International

শোকস্তব্ধ বিশ্বনেতারা

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও শান্তিতে নোবেলজয়ী জিমি কার্টারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। ভার্জিন আইল্যান্ডের সেন্ট ক্রোইক্সে দেওয়া এক ভাষণে জো বাইডেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারকে ‘দীর্ঘদিনের বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন। কার্টারের ‘শিষ্টাচার’ ও ‘মানবিক মূল্যবোধের’ প্রশংসা করেন বাইডেন। 

শোক জানিয়েছেন দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। তিনি বলেছেন, জিমি কার্টার সত্যিই একজন ভালো মানুষ ছিলেন। আমেরিকাকে আরও শ্রেষ্ঠ বানানোর জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। 

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক না কেন, জিমি কার্টার বরাবর মানুষের ভালোর জন্য কাজ করেছেন। 

প্রেসিডেন্ট থাকা এবং পরবর্তী সময়ে জিমি কার্টারের কাজের কথা স্মরণ করে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেন, তিনি আমাদের বাতাস-পানি রক্ষায় কাজ করেছেন। সরকারের স্বচ্ছতা বাড়াতে কাজ করেছেন। ইসরাইল ও মিসরের মধ্যে ঐতিহাসিক ক্যাম্প ডেভিড চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছেন। 

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার শোকবার্তায় বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের প্রতি অসাধারণ প্রতিশ্রুতি পূরণের মধ্য দিয়ে জিমি কার্টার তার শাসনামলের পরবর্তী সময়কে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। 

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, জিমি কার্টার দয়া, উদারতা, সহানুভূতি ও কঠোর পরিশ্রমের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। 

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষের অধিকার আর শান্তির পক্ষে জীবনভর অবিচল ও অক্লান্তভাবে কাজ করেছেন জিমি কার্টার। 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শোক জানিয়ে বলেন, তিনি এমন একসময়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যখন ইউক্রেন স্বাধীনতা অর্জন করেনি। এর পরও আমাদের চলমান লড়াইয়ে তিনি হৃদয় দিয়ে দৃঢ়ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন। 

ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত জিমি কার্টার ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সংকটের মধ্যেই তাকে কাজ করতে হয়েছিল।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button