শর্ত পূরণে ব্যর্থ অ্যাপল
চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে উন্মোচিত হতে পারে অ্যাপল ব্র্যান্ডের আইফোন সিরিজের ১৭ মডেলের স্মার্টফোন।
ইতোমধ্যে নতুন আইফোনে সম্ভাব্য কী ফিচার থাকবে, তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা জমে উঠেছে। ডিজাইন, ব্যাটারি, বাটন, ডিসপ্লে ও স্ক্রিনে পাঁচটি অংশবিশেষ পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। উদ্ভাবনা নিয়ে অ্যাপল কোনো সময়ই নীরবতা ভঙ্গ করে না।
কিন্তু এবারে এশিয়ার দু-একটা দেশ সাফ জানিয়েছে, শর্ত না মানলে আইফোন-১৭ সিরিজের ফোন বিপণনে জারি হবে নিষেধাজ্ঞা। কী সেই শর্ত– এমন প্রশ্ন সামনে আসছে। আইফোন বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া দেশটির নাম ইন্দোনেশিয়া।
বলতে গেলে লোকাল ম্যানুফ্যাকচারিং রিকোয়ারমেন্ট নীতিমালা তৈরি করেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি। কোনো নির্মাতা সংস্থা দেশটিতে স্মার্টফোন বিপণনে আগ্রহী হলে তাকে অন্তত ৪০ শতাংশ যন্ত্রাংশ ওই দেশেই উৎপাদন করতে হবে। কিছুদিন আগে অ্যাপল দেশটিতে প্রায় শতকোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। সিঙ্গাপুরের কাছে বাতাম দ্বীপে এয়ারট্যাগ ট্রাকিং ডিভাইসের কারখানা তৈরিতে আগ্রহ দেখিয়েছে অ্যাপল। কিন্তু প্রস্তাবে সাফ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ইন্দোনেশিয়া।
আইফোনে নিষেধাজ্ঞার কারণ দর্শানোয় ইন্দোনেশিয়ার শিল্পমন্ত্রী অগস গুমিওয়াং কারটাসাস্মিতা বলেছেন, অ্যাপল যদি আইফোন-১৬ বিপণন করতে চায়, বিশেষ করে যদি আইফোন-১৭ ইন্দোনেশিয়ায় উন্মোচন করতে চায়, সেই সিদ্ধান্ত তাদের ওপরই নির্ভর করছে।
অ্যাপলকে উদ্দেশ করে দেশটির বিনিয়োগমন্ত্রী রোসান রোসেলানি বলেছেন, ২০২৬ সালে শুরুতে এয়ারট্যাগ ফেসিলিটিতে কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অ্যাপল। কিন্তু প্রস্তাবটি ফোনের ৪০ শতাংশ যন্ত্রাংশ তৈরির শর্তকে নীতিগতভাবে সমর্থন করছে না।