Bangladesh

সক্রিয় নেতাকর্মী ও সম্ভাব্য প্রার্থীরা বেশি দণ্ডিত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগমুহূর্তে বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চলছে বিভিন্ন মামলায় একের পর এক রায় ঘোষণা। নানা মেয়াদে সাজা পাওয়াদের মধ্যে দলটির অনেক শীর্ষ নেতাও রয়েছেন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন চলাকালেই সাজার মাত্রা প্রবল বেগ পেয়েছে। মামলা মোকাবিলায় প্রতিদিনই হাজার হাজার নেতাকর্মী আর স্বজনের উপস্থিতি বাড়ছে ঢাকার নিম্ন আদালতে।

বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীসহ আন্দোলনে সক্রিয় ও সাহসী নেতাদের টার্গেট করেছে ক্ষমতাসীন দল। বেছে বেছে তাদেরই কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। তথ্য বলছে, অক্টোবর-নভেম্বরেই আলাদা ২৭ মামলায় সাজা হয়েছে ৪৪৯ নেতাকর্মীর। গতকাল বৃহস্পতিবারও পাঁচ মামলার রায় শুনেছেন ১৭৯ জন। সব মিলিয়ে গেল ছয় মাসে ৩৩ মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৫৮২ জনকে। 

সাম্প্রতিক সময়ে আদালতের চিত্র একটু ভিন্ন। একসময় মামলার হাজিরার জন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত হতেন, এক আদালত থেকে আরেক আদালতে ছুটতেন। এখন গ্রেপ্তার আতঙ্কে মামলার হাজিরা দিতে নেতাকর্মীরা আর কাঠগড়ায় দাঁড়াচ্ছেন না। এড়িয়ে চলছেন আদালতপাড়া। এতে প্রতিদিনই বাড়ছে ফেরারি নেতাকর্মীর সংখ্যা। এর মধ্যেই একের পর এক মামলায় সাজা ঘোষণা চলছে। কোনো কোনো দিন একাধিক মামলারও রায় দিচ্ছেন আদালত। 

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সংবিধান অনুযায়ী, কেউ কোনো মামলায় কমপক্ষে দুই বছরের ‘দণ্ডপ্রাপ্ত’ হলে এবং মুক্তির পাঁচ বছর পার না হলে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ‘অযোগ্য’ হন। দলের আইনজীবীরা বলছেন, নির্বাচনের আগে দলটির ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করতে এবং চলমান আন্দোলন ব্যাহত করতে টার্গেট করে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চাচ্ছে সরকার। তবে যেভাবে এবং যে প্রক্রিয়ায় মামলাগুলো চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক, অন্যায় এবং বিচারপ্রার্থীদের ওপর জুলুম। মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের প্রয়োজনীয় সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
 ফলে অনেকটা একতরফাভাবে রায় ঘোষণা চলছে। তবে সরকার পক্ষের আইনজীবীরা বিরোধীদের এ অভিযোগ মানতে নারাজ। তারা বলছেন, সাজা নিয়ে বিএনপি যেসব কথা বলছে, তা মনগড়া। স্বাভাবিক নিয়মেই মামলার বিচারকাজ চলছে, তাড়াহুড়া হচ্ছে না।

জানা গেছে, পুলিশের ওপর হামলা, কর্তব্য কাজে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার অভিযোগে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের রাজনৈতিক মামলায় সাজা হচ্ছে নেতাকর্মীর। এরই মধ্যে ৩৩টি মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। আরও শতাধিক মামলার রায় যে কোনো সময়ে ঘোষণা হতে পারে। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে যুগ্ম মহাসচিব, সম্পাদক, অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতা ছাড়াও তৃণমূলের নেতাকর্মী রয়েছেন। 

বিএনপি নেতারা জানান, তৃণমূলের অনেক মামলার রায় ঘোষণার তথ্য তাদের কাছে আসে না। যেসব মামলায় জ্যেষ্ঠ নেতাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে, সেসব মামলার তথ্যই বেশি আসে। সে কারণে অনেক মামলার রায়ের তথ্য দলের কাছে নেই। 

বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বলছেন, দ্রুতগতিতে মামলা শেষ করতে কখনও কখনও রাতেও চলছে বিচার কার্যক্রম। সাক্ষীদের ক্ষেত্রেও অনেকটা নমনীয় ভূমিকা পালন করছে রাষ্ট্রপক্ষ। পুলিশ সাক্ষীদের ওপরই বেশি নির্ভর করছে। তাদের জানা কথা, শোনা কথার ওপর নির্ভর করেই রায় ঘোষণা চলছে। এমনকি ওইসব সাক্ষী আসামিদের চিহ্নিত পর্যন্ত করতে পারেন না। 
দলটির নেতাদের অভিযোগ, সরকারবিরোধী আন্দোলন আর নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলার গতিও বেড়ে গেছে। অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চলমান এসব মামলায় তারা ন্যায্য বিচার পাবেন না। ঘন ঘন তারিখ দিয়ে ওইসব মামলাকে নির্দিষ্ট এজেন্ডা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। 

দলীয় সূত্র জানায়, আগে এসব রাজনৈতিক মামলা আইনিভাবে মোকাবিলার চেষ্টা করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। প্রতিদিনই এসব মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিলেন আদালত চত্বরে। তবে ২৮ অক্টোবরের পর সেই ছবি বদলে গেছে। ওইদিন ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষের পর ভিন্ন পরিস্থিতি তাদের সামনে আসে। সারাদেশে নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দিন দিন বাড়ছে নতুন মামলা। গ্রেপ্তারে চলছে সাঁড়াশি অভিযান। দলের দপ্তর শাখা জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সারাদেশে ৩৮৪ মামলায় ১৫ হাজার ৬০০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। 
সারাদেশে বিরোধী নেতাকর্মীর ওপর সরকারের এমন কঠোর মনোভাবের কারণে আদালতে হাজির হওয়ার সাহস পাচ্ছেন না অনেকে। যারা গেছেন, তাদেরই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ১৫ নভেম্বর ব্রেইন টিউমারের অস্ত্রোপচার করা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম পটু অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকেও আদালত চত্বর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

বিএনপি নেতারা জানান, আদালতপাড়া এড়িয়ে চলায় ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিয়মিত মামলায় হাজিরা না দেওয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হচ্ছে। তাদের অনুপস্থিতিতে একতরফা মামলা চলছে। মামলার সাক্ষ্য শেষে সাফাই সাক্ষ্য দেওয়ারও সুযোগ পাচ্ছেন না অনেকে। 
বিএনপির সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েলের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে আরও ২৩টি মামলা সাক্ষ্য শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, কবে কোন মামলায় রায় দেওয়া হচ্ছে, সেটাও জানি না। 

বুধবার একটি মামলায় সাজার রায় হয়েছে আবার গতকাল আরেকটি মামলায় সাড়ে তিন বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত ছিলেন না। পুরোনো মামলায় তাঁকে সাজা দেওয়া হলো। মামলাটিতে ২৮ অক্টোবরের পর একবার হাজিরা না দেওয়ায় পরোয়ানা জারি করেন আদালত। কোনো সাফাই সাক্ষ্য দেওয়ার সুযোগও তিনি পাননি। 

বিএনপি নেতাদের আইনজীবী সৈয়দ মেজবাহ মো. জয়নুল আবেদীন বলেন, আইনে রয়েছে ফেয়ার ট্রায়াল। সেই সুযোগতো সবাইকে দিতে হবে। দ্রুতগতিতে মামলা চলায় সাক্ষী, জেরার সেই সুযোগ পাচ্ছেন না। নির্দেশনা যখন সাজার দিকে থাকে, তখন ওইসব জেরার গুরুত্বও থাকে না। এতে আইনজীবীরা হতাশ হচ্ছেন, আর বিচার প্রার্থীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের জনগণের মধ্যে বিচার বিভাগ নিয়ে বিশ্বাস ও আস্থার সংকট তৈরি হবে। মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে দ্রুত এ অবস্থার পরিবর্তন দরকার। 
অবশ্য বিএনপি ও তাদের আইনজীবীদের সব অভিযোগ অস্বীকার করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু বলেন, আদালত নিজস্ব গতিতে চলবে। সেই স্বাভাবিক গতিতে সব মামলা চলছে। 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার দেশের সব রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয়করণ করেছে বলে এসব ফরমায়েশি রায় হচ্ছে। বিএনপির জনপ্রিয় আর রাজপথের সক্রিয় নেতাদের টার্গেট করে মামলা দেওয়া হচ্ছে, সাজা দেওয়া হচ্ছে। 
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার বিচার কার্যক্রমে সরকার হস্তক্ষেপ করছে না। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন।

সাজা পেয়েছন যেসব কেন্দ্রীয় নেতা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু (৯ বছর), ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাজাহান (৪ বছর), চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান (১৩ বছর), চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব (৪ বছর), যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল (২ মামলায় সাড়ে ৩ বছর), তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল (২ মামলায় সাড়ে ৩ বছর), স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু (দেড় বছর), সহস্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল (তিন মামলায় ৬ বছর ৯ মাস), গ্রাম সরকারবিষয়ক সহসম্পাদক বেলাল আহমেদ (৪ বছর), সহপ্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম (৪ বছর), নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম (আড়াই বছর), হাবিবুর রশিদ (২ বছর), আকরামুল হাসান (২ বছর), যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব (৩ বছর সাত মাস), যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু (সাড়ে ৪ বছর), সাবেক সহসভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর (দুই মামলায় সাড়ে ৯ বছর), স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান (২ বছর), যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মামুন হাসান (সাড়ে তিন বছর), ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার (৪ মামলায় সাড়ে ১৪ বছর), রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু (১০ বছর) ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন (১০ বছর), রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি আবু সাঈদ চাঁদসহ যুবদল, ছাত্রদল এবং অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে টুকু ও আমানকে ওয়ান-ইলেভেনের পুরোনো মামলায় এখন সাজা দেওয়া হয়।

যাদের বিচার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ, সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম, সহপল্লি উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিন, যুবদলের গোলাম মাওলা শাহীন, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলসহ কয়েক শতাধিক নেতার মামলা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। যে কোনো সময় তাদের মামলায় রায় ঘোষণা করা হতে পারে। 

গতকাল ৫ মামলায় ১৭৯ জনের সাজা
গত এক সপ্তাহে অন্তত ১২টি মামলার রায় দিয়েছেন নিম্ন আদালত। গতকাল পাঁচটি মামলার রায় দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২০১৩ সালের নভেম্বরে উত্তরা পূর্ব থানায় যুবদলের সাবেক সহসভাপতি এস এম জাহাঙ্গীরসহ ৭৫ জনকে আড়াই বছরের সাজা দিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুল হকের আদালত। গত বুধবার ২০১৩ সালে উত্তরা থানার আরেক মামলায় গত বুধবার এস এম জাহাঙ্গীরসহ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদসহ ১১ জনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 
একই সঙ্গে গতকাল রাজধানীর লালবাগ থানার আলাদা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য মো. নাজিমসহ বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীর তিন বছর তিন মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই দিন ২০১৫ সালে পল্টন থানার আরেক মামলায় তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের এজিএস আতিকুর রহমান উজ্জ্বলসহ সাতজনকে দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। একই দিন ২০১৭ সালে পল্টন থানার আরেকটি মামলায় বিএনপির সহস্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ ৩৫ নেতাকর্মীকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার কোতোয়ালি থানার একটি মামলায় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ ১২ জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

এর আগে গত সোমবার তিন মামলায় সাজার রায় ঘোষণা করা হয়। ২০১৮ সালের অক্টোবরে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ ২৫ জনের দুই বছরের সাজার আদেশ দেন আদালত। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বিএনপির হরতাল-অবরোধ চলাকালে নিউমার্কেট ও নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করার মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ ১৪ জনকে দেড় বছর করে সাজা দেন আদালত। এর আগে ২০১৮ সালে কামরাঙ্গীচর থানার একটি মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ গাফফারসহ ২৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়। 

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
Situs Toto
toto togel
slot toto
Toto slot gacor
bacan4d
totoslotgacor
bacan4d
bacan4d slot gacor
bacan4d login
Bacan4d
bacan4d
bacan4d bonus
Toto gacor
Toto gacor
slot gacor hari ini
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d link alternatif
slot gacor bett 200
situs toto
SITUS TOTO
toto 4d
toto gacor
Slot Toto
Slot Toto
Slot Toto
Situs toto
Slot toto
Slot Dana
Slot Dana
Judi Bola
Judi Bola
Slot Gacor
toto slot
bacan4d toto
bacan4d akun demo slot
bacantogel
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacantoto
bacan4d
Bacan4d Login
slot demo
Bacan4d Toto
toto gacor
Slot Gacor
Live Draw
Live Draw Hk
toto slot
Bacan4d slot gacor
toto macau
toto slot
Toto Gacor
slot dana
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
Slot Dp Pulsa
Bacan4d Login
toto slot
Bacansports/a>
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
slot gacor
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
slot demo
toto slot gacor
bacansports Slot toto toto slot Slot toto Slot dana Slot toto slot maxwin slot maxwin toto slot toto slot slot dana
Toto Bola
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
bacan4d
ts77casino
situs toto
slot pulsa
bacansports
situs toto
slot toto
situs toto
slot toto
situs toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansports
slot toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
situs toto
situs toto
xx1toto
toto slot
xx1toto
xx1toto
slot qriss
Slot Toto
slot dana
situs toto
slot toto
slot dana
Situs Toto Slot Gacor
xx1toto
xx1toto
bacan4d
xx1toto
xx1toto
toto slot
situs toto slot gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
situs toto
Slot Toto
Toto Slot
Slot Gacor
Slot Gacor
Slot Gacor
slot toto
Toto Slot
slot gacor
situs togel
Toto Slot
bacan4d
bacan4d