শেখ হাসিনা নিরাপত্তার কারণে ভারতে এসেছেন এবং ভারতে থাকবেন: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এক্ষেত্রে বিষয়টি ভারতের অবগত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন মুখপাত্র। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শেখ হাসিনা নিরাপত্তার কারণে ভারতে এসেছিলেন এবং তিনি ভারতেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। আজ (বৃহস্পতিবার) নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এক্ষেত্রে বিষয়টি ভারতের অবগত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন মুখপাত্র। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা এ বিষয়ক কিছু প্রতিবেদন দেখেছি। কিন্তু আমার বলার কিছু নেই।”
তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনা নিরাপত্তার কারণে স্বল্প সময়ের নোটিশে ভারতে এসেছিলেন এবং তিনি ভারতে থাকবেন।”
ভিসা কার্যক্রম সম্পর্কে জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে মেডিকেল ভিসা ও জরুরি ভিসা ইস্যু করছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির (বাংলাদেশে) উন্নতি হলে এবং পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে ভিসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা হবে।”
এদিকে আজ (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার-সহ অপর দুই বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ সময় চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনার শাসনামলে হাওয়া সমস্ত হত্যা, গণহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিবরণ উপস্থাপন করেন।