-এর ঠিক বাইরের একটা গাড়ি পার্কিংয়ে তার মৃত্যু হয়।

‘লাফিং গ্যাস’ হিসেবে বহুল পরিচিত নাইট্রাস অক্সাইড বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়–– তা সে দাঁতের চিকিৎসায় সময় ব্যথানাশক হিসেবে হোক বা ‘ক্যানড হুইপড ক্রিম’ (ক্যানবন্দি ফেটানো ক্রিম যা কেক বা অন্যান্য খাবারে ব্যবহার করা হয়) হিসেবে।

এই রাসায়নিক যৌগ নাকে এলে তার যে উচ্ছ্বসিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে সেটাও কারো অজানা নয়। এই গ্যাসে নাক দিয়ে প্রবেশ করলে একধরনের উচ্ছ্বাস অনুভূত হয়।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ‘ভেপিং’ (ছোট একটা যন্ত্র যার মাধ্যমে মুখ দিয়ে বাষ্প টানা হয়)-এর বহুল ব্যবহার এই গ্যাসের সরবরাহের জন্য একটা জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে, পাশাপাশি আসক্তির কারণও। আর এই বিষয়েই সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ফ্লোরিডার ঘোড়সওয়ারিতে পারদর্শী মেগ ক্যাল্ডওয়েল নাইট্রাস অক্সাইড ব্যবহার করা শুরু করেন আট বছর আগে থেকে। তখন তিনি ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছিলেন। সেই সময় মূলত বিনোদনের জন্য এর ব্যবহার করা শুরু করেছিলেন।

কিন্তু অন্য অনেক তরুণ-তরুণীর মতোই তার ক্ষেত্রেও নাইট্রাস অক্সাইডের ব্যবহার আরো বেড়ে যায় কোভিডের সময় থেকে।

চার বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন মেগ ক্যাল্ডওয়েল। বিবিসির সাথে কথোপকথনের সময় ক্যাথলিন ডায়াল বোনের সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘ও আমাদের জীবন আলো করে রেখেছিল।’

তিনি জানিয়েছেন, ক্যালডওয়েল ক্রমে আরো বেশি করে নাইট্রাস অক্সাইড ব্যবহার করতে থাকেন এবং বিষয়টা এমন একটা পর্যায় পৌঁছায় যেখানে এই আসক্তি তার জীবন ‘নষ্ট’ করতে শুরু করে।

ওভারডোজের (অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহারের) পরে তিনি সাময়িকভাবে চলৎশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন। এই ঘটনাটা তাকে তার জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। তবুও, তিনি নাইট্রাস অক্সাইডের ব্যবহার ছাড়তে পারেননি।

বাড়ির কাছের দোকানে যেখানে ধূমপানের জিনিস পাওয়া যায়, সেখান থেকেই নাইট্রাস অক্সাইড কিনতেন তিনি। গাড়ির পার্কিং লটে দাঁড়িয়েই টানতেন সেটা। তারপর আবারো ফিরে যেতেন সেই দোকানে যেখান থেকে তিনি নাইট্রাস অক্সাইডের ‘ভেপ’ কিনেছিলেন। কোনো কোনো দিন এর পেছনে শতশত ডলার খরচ করে ফেলতেন।

গত বছর নভেম্বর মাসে একটা ‘ভেপ শপ’ (যে দোকানে ভেপ বিক্রি হয়)-এর ঠিক বাইরের একটা গাড়ি পার্কিংয়ে তার মৃত্যু হয়।

ডায়াল বলেন, ‘ও ভাবতে পারেনি যে এটা ওর ক্ষতি করবে। কারণ, যেখানে ধূমপানের জিনিস বিক্রি হয়, সেই দোকান থেকেই এটা কিনেছিল। তাই ভেবেছিল, এই জিনিসটা ও বৈধভাবেই ব্যবহার করছে।’

