শক্তি দেখাতে শোডাউন, বিধি লঙ্ঘনের হিড়িক
মনোনয়নপত্র জমাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনেক প্রার্থীর মধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। প্রার্থীর সঙ্গে পাঁচজনের বেশি নেতাকর্মীর না যাওয়ার নির্দেশনা সত্ত্বেও মিছিল নিয়ে অনেক প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে দৃশ্যত বড় ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছেন মাগুরা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। গতকাল বুধবার বিশাল গাড়িবহর নিয়ে তিনি এলাকায় যান। শহরের স্টেডিয়ামে রীতিমতো মঞ্চ বানিয়ে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। যশোর, নারায়ণগঞ্জ এবং গাজীপুরেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বড় ধরনের শোডাউন করেছেন। তবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন পর্যন্ত কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর গতকাল ঢাকা থেকে গাড়িবহর নিয়ে মাগুরা যান ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। মাগুরায় পৌঁছে তিনি একাধিকবার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে সাকিব দুপুরে জেলার দলীয় কার্যালয়ে সবাইকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
এদিন দুপুরে শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে মাগুরাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাকিব। সেখানে তিনি নৌকা মার্কায় ভোট চান। স্টেডিয়ামে তৈরি হয়েছিল মঞ্চও।
গতকাল যশোর-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিনের নেতৃত্বে মোটর শোভাযাত্রা করা হয়েছে। এ সময় তুহিন নেতাকর্মীকে তাঁর পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি নৌকা প্রতীকে সবার কাছে ভোট চান। এ বিষয়ে জেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, শোভাযাত্রার বিষয়টি শুনেছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে কমিশন কঠোর অবস্থানে আছে। এ ব্যাপারে প্রার্থীদের সতর্ক করা হবে।
গাজীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে ভোট প্রার্থনায় মাঠে নেমেছেন রুমানা আলী টুসী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকরা। অন্যদিকে, বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজও থেমে নেই।
বিশাল কর্মী-বাহিনী নিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। বুধবার দুপুরে সবুজ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে শ্রীপুরে যান। এ সময় গাজীপুর-৩ সংসদীয় আসনের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী জড়ো হন শ্রীপুর সড়কে।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে গতকাল আওয়ামী লীগের প্রার্থী পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ব্যাপক শোডাউন করে নেতাকর্মীকে নিয়ে ইউএনও কার্যালয়ে যান। পরে পাঁচজনকে সঙ্গে নিয়ে ইউএনও এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল হকের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের আগে নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না। এ সময় ভোটের পক্ষে মিছিল, মহড়া, শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ। সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। সে হিসাবে ১৫ ডিসেম্বরের আগে কেউ নির্বাচনী প্রচার চালালে তা আচরণবিধির লঙ্ঘন।
তপশিল পেছানোর গুঞ্জন
কয়েকদিন ধরে পুনঃতপশিলের ব্যাপারে নানা মহলে আলাপ ও গুঞ্জন চলছে। বিশেষ করে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের পুনঃতপশিলের দাবি জানিয়েছিলেন। এ ছাড়া সিইসির কাছে আবেদনে করে সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট তপশিল এক সপ্তাহ পেছানোর দাবিও জানিয়েছে। ইসিও বলেছিল, বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে, তাহলে ভোটের পুনঃতপশিল দিতে রাজি তারা। সিইসিসহ অন্য কমিশনারদের বিভিন্ন সময়ে দেওয়া বক্তব্যেও একই ইঙ্গিত ছিল। তবে গতকাল পর্যন্ত এ বিষয়ে ইসির পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো অবস্থান জানা যায়নি।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় শেষ হবে মনোনয়নপত্র জমার সময়। আজ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের মনোনয়নপত্র জমা পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার পরে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাছাই করা হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিলের সুযোগ রাখা হয়েছে ৬ থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পরই শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচার চালানো যাবে। ভোট গ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
