International

শিক্ষার্থী বিক্ষোভ বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসলেন ঋষি সুনাক

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিক্ষোভের লাগাম টানতে উদ্যোগী হয়েছেন খোদ দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এ জন্য আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক ডাকেন তিনি।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে লন্ডনের সোয়াস ইউনিভার্সিটি চত্বরে হাতে গোনা কয়েকটি তাঁবু টানিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে তাঁদের গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

একই ধরনের বিক্ষোভ চলছে অক্সফোর্ড, কেমব্রিজসহ যুক্তরাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েও। তবে এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই এসব বিক্ষোভ চলছে। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ অন্য দেশের মতো সহিংস কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

তবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ থামাতে উদ্যোগী হয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বিক্ষোভ বন্ধে করণীয় ঠিক করতে আজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক আহ্বান করেন তিনি।

বৈঠক শুরুর আগে এক বিবৃতিতে সুনাক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যাপক বিতর্কের জায়গায় হওয়া উচিত। তবে একই সঙ্গে সহপাঠী প্রতিটি সদস্যের জন্য সহিষ্ণুতা ও সম্মানের জায়গায়ও হওয়া উচিত ক্যাম্পাসগুলোর।

গাজা যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভের প্রতি ইঙ্গিত করে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসগুলোর একটি সোচ্চার ক্ষুদ্র অংশ তাদের সহপাঠীদের জীবনযাপন ও পড়াশোনা ব্যাহত করছে। কিছু ক্ষেত্রে সরাসরি হয়রানি এবং ইহুদি-বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে।

এদিকে যুক্তরাজ্যের মতো ইউরোপের অন্যান্য দেশেও গাজা যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ফ্রান্স, জার্মানিসহ কয়েকটি দেশে বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাস থেকে হটিয়ে দিয়েছে দাঙ্গা পুলিশ। গত বুধবার নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম ইউনিভার্সিটি থেকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। এ সময় অনেক বিক্ষোভকারীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ, ইসরায়েলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ও ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয়।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এই বিক্ষোভ ঘিরে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারও করেছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button