তরুণ বয়সে মেগ ক্যাল্ডওয়েল যে জিনিসের ব্যবহার নিজের আনন্দের জন্য শুরু করেছিলেন, সেটাই একসময় প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। তবে এমন ঘটনা কিন্তু বিরল নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পয়জন সেন্টারের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩-২০২৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইচ্ছাকৃতভাবে নাইট্রাস অক্সাইডের সামনে ‘এক্সপোজড’ বা সহজভাবে বলতে গেলে স্বেচ্ছায় নাইট্রাস অক্সাইড ব্যবহার করছে, এমন ঘটনায় রিপোর্টের পরিমাণ ৫৮ শতাংশ বেড়েছে।

সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে, মাত্রাতিরিক্ত নাইট্রাস অক্সাইড টানা হলে ‘হাইপোক্সিয়া’ হতে পারে। এক্ষেত্রে মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না এবং এর ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

নিয়মিত ইনহেলেশনের (টানা বা শোঁকা) ফলে ভিটামিন বি-১২ এর অভাব দেখা যেতে পারে যা স্নায়ুর ক্ষতি করে এবং মেরুদণ্ডকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। শুধু তাই নয়, প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাতও হতে পারে।

রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলোর মতে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে নাইট্রাস অক্সাইডের ‘বিষক্রিয়ায়’ মৃত্যুর সংখ্যা ১১০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।

কোভিডের সময় তরুণদের মধ্যে এর অপব্যবহার বেড়ে গিয়েছিল। এই কারণে ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে নাইট্রাস অক্সাইড নিজের কাছে রাখাকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করা শুরু করে।

অন্যান্য অনেক দেশে এর বিনোদনমূলক ব্যবহার নিষিদ্ধ করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটা এখনো বৈধ।

রান্নার সময় ব্যবহার করা হয় এমন পণ্য হিসেবে নাইট্রাস অক্সাইড বিক্রি করা যুক্তরাষ্ট্রে আইনসম্মত। তবে শুধু লুইজিয়ানাতেই এই গ্যাসের খুচরো বিক্রি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

‘গ্যালাক্সি গ্যাস’ নামক সংস্থা এই গ্যাসের প্রধান প্রস্তুতকারক। রান্নায় এর ব্যবহার সম্পর্কে বর্ণনা করতে ওই সংস্থার ওয়েবসাইটে ‘চিকেন স্যতে উইথ পিনাট চিলি ফোম’ এবং ‘ওয়াটার মেলন গাজপাকো’সহ নানান রকম খাবারের রেসিপি দেয়া রয়েছে। ব্লুবেরি, রাস্পবেরি বা স্ট্রবেরি অ্যান্ড ক্রিম ফ্লেভারের ‘হুইপড ক্রিমে’ও ‘হুইপিং এজেন্ট’ হিসেবে নাইট্রাস অক্সাইড ব্যবহার হয়। এই বিষয়গুলো সম্পর্কেই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।

তারা জানিয়েছেন, নানান (ব্যবহার বিষয়ক) ফাঁকফোকর, প্যাকেজিং এবং খুচরা বিক্রির ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন নাইট্রাস অক্সাইড গ্যাসের অপব্যবহার বাড়ার জন্য অনেকটাই দায়ী।

কিছুদিন আগে পর্যন্ত ক্রেতারা প্রায় আটগ্রাম ওজনের একবার ব্যবহার করা যায়, এমন ধাতব ক্যানিস্টার (ক্যান) কিনতেন এবং বেলুন ব্যবহার করে ওই গ্যাস টানতেন।

কিন্তু কোভিডের সময় যখন এর ব্যবহার বেড়ে যায়, তখন নাইট্রাস অক্সাইড গ্যাস প্রস্তুতকারকরা অনলাইনে বড় ক্যানিস্টার বিক্রি করা শুরু করে দেয়। অনলাইনে দুই কেজি ওজন পর্যন্ত ক্যানিস্টার বিক্রি করতে থাকে তারা। পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ‘ভেপ’ এবং অন্যান্য ধূমপানের সামগ্রী পাওয়া যায় এমন দোকানগুলোতেও বিক্রি শুরু করে।

প্যাকেজিংয়েও পরিবর্তন আনে প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো। তারা ওই গ্যাস প্যাকেজিং করা শুরু করে এমন ক্যানে যার ওপর কম্পিউটার গেমস বা টেলিভিশন সিরিজের চরিত্রদের ছবি আঁকা রয়েছে কিংবা তার গায়ে আছে নজর কাড়া উজ্জ্বল রঙের ডিজাইন।

