শ্রীলঙ্কার চেয়েও বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের দাম বেশি : বিশ্বব্যাংক
করোনা মহামারির পর থেকে বিশ্বে খাদ্য মূল্যস্ফিতি বৃদ্ধি পেয়েছিল। অনেক পণ্য সাধারণ জনগনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। মূল্যস্ফিতি কমাতে বিভিন্ন দেশ ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, নেপাল এমনকি অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কাও মূল্যস্ফিতি কমাতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সার্বিক মূল্যস্ফীতি যেমন বাড়তি, তেমনি খাদ্য মূল্যস্ফীতিও বাড়তি। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য ফুটে উঠেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। এরপর তা ৮ শতাংশের ঘরে নেমে এলেও সম্প্রতি আবার ৯ শতাংশের ঘরে উঠেছে। চলতি বছরের জুন মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবার ৯ দশমিক ৭ শতাংশ বা ১০ শতাংশের কাছাকাছি উঠে গেছে।
এদেক বিশ্বের অনেক দেশেই খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। এমনকি অর্থনৈতিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ শ্রীলঙ্কার খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ৪ দশমিক ১ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে পাকিস্তানের খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমলেও এখনো প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ।
তবে বিশ্বব্যাংকের খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ, মিসর, জাপান, ভিয়েতনাম ও আর্জেন্টিনার খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার এখনো বাড়তি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল ও মালদ্বীপে মূল্যস্ফীতির সূচক নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ছাড়া সব দেশেই খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের মার্চ-জুন সময়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি ছিল জিম্বাবুয়েতে ৮০ শতাংশ। এরপর সবচেয়ে বেশি ছিল লেবাননে, সেখানেও তা ৪৪ শতাংশ। মিসরে ৩০ দশমিক ১ শতাংশ।
বিশ্ববাজারে কৃষিপণ্য ও খাদ্যশস্যের দাম কমে যাওয়ার কারণেই মূলত বিভিন্ন দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে। ১৩ জুলাই প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে ভুট্টার দাম কমেছে ২১ শতাংশ। গমের দাম কমেছে ৩ শতাংশ। যদিও একই সময়ে চালের দাম বেড়েছে ১ শতাংশ। গত এক বছরের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে ভুট্টা ও গমের দাম কমেছে ১৯ শতাংশ। তবে চালের দাম ১৬ শতাংশ বেড়েছে।