ইসির হিসাব অনুসারে, এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে ২৮টি দল। এই দলগুলো ইসিতে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে তাদের কার স্বাক্ষরে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। তবে এ-সংক্রান্ত চিঠি দেয়নি বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ ১৬টি দল। এর মধ্যেই সারাদেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সংখ্যাও বেড়ে চলেছে।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। এবার নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪৪টি। নতুন নিবন্ধিত দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১২টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। ওই নির্বাচন বিএনপি ও শরিক দলগুলো বর্জন করেছিল। এবার যেসব দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছে, এর অনেকগুলোই আওয়ামী লীগের শরিক। বেশ কয়েকটি দল নৌকা প্রতীকে ভোট করার কথাও জানিয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে এমপি পদ ছাড়তে হবে না
এমপি হয়েও যারা এবার দলের মনোনয়ন পাননি, তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে পদ ছাড়তে হবে না। গতকাল ইসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। রাজশাহীতে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা বেগমের বক্তব্য ঘিরে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে আইনি ব্যাখ্যাসহ বিষয়টি স্পষ্ট করে এ বিজ্ঞপ্তি দিল ইসি। যদিও বিজ্ঞপ্তিতে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
ইসি পরিচালক (জনসংযোগ) শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ইসি বলেছে, দলীয় হোক, নির্দলীয় হোক বা সংরক্ষিত নারী আসনের হোক; এমপি পদে থেকেই প্রার্থী হওয়া যাবে। তবে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী আগে জাতীয় সংসদের কোনো নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হলে এই তালিকা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। ফলে দলীয় এমপিদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পদত্যাগ করতে হবে না।
মনোনয়নপত্র জমা
এদিকে নির্বাচনে অংশ নিতে রাজধানী ও ঢাকার বাইরেও অনেক জায়গায় গতকাল স্থানীয় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা।
এদিন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে শেখ হাসিনা এর আগে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এবার তিনি ছাড়া এ আসনে এনপিপি প্রার্থী শেখ আবুল কালাম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নোয়াখালী-৫ আসনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে এদিন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়।
ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সুনামগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। চট্টগ্রাম-৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ঢাকা-৩ আসনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। শেরপুর-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী। সিলেট-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ ছাড়া চাঁদপুর-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। এ ছাড়া ঢাকা-১৯ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের মধ্যে চাঁদপুর-৫ আসনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম, বরিশাল-১ আসনে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, নীলফামারী-২ আসনে আসাদুজ্জামান নূর, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে এ কে এম শামীম ওসমান, কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে নাজমুল হাসান পাপন, কুমিল্লা-১ আসনে ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, গাজীপুর-৫ আসনে মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, খুলনা-২ আসনে শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, খুলনা-৩ আসনে এস এম কামাল হোসেন, খুলনা-৪ আসনে আবদুস সালাম মুর্শেদী, খুলনা-৬ আসনে মো. রশীদুজ্জামান, বাগেরহাট-১ আসনে শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনে শেখ তন্ময়, বাগেরহাট-৩ আসনে উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, বাগেরহাট-৪ আসনে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ঢাকা-৮ আসনে এদিন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সিলেট-১ আসনে ফয়জুল হক, সিলেট-২ আসনে বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান, ফরিদপুর-৪ আসনে যুবলীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, খুলনা-৪ আসনে জুয়েল রানা, খুলনা-৬ আসনে এস এম রাজু, বগুড়া-৪ আসনে বিএনপির সাবেক এমপি জিয়াউল হক ও হবিগঞ্জ-৪ আসনে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে গতকাল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে বর্তমান এমপি ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, রাজশাহী-৩ আসনে এমপি আয়েন উদ্দীন, পিরোজপুর-১ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের এম এ আউয়াল, রাজবাড়ী-২ আসনে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হক, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আবদুল লতিফ বিশ্বাসের জামাতা নুরুল ইসলাম সাজেদুল ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে সাবেক এমপি গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস। এ ছাড়া কুমিল্লা-১০ আসনে মনোনয়নপত্র তুলেছেন জাকের পার্টির প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।