‘পার্টনারশিপ টু অ্যান্ড অ্যাডিকশন’ নামক সংস্থার প্যাট অসেম মনে করেন এসব কারণেই নাইট্রাস অক্সাইডের অপব্যবহার ক্রমে বেড়েছে।

তার কথায়, মার্কেটিংয়ের জন্য একে ‘গ্যালাক্সি গ্যাস’ বা ‘মায়ামি ম্যাজিক’ হিসেবেও নামকরণ করা হয়।

‘আপনার কাছে যদি এর বড় ক্যানিস্টার থাকে, তবে তার অর্থ হলো আরো বেশি মানুষ একবার ট্রাই করে দেখতে পারে, এর ব্যবহার করতে পারে। এইভাবে এটা পিয়ার প্রেশার তৈরির কারণ হতে পারে।’ (সহজভাবে বলতে গেলে, বন্ধু বা সহকর্মীদের অনেকেই কোনো কিছু ব্যবহার করছেন দেখে অন্য কারো ওপর সেই একই জিনিস ব্যবহার করার যে চাপ তৈরি হয় তাকে পিয়ার প্রেশার বলে)

এই বিষয়ে তাদের মন্তব্য জানতে বিবিসি ‘গ্যালাক্সি গ্যাস’ এবং ‘মায়ামি ম্যাজিক’র সাথে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি।

‘অ্যামাজন’-এ অনলাইনে এই গ্যাস বিক্রি হয়। ওই সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা নাইট্রাস অক্সাইডের অপব্যবহার সম্পর্কে সচেতন। এই বিষয়ে আরো মজবুত সুরক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে তারা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির সহযোগী সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে নিজেদের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ‘গ্যালাক্সি গ্যাস’ জানিয়েছে, গ্যাসের রান্না সম্বন্ধিত বিষয়ে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে এই গ্যাস বিক্রি করে ওই সংস্থা। পাশাপাশি জানিয়েছে, তাদের ওয়েবসাইটে নাইট্রাস অক্সাইডের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তাও দেয়া রয়েছে।

গত বছর নাইট্রাস অক্সাইড ব্যবহার করেন এমন ব্যক্তিদের বেশ কয়েকটা ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর এই গ্যাসের অপব্যবহার সম্পর্কে উদ্বেগ ব্যাপক পরিমাণে বেড়ে যায়।

নাইট্রাস অক্সাইড ব্যবহার করার পর তরুণদের ‘হাই’ (নেশাগ্রস্ত) হয়ে যাওয়ার ভিডিও একটা ‘ট্রেন্ড’-এ পরিণত হয়।

এমনই এক ভিডিও ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আপলোড করেছিল আটলান্টার একটা ফাস্টফুড রেস্তোরাঁ। ওই ভিডিওতে এক তরুণকে ‘স্ট্রবেরি ও ক্রিম’ ফ্লেভারের নাইট্রাস অক্সাইড নাকে টানতে দেখা গিয়েছিল। তারপর তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমার নাম লিটল টি ম্যান।’ আরো বেশি পরিমাণে ওই গ্যাস টানার সাথে সাথে তার গলার আওয়াজও ভারী হতে থাকে।

এই ভিডিও ক্লিপ এখনো পর্যন্ত প্রায় চার কোটিবার দেখা হয়েছে। এর অনুকরণে হাজার হাজার ভিডিও তৈরি হয়েছে।

র‍্যাপ মিউজিক ভিডিও এবং টুইচ স্ট্রিমিংয়েও (যুক্তরাষ্ট্রের লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং পরিষেবা) এই গ্যাসের ব্যাপক অপব্যবহার দেখা যায়।

জো রোগান শো-তে অতিথিরা এটা ব্যবহার করে দেখেন এবং র‍্যাপার ইয়ে (পূর্বে কানিয়ে ওয়েস্ট) প্রকাশ্যে এর অপব্যবহার নিয়ে কথা বলেছিলেন। র‍্যাপার ইয়ে ‘বিপজ্জনক পরিমাণে’ এবং ‘বেপরোয়াভাবে’ নাইট্রাস অক্সাইড সরবরাহ করার অভিযোগ তুলে তার দাঁতের ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

