USA

সংঘাতে জড়াতে চায় না মার্কিনীরা যুক্তরাষ্ট্রে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ

ইরান-ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র যাতে জড়িয়ে না পড়ে সেই দাবিতে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী যে তিনটি রণতরী মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করছে সেগুলো যেন প্রতিরক্ষামূলক উদ্দেশ্যে সেখানে থাকে, হামলা না চালায়। কারণ সংঘাতে জড়াতে চায় না মার্কিনীরা। যুক্তরাষ্ট্র যেন ইরান-ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়ে, সেটাই বিক্ষোভের মূল দাবি।

তারা বলছেন, ইসরাইল বিনা উস্কানিতে ইরানে হামলা চালিয়েছে। এক বিক্ষোভকারী বলেন, আমি ইরানে যুদ্ধ চাই না। নেতানিয়াহু ভাবছেন তাদের কাছে পরমাণু অস্ত্র আছে। কোনো তথ্য ছাড়াই ইরানে হামলা চালাচ্ছে। খবর সিএনএনের। ইরানে যুদ্ধ নয়, ইসরাইলের অস্তিত্ব থাকা উচিত নয় এমন নানা ধরনের যুদ্ধবিরোধী স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।  ইরানে ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদ ও যুক্তরাষ্ট্রের না জড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে নিউইয়র্কেও। ইরানে হামলার হুমকি এবং গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের নিন্দা জানান বিক্ষোভকারীরা।

Ezoicমধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ জানান যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষও। ১৮ বছর বয়সী কলেজ ছাত্র বলেন, এটি তাদের যুদ্ধ, এটি আমাদের যুদ্ধ নয়, এবং আমি আশা করি এটি আমাদের যুদ্ধে পরিণত হবে না। আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকা উচিত, কারণ এই মুহূর্তে ইসরাইল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে এবং তারা ইরানে হামলা করেছে, মূলত সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে। অন্যদিকে চলমান সংঘাত এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা নিয়ে ভার্জিনিয়ার ডেমোক্র্যাট সিনেটর টিম কেইন বলেছেন, বেশিরভাগ জনগণ চান না যুক্তরাষ্ট্র আরেকটি যুদ্ধে জড়াক।

তিনি বলেন, ভার্জিনিয়া একটি সেনাবাহিনী বান্ধব রাজ্য। তার পরও সেখানকার মানুষ তাকে যুদ্ধ না চাওয়ার বার্তা দিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যখন ইরানে ইসরাইলের সংঘাতে আরও গভীরভাবে জড়ানোর কথা বিবেচনা করছে, ঠিক তখন হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে এই যুদ্ধে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

তারা ইরানে ইসরাইলের বোমা হামলার প্রতিবাদ করছেন, সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকারও বিরোধিতা করছেন, বিশেষত ইসরাইলকে দেওয়া বিপুল পরিমাণ সামরিক অর্থায়নের মাধ্যমে। বিক্ষোভকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তিনি সরাসরি এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে সামরিক অংশগ্রহণে না নিয়ে যান।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles