International

সহিংসতা জর্জরিত মণিপুরের জিরিবাম জেলায় সেন্ট্রাল পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের সিদ্ধান্ত

সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্যের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করতে মন্ত্রণালয়ের একটি দল শীঘ্রই সহিংসতা জর্জরিত এলাকা পরিদর্শনে যাবে।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের জিরিবাম জেলায় চলমান অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত ৫০ কোম্পানি সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (সিএপিএফ) মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ সোমবার এক বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর আগে গতকাল রোববারেও এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক করেছিলেন তিনি।

সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্যের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করতে মন্ত্রণালয়ের একটি দল শীঘ্রই সহিংসতা জর্জরিত এলাকা পরিদর্শনে যাবে। এছাড়াও ‘অতি-সংবেদনশীল’ এলাকায় পুনরায় বিতর্কিত এএফএসপিএ বা ‘আর্মড ফোর্সেস (স্পেশাল পাওয়ার্স) অ্যাক্ট’ জারির বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার জিরিবামসহ ছয়টি থানা এলাকায় এএফএসপিএ আইন জারি করা হয়। 

সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘পূর্ণ সমন্বয়’ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের বাহিনীগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাগুলো নিয়ে একটি যৌথ সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা শুরু করা হবে।

এক বছরেরও বেশি সময় আগে কুকি-মৈতৈ সম্প্রদায়ের মধ্যে শুরু হওয়া সংঘাতের জেরে মণিপুরে নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে। এ সংঘাতে শুধু চলতি মাসেই কুকি সম্প্রদায়ের ১০ জনসহ ১৯ জন খুন হয়েছেন। 

এছাড়াও এক স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা সহিংসতাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। এরই মধ্যে জিরিবাম জিরি নদী থেকে শিশু ও নারীসহ ছয়জনের লাশ উদ্ধার হয়। এর প্রতিবাদে বহু ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। হামলা-