Trending

‘শালীনতা’ নষ্ট হচ্ছে ডেভিডের! বিশ্বখ্যাত ভাস্কর্যের মানহানি করে ব্যবসার অভিযোগ

সময়ের হিসেবে কেটে গিয়েছে ৫২০ বছর। ১৫০৪ সালে নির্মিত ইতালীয় শিল্পকর্মের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন ‘ডেভিড’ আজও সারা বিশ্বের শিল্পপিপাসুদের কাছে এক পরম বিস্ময়। মিকেলেঞ্জোলোর তৈরি করা ১৭ ফুটের মর্মরমূর্তিটি অবশ্য শিল্পপ্রেমীরা ছাড়াও সকলে চেনেন। কিন্তু এবার আলোচনায় ডেভিডের ‘শালীনতা’। যা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলেই অভিযোগ।

ফ্লোরেন্সের ‘দ্য গালেরিয়া দেল আকাদেমিয়া’য় রয়েছে ডেভিড। বর্তমানে সেই মিউজিয়ামের কর্তা হোলবার্গ তৎপর হয়েছেন কয়েক শতাব্দীপ্রাচীন মূর্তির শালীনতা রক্ষায়। ডেভিডের ছবি ব্যবহার করে যারা ব্যবসা করছে, তেমনই ব্যক্তি ও সংস্থার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন ২০১৫ সাল থেকে এই সংগ্রহশালার দায়িত্বপ্রাপ্ত হোলবার্গ।

আসলে ১৫৬৪ সালে মৃত মিকেলেঞ্জেলোর শিল্পকর্মের কোনও স্বত্ব বহুদিনই নেই। কিন্তু ইটালির শিল্প-স্বত্ব আইন অনুসারে, স্বত্ব থাক বা না থাক, যে কোনও শিল্পকর্মের প্রতিরূপ তৈরির সময় খেয়াল রাখতে হবে সেই শিল্পকর্মের মর্যাদাকে যেন কোনও ভাবে ক্ষুণ্ণ করা না হয়। ডেভিডের ক্ষেত্রে এই আইন মানা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ। যেমন, এক সংস্থা নাকি টি-শার্ট, চাবির রিং, ম্যাগনেট প্রভৃতিতে ডেভিডের ছবি ব্যবহার করার সময় কেবল তার যৌনাঙ্গের অংশটুকুকেই ব্যবহার করেছে! সেই সংস্থাই আবার ওই সংগ্রহশালায় প্রবেশের টিকিট বিক্রেতা!

আবার কোনও ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে দেখা যাচ্ছে, এক মডেলের মাথায় বসিয়ে দেয়া হচ্ছে ডেভিডের মাথা। এই ধরনের ঘটনায় মামলা করছেন হোলবার্গ। বহু ক্ষেত্রে জয়ও এসেছে। তার অভিযোগ, কেবল ডেভিড নয়, এমন বিকৃতির শিকার সেযুগের বহু শিল্পকর্মই। তাই তারা এই লড়াই চালিয়ে যেতে চাইছেন বলে দাবি হোলবার্গের। যদিও এরই সমান্তরালে উঠে পড়ছে একটা অন্য প্রশ্নও। শিল্প সমালোচকদের একটি অংশের দাবি, কোথায় কীভাবে শিল্পকর্মের মর্যাদা বা শালীনতা নষ্ট হচ্ছে, এটা কে ঠিক করবেন? শিল্পের বিষয়ে শেষ কথা কি বলা যায়?

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button