শিখ নেতাকে নিয়ে বিতর্ক, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলল যুক্তরাষ্ট্র
খলিস্তানি স্বাধীনতাকামী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ছকের জেরে ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক খারাপ হবে? এই ইস্যুতে মুখ খুললেন হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তা জন কার্বি। এ বিষয়ে কার্বি বলেন, ‘আমরা এই বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব সহকারে দেখছি। এটা দেখে ভালো লাগল যে ভারতও এই একই কাজ করছে। তারা তদন্তের ঘোষণা করেছে। আমরা চাই এই ঘটনার নেপথ্যে যে বা যারা দোষী, তাদেরকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।’
এরই সঙ্গে জন কার্বি বলেন, ‘ভারত এখনও আমেরিকার কৌশলগত পার্টনার। তবে এর সঙ্গে এটাও ঠিক, যেই ঘটনা সামনে এসেছে, আমরা তা খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখছি।’ এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রসচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন এই বিষয়ে বলেন, ‘আমরা এই ইস্যুতে ভারতের তরফ থেকে পদক্ষেপ দেখতে চাই। তদন্তের ফল বেরিয়ে আসুক, সেটাই চাই।’
উল্লেখ্য, ভারতের ‘সন্ত্রাসী’ বলে ঘোষিত গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ছকের বিষয়টি সামনে আসে সম্প্রতি। এক ভারতীয়কে হাতে-নাতে ধরে ফেলে ইতিমধ্যেই মামলা হয়েছে আমেরিকায়। এরই মধ্যে জানা গেল, গত আগস্ট সউদী রাজধানীতে এই ইস্যুতে নাকি কথা হয়েছিল মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান এবং ভারতের জাতীয় নিরপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের কথা হয়েছিল। সেই সময় নাকি মার্কিন এনএসএ ডোভালকে বলেছিলেন, এই ধরনের ঘটনা আমেরিকা বরদাস্ত করবে না। পাশাপাশি ভারত যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটায়, তা নিয়ে প্রতিশ্রুতিও চাওয়া হয়।
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুতে সিআইএ প্রধান বিল বার্নসকে ভারতে এসে রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইংয়ের প্রধান রবি সিনহার সঙ্গে কথা বলতে বলেছিলেন। সিআইএ প্রধানকে বাইডেন নির্দেশ দেন, ভারতকে যেন বুঝিয়ে দেয়া হয়, এই ধরনের ঘটনা কোনও ভাবে সহ্য করা হবে না। এবং আমেরিকা আশা করে, ভারত প্রকৃত দোষীকে চিহ্নিত করে তার সাজার ব্যবস্থা করবে।