সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষ হবে কিনা জানতে চাইলেন এক কূটনীতিক
ধর্মীয় সংখ্যালঘু ইস্যুতে সৃষ্ট ঘটনাবলির বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানাতে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র উপদেষ্টার ব্রিফিংয়ে সংস্কার হওয়া সংবিধান কেমন হবে? তা জানতে চাইলেন এক কূটনীতিক। বিশেষ করে বিদ্যমান সংবিধান বাতিল করে পুনঃলিখন হচ্ছে কিনা? এবং নতুন সংবিধান ধর্মের প্রশ্নে নিরপেক্ষ হবে কিনা? তা জানার আগ্রহ ছিল পূর্ব এশিয়ার ওই রাষ্ট্রদূতের। রমনার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ছিল সেই জনাকীর্ণ ব্রিফিং। যেখানে সুইডেন এবং সংযুক্ত আবর আমিরাত ছাড়া ঢাকাস্থ প্রায় সব কূটনৈতিক মিশনের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টা সেই প্রশ্নের তাৎক্ষণিক জবাব দেননি, সময় নিয়েছেন। দূতদের তিনি জানিয়েছেন, বিদ্যমান সংবিধান এখনো বহাল। প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে সংবিধান বিষয়ে পড়াশোনা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি স্বতন্ত্র কমিশন গঠন করে দিয়েছে সরকার। সেই কমিশন কাজ করছে, ডিসেম্বরের সমাপনীতে সুপারিশসহ তারা তাদের রিপোর্ট জমা দেবেন। সেই রিপোর্ট নিয়ে সরকার এবং স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে বিস্তৃত আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। তারপরই বলা যাবে সংবিধান কেমন হবে? ওই ব্রিফিংয়ে পশ্চিমা এক কূটনীতিক জানতে চান ইসকনসহ ধর্মীয় ইস্যুতে সৃষ্ট উত্তেজক পরিস্থিতিতে সরকার হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কতটা যোগাযোগ রাখছে অর্থাৎ সংলাপ চলছে কিনা? উপদেষ্টা এ নিয়ে সরকারের সমুদয় উদ্যোগের বিস্তারিত তুলে ধরেন। ব্রিফিংয়ে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের একজন জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, ব্রিফিং শেষে উপস্থিত গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সঙ্গে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ। ব্রিফিংয়ে কারা কারা ছিলেন বিশেষ করে ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ভারতসহ প্রায় সব দেশের প্রতিনিধিই ছিলেন। এক’দুটি মিশনের প্রতিনিধি বাস্তব কারণে না-ও আসতে পারেন। এটা স্ক্রুটিনি করলে পুরো পিকচার পাওয়া যাবে। তবে উল্লেখযোগ্য সব মিশনের প্রতিনিধিই ছিলেন। তার বক্তব্যে কূটনীতিকদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমার মনে হয়েছে তারা আমাদের বক্তব্যে কনভিন্স।
ইসকন এবং চিন্ময় দাশ প্রসঙ্গ: বিফ্রিংয়ে ইসকন পুরোহিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়কে জানানো হবে বলে দাবি করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। সেই সঙ্গে ইসকনসহ সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে নানা রকম খবর ছাপা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর বেশির ভাগই অসত্য। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে উপদেষ্টা বলেন, সব ধর্ম-বিশ্বাসের লোকজনের নিরাপত্তায় সরকার যেসব ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে তা বিশ্ব সমপ্রদায়ের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। ৫ই আগস্টের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে হামলা করা হচ্ছে মর্মে ভারতীয় গণমাধ্যম অরকেস্ট্রেইটেড ওয়েতে যে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই বলে ফের দাবি করেন তিনি। তবে উপদেষ্টা বলেন- ঘটনা যে নাই বা সমস্যা নাই তা আমরা বলছি না। বরং যেসব ঘটনা ঘটেছে তা কো-ইনসিডেন্ট, ব্যক্তিস্বার্থ, পুরনো দ্বন্দ্ব-সংঘাত বা রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা বা প্রতিহিংসা থেকে। কূটনৈতিক ব্রিফিংটি পুরোপুরি ফ্লেক্সিবল ছিল জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এতে কেবল রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বা মিশনপ্রধানই নন, যেকোনো ডিপ্লোম্যাট ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়েছেন। তারা খোলামেলা বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। চা-খেতে খেতে অনেকে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে নির্বিঘ্নে অংশ নেয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমি তাকে সেই গল্পটা তার অন্য সহকর্মী এবং হেডকোয়ার্টারের রিপোর্টে লিখতে অনুরোধ করেছি।
