সম্প্রীতি রক্ষার মিষ্টি বিতরণের পর দিনই বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
নওগাঁর পোরশা উপজেলার হাপানিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আল-আমিন নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে সীমান্ত থেকে ভারতের প্রায় ২ কিলোমিটার ভেতরে সিলমারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নওগাঁ-১৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহম্মদ সাদিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত ওই যুবক নিতপুর ইউনিয়নের চক বিষ্ণুপুর কলোনি মোড় এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার রাতে ৮-১০ জন বাংলাদেশি পোরশা উপজেলার নীতপুর সীমান্ত দিয়ে গরু আনতে যায় ভারতের মালদা জেলায়। মালদা থেকে গরু নিয়ে মঙ্গলবার ভোর রাতে বাংলাদেশে ফেরার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ)-১৫৯ ব্যাটলিয়নের অওয়াতাধীন টেক্কাপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করেন। এ সময় তারা পালিয়ে নীতপুর সীমান্ত বাংলাদশের অভ্যন্তরে আসার সময় বিএসএফের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে গরু আনতে যাওয়া অন্য সদস্যরা পালাতে পারলেও আল-আমিন ভারতের মালদা জেলার সিলমারি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। নিহত আল-আমিনের মরদেহ নীতপুর সীমান্তের ২৩২ নম্বর এলাকা থেকে বিএসএফের সদস্যরা নিয়ে যায়।
নওগাঁ-১৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহম্মদ সাদিকুর রহমান, আজ মঙ্গলবার ভোরে ভারতে অভ্যন্তরে ফায়ারিংয়ের শব্দ শুনতে পায় বিজিবি। ঘটনাটি সীমান্ত এলাকার ২৩১/২৩২ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি স্থানে ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি জানতে পতাকা বৈঠক আহ্বান করে বিএসএফর কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে চিঠি ও ফোনে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। পতাকা বৈঠক শেষেই বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে। গতকালকে দুদেশের সম্প্রীতি রক্ষায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। ঠিক পরের দিনই এমন ঘটনা দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন বিজিবির অধিনায়ক।