Hot

সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সংলাপ বাড়াচ্ছে ভারত

সূত্র বলছে, ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে চার উপদেষ্টার বৈঠকগুলো ছিল খুবই আন্তরিকতাপূর্ণ। সেইসঙ্গে বৈঠকগুলো এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভারত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্কে যে অবনতি হয়েছে, তা পুনরায় স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারাও আগ্রহী। 

চলতি বছরের আগস্টে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টায় অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ধীরে ধীরে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর চেষ্টা করছে ভারত।

দেশটির এই প্রচেষ্টার শুরুটা বলা যায় চলতি মাসের ২ সেপ্টেম্বর। ওইদিন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর (অব.) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর তিনি আরও বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে প্রণয় ভার্মা ‘দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদারে সম্ভাব্য সম্পৃক্ততা’ নিয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকের পর ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, তারা ‘সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, নিরাপত্তা, ভারতীয় নাগরিক ও বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার’ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।

৭ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রণয় ভার্মা। বৈঠকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ভারতের অংশীদারিত্ব রয়েছে এমন প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়।

বাংলাদেশে আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্ক বলতে গেলে এ বৈঠকের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ, ঢাকা ইঙ্গিত দিয়েছে যে আদানির গড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে যে চুক্তির অধীনে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে, সেটি পর্যালোচনা করা হবে।

এরপর প্রণয় ভার্মা অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের সঙ্গে বৈঠক করেন।

ব্যবসায় আগ্রহী ভারত

এসব বৈঠক এটাই ইঙ্গিত দেয় যে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ইচ্ছুক। সূত্র বলছে, ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে চার উপদেষ্টার বৈঠকগুলো ছিল খুবই আন্তরিকতাপূর্ণ। সেইসঙ্গে বৈঠকগুলো এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভারত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্কে যে অবনতি হয়েছে, তা পুনরায় স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারাও আগ্রহী।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নিরাপত্তাজনিত কারণে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয় ভারত।

উভয়পক্ষের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক সম্পর্ক

ভারত যে বাংলাদেশে তার বড় বড় সব প্রকল্প নিরাপদ অর্থাৎ অব্যাহত রাখতে চায়, বৈঠকগুলো থেকে সেরকমই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তবে উভয়পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক বর্তমানে অস্থিতিশীল বলা চলে। প্রথমত এই কারণে যে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় চেয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে গত ১৭ আগস্ট ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে অংশগ্রহণের পর পরই ড. ইউনূস শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ভারতের প্রতি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনা যতক্ষণ ভারতের মাটিতে অবস্থান করবেন, ততক্ষণ তাকে ‘চুপ’ থাকতে বলেছিলেন।

আগামী ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে যাওয়ার কথা রয়েছে ড. ইউনূস ও  নরেন্দ্র মোদির। সম্মেলনের অংশ নেওয়ার পাশাপাশি ড. ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি দেখা করবেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

সূত্রগুলো এটাই বলছে যে ভারতীয় কূটনীতিকরা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখার দিকেই বেশি মনোযোগী। সেইসঙ্গে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিস্তৃত যোগাযোগ শুরুর আগে তারা আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে চান। 

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto