সর্বকনিষ্ঠ ও নারী নভোচারীসহ মহাকাশে পৌঁছেছে চীনের ৩ সদস্যের দল
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল স্পেস স্টেশনে যায় চীনা মহাকাশচারীদের এক দল। ৩ নভেম্বর তাদের পৃথিবীতে ফেরার কথা। সেক্ষেত্রে তাদের থেকে দায়িত্ব বুঝে নেবে নতুন তিন মহাকাশচারী।
মহাকাশে আমেরিকা ও রাশিয়ার একাধিপত্য রয়েছে। এমনকি ভারতীয় ইসরো নতুন নতুন উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্প শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে মাইলফলক স্পর্শে প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে চীনও। খবর বিবিসির।
গতকাল (বুধবার) স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে চারটা নাগাদ মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে তিন চীনা মহাকাশচারী। তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন নারী নভোচরীও।
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের পর নিজস্ব মহাকাশ স্টেশনও স্থাপন করেছে চীন। সেক্ষেত্রে ছয় ঘন্টা ভ্রমণের পর এই তিন চীনা নভোচরী তিয়াংগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছেছেন। আগামী ছয় মাস তারা মহাকাশেই থাকবেন।
গানসু প্রদেশের মঙ্গোলিয়ার জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে সিনঝাউ স্পেসশিপটি মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে। লং মার্চ-২এফ রকেটের সাহায্যে সেই মহাকাশযান পেরিয়ে যায় পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের বাধা।
চীনের ক্ষেত্রে এটি ছিল চতুর্দশ মহাকাশ অভিযান। এই দলে রয়েছেন ৪৮ বছরের কমান্ডার কাই জুঝে, ৩৪ বছরের সং লিংডং ও ৩৪ বছরের ওয়াং হাওজে।
ওয়াং চীনের প্রথম নারী স্পেসফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারও। এক্ষেত্রে সং ও ওয়াংই হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে তরুণ মহাকাশচারী।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল স্পেস স্টেশনে যায় চীনা মহাকাশচারীদের এক দল। ৩ নভেম্বর তাদের পৃথিবীতে ফেরার কথা। সেক্ষেত্রে তাদের থেকে দায়িত্ব বুঝে নেবে নতুন এই তিন মহাকাশচারী।
আগামী বছর এপ্রিলের শেষভাগ অথবা মে মাসের শুরুর দিক পর্যন্ত মহাকাশ স্টেশনে তিন নভোচারী পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ করবেন। এই ধরনের ধারাবাহিক গবেষণার মাধ্যমে চীন যে মহাকাশে তাদের ঘাঁটি ক্রমেই মজবুত করছে তা নিশ্চিত।
সব মিলিয়ে বেইজিংয়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনাগুলো বাস্তবে রুপান্তরিত হতে শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে এই তিন নভোচারীর মাধ্যমে দেশটি আরও একধাপ এগিয়ে গেল।