এই প্রবণতার কথা প্রকাশ্যে আসার পর টিকটক ‘গ্যালাক্সি গ্যাস’র বিষয়ে সার্চকে ব্লক করে দিয়েছে। যে ব্যবহারকারীরা ‘সাবস্ট্যান্স অ্যাবিউজ’ (মাদক জাতীয়) এবং আসক্তি সংস্থান কোথা থেকে পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে অন্যদের তথ্য সরবরাহ করে তাদের সতর্কও করা হয়েছে।

এর অপব্যবহার সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ফলোয়ারদের সর্তক করেছিলেন র‍্যাপার এসজেডএ।

মার্চ মাসে, ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ) ‘নাইট্রাস অক্সাইড টানার পরে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত রিপোর্ট বৃদ্ধি লক্ষ্য করার পর’ এই নিয়ে একটা সরকারি সতর্কতা জারি করেছিল।

এফডিএ বিবিসিকে বলেছে যে, তারা ‘নাইট্রাস অক্সাইডের অপব্যবহারের ফলে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়ার যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোকে সক্রিয়ভাবে ট্র্যাক করে চলেছে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।’

তবে এই সতর্কবার্তা যতদিনে এসেছে, ততদিনে অনেকের ক্ষেত্রে অনেকটা দেরি হয়ে গেছে।

তাদেরই একজন মারিসা পলিট। বছর ২৫ এই নারী মিজ রেডিওলজি টেকনিশিয়ান হিসাবে কাজ করতেন।

ব্যাপক মাত্রায় নাইট্রাস অক্সাইড ব্যবহার করে নেশাগ্রস্ত এমন এক গাড়ি চালকের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়েছিল পলিটের। তার পরিবার নাইট্রাস অক্সাইডের ডিস্ট্রিবিউটর ‘ইউনাইটেড ব্র্যান্ডস’র বিরুদ্ধে ৭৪.৫ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করে জিতেছিল।

আদালতে উপস্থিত জুরি ওই পণ্য বিক্রির জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে দায়বদ্ধ বলে মনে করে। কারণ, ওই সংস্থা এই গ্যাসের অপব্যবহার সম্পর্কে ভালোভাবে জানত।

পলিট পরিবারের আইনজীবী জনি সাইমন বলেন, ‘প্রথমেই বলি মারিসা পলিটের মৃত্যু হওয়ারই কথা ছিল না। তবে ঈশ্বর করুন, এটাই যেন এর কারণে শেষ মৃত্যু হয়।’

‘এর পরের বছরগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য দুই দেশেই এই গ্যাসের সাথে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটা মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

প্রয়াত মেগ ক্যাল্ডওয়েলের পরিবার নাইট্রাস অক্সাইডের প্রস্তুতকারক এবং ডিস্ট্রিবিউটর বিরুদ্ধে ক্লাস অ্যাকশন মামলা শুরু করেছে, এই আশায় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে খুচরো বিক্রির পণ্যের তালিকা থেকে এই গ্যাসকে চিরতরে সরিয়ে ফেলা যাবে।

তার বোন ক্যাথলিন ডায়াল বলেন, ‘দাঁতের চিকিৎসকের ক্লিনিকে যারা (রোগীদের ওপর) নাইট্রাস অক্সাইড প্রয়োগ করেন তাদের এখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রশিক্ষণ নিতে হয়। আর সেটা ধূমপানের জিনিস বিক্রি হয়, এমন দোকানে গিয়ে যে কেউ কিনতে পারে- এই ভাবনাটা উন্মাদের মতো বলে আমার মনে হয়।’

‘দুর্ভাগ্যবশত, নির্মাতারা এবং (যেখানে বিক্রি হয় সেই) দোকানের মালিকরা নিজেরাই যে ওগুলোকে তাক থেকে সরিয়ে ফেলার মতো নৈতিক কাজটা করবেন না সেটা স্পষ্ট হয়ে গেছে।’

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

bacan4d slot toto