মমতাকে চিনি, তার বাড়িতে যাতায়াত ছিল আমার, তিনি তার স্টাইলেই বক্তব্যটি রেখেছেন- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
এদিকে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান সংবলিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে ‘তার ধরনের একটি বক্তব্য’- হিসেবে দেখতে চান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিসেনা পাঠানোর আরজি জানাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তার ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। সোমবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জির বক্তব্যকে মমতা ব্যানার্জির ধরনের হিসেবে দেখতে চাই।’ মমতাকে চেনাজানা এবং তার বাড়িতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, মমতা ব্যানার্জি কেন এমন বক্তব্য দিলেন, আমরা জানি না। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তার রাজনীতির জন্য বিষয়টি ঠিক হয়নি। পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে আমরা স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখতে চাই।’ এ সময় চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের গ্রেপ্তার নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাকে গ্রেপ্তার এবং আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। সঙ্গে বলা হয়েছে, তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করতে পেরেছেন। কারণ, এই স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠী বৈশ্বিক প্রচারণা চালাচ্ছে উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং এক্ষেত্রে তারা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। আমরা মেনে নিচ্ছি, তাদের এক্ষেত্রে শক্তি আমাদের চেয়ে বেশি। তবে আমরা সবাইকে বিষয়টি স্পষ্ট করার চেষ্টা করছি।’ ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধানত ভারতীয় গণমাধ্যমে অপপ্রচার চাালানো হচ্ছে। এর বাইরেও অনেক গণমাধ্যম ভারতীয় গণমাধ্যমকে উপজীব্য করে অপতথ্য ছড়াচ্ছে। তবে আমরা বলতে চাই, সব সরকারের আমলেই বছরে দু’-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। তবে সরকারের কাজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা। আমরা সেটি করেছি। তবে দেশ ও দেশের বাইরে এ নিয়ে মিথ্যা তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।’ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর জানিয়ে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা বার্তা দিতে চাই, বর্তমান সরকার সামপ্রদায়িক কোনো অপতৎপরতা বরদাশ্ত করবে না। আমরা হিন্দু-মুসলিম কোনো ভেদ করতে চাই না। কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা গেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।’
অন্যান্য প্রসঙ্গ: এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘বৃটেনের অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের প্রতিবেদন একপেশে হয়েছে। প্রতিবেদন তৈরিতে সেখানে অবস্থানরত একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষ প্রভাব রেখেছে। বৃটেনের আওয়ামীপন্থি সাংসদের সংখ্যাও বেশি। তারা প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করেছে। তারা আমাদের দূতাবাসকে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আসলেই ৫ই আগস্টের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে সমস্যা চলছে। এটা স্বীকার করতেই হবে। তবে আমরা স্বাভাবিক, ভালো সুসম্পর্ক চাই। এই সম্পর্ক অন্তরের চেয়ে স্বার্থই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের সম্পর্ক