শিক্ষার্থী ভিসার নতুন সাক্ষাৎকার স্থগিত যুক্তরাষ্ট্রের, সোশ্যাল মিডিয়া যাচাই বাড়ানোর চিন্তা ট্রাম্প প্রশাসনের

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী ভিসা আবেদনকারীদের জন্য নতুন সাক্ষাৎকার স্থগিত করেছে দেশটির ট্রাম্প প্রশাসন। একইসঙ্গে, বিদেশি শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যাচাই বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো এমন একটি কেবল পেয়েছে, যাতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনার উল্লেখ রয়েছে।
মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিওর স্বাক্ষরিত ও মঙ্গলবার (২৭ মে) পাঠানো ওই কেবলে কনস্যুলার বিভাগগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নতুন করে কোনো শিক্ষার্থী বা এক্সচেঞ্জ ভিজিটর (এফ, এম ও জে ক্যাটাগরির) ভিসা সাক্ষাৎকারের সময়সূচি প্রদান না করতে।
কেবলে বলা হয়েছে, ‘সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ের জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাক্ষাৎকার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থী ভিসা প্রক্রিয়াকরণে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হতে পারে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়, যেগুলো নিজেদের আর্থিক স্থিতির জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভরশীল।
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন সীমিত পরিসরে কিছু সোশ্যাল মিডিয়া যাচাই চালু করেছিল, যেগুলোর লক্ষ্য ছিল মূলত গাজায় ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা। তবে এবার এটি অনেক বড় পরিসরে চালুর প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
নতুন যাচাই পদ্ধতির বিস্তারিত ওই কেবলে উল্লেখ নেই। তবে এতে বলা হয়েছে, এ উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ এবং ইহুদি-বিরোধিতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। এটি ট্রাম্পের জারি করা একটি নির্বাহী আদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের একাধিক কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছেন, এ ধরনের নির্দেশনা অনেক সময় অস্পষ্ট হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, কেউ যদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিলিস্তিনি পতাকার ছবি পোস্ট করেন, তবে সেটি বাড়তি যাচাইয়ের কারণ হবে কি না—তা স্পষ্ট নয়।
প্রশাসন অতীতেও বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে হার্ভার্ডসহ কিছু অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়কে লক্ষ্যবস্তু করেছে। এটির অভিযোগ, এসব বিশ্ববিদ্যালয় অতিরিক্ত উদারনীতি অনুসরণ করছে এবং ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিরোধিতা ছড়াতে দিচ্ছে।
একইসঙ্গে, হোয়াইট হাউজ কঠোর অভিবাসন নীতি বাস্তবায়ন করছে, যার প্রভাব পড়ছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। নাফসা: অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেটরস-এর এক কর্মকর্তাও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।