স্বার্থের মধ্যদিয়ে দেখতে হবে। তিনি বলেন, আমি কাল একটা হাসপাতালে গেলাম দেখি রোগী ভর্তি। আর কলকাতার দোকানপাট এখন খালি, যেহেতু ভিসা বন্ধ। এখন ভারতের স্বার্থ তো আমি বুঝতে পারবো না। তারা তাদের স্বার্থ বুঝবে। উপদেষ্টা বলেন, হিন্দু সমাজের পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের মনে হয়েছিল ভুল ধারণা যাতে সৃষ্টি না হয়, ভুল ধারণা সৃষ্টি করার সুযোগ আছে। বিশেষ করে মিডিয়া, কোন দেশের মিডিয়া বলছি না। তারা যতটুকু পারা যায় খারাপ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। কাজেই আমাদের মনে হয়েছে যে কূটনীতিক যে প্রতিনিধিরা আছেন তাদের ব্যাখ্যা দেয়া প্রয়োজন যাতে তারা প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারে। তাদের কিছু ম্যাকানিজম আছে, কিন্তু আমরা আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা বলেছি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সমাজের অংশ। সরকার এটি বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। কোন মানুষ তার ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে নিগৃহীত হবে না সেটা আমরা নিশ্চিত করবো। সরকার এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে গত চার মাসে। যদিও অনেক মাল-মসলা ছিল অনেক বেশি গণ্ডগোল হওয়ার মতো। সেটি আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। দুর্গাপূজার মতো উৎসব শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এক-দুইটি ঘটনা যে ঘটেনি তেমনটা তো না। সেগুলো প্রতি বছরই দুই-একটা ঘটে। কোন দেশের মিডিয়ার অপপ্রচারের কথা বলছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি খুব স্পষ্ট। প্রধানত ভারতের মিডিয়া। কিন্তু এর বাইরেও অনেক মিডিয়া ভারতের মিডিয়ার বক্তব্য ধরে নিয়ে প্রচার করেছে। মিডিয়া ছাড়াও ভারতের সরকার বা রাজনীতিবিদদের কোনো কড়া বার্তা দিতে চান কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যে বার্তাটা দিতে চাই এই সরকার কোন ধরনের কোন সাম্প্রদায়িক কার্যকলাপ বরদাশত করবে না। সেটা হিন্দু বা মুসলিম বলে কথা নয়। আমরা সবাইকে সমান চোখে দেখবো। এই বার্তাটি আমরা সবাইকে দিতে চেয়েছি। এ ব্যাপারে আইন তার গতিতে চলবে। যদি কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে। এই বার্তাটি সবার কাছে গেছে। সরকারিভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখলে সেটি সরকারিভাবেই প্রতিবাদ জানাই। বাকিটুকু সাধারণভাবেই বলেছি। তিনি বলেন, আজকের ব্রিফিংয়ে ভারতকে নিয়ে সেভাবে কিছু বলিনি। আমি মিডিয়ার সম্পর্কে বলেছি। বৈঠকে ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ভুলে গেলে চলবে না যে একটা গ্লোবাল ক্যাম্পেইন চলছে। সবাই পার্টিসিপেট করছে তা না। কিন্তু গ্লোবাল ক্যাম্পেইনটা চলছে একটা বিশেষ গোষ্ঠীর কারণে। চেষ্টা করছে সব জায়গায় হিট করার। এতে কোনো সন্দেহ নেই। এটাও মেনে নিতে হবে তাদের রিচ আমাদের তুলনায় বেশি, আমাদের তাদের মোকাবিলা করতে হবে। বর্ডারে ভারতীয় প্রতিবাদকারীরা বাংলাদেশের বর্ডারে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, সেটিকে কীভাবে দেখেন- এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, এটাকে আমি একটা প্রভোকেশন হিসেবেই দেখি। প্রভোকেশন দেয়ার মতো লোকজন তো আছে, সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। এটাকে প্রভোকেশন হিসেবে ততক্ষণ দেখবো যতক্ষণ না তারা বর্ডার অতিক্রম করতে সক্ষম হয়। বিএসএফ তাদের সেখানে থামাতে সক্ষম হয়েছে। প্রোটেস্ট তারা করতেই পারেন, তাদের দেশের আইনও সেটাকে অ্যালাউ করে। তবে বর্ডার পার হওয়া মানে আইন ভঙ্গ করা। সেটা তারা ব্যবস্থা নিবেন। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ ও স্বাভাবিক সম্পর্ক চায় জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা করে ভারতের সঙ্গে স্বাভাবিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখতে চায় বাংলাদেশ। চলতি মাসে নির্ধারিত ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটি অনুষ্ঠিত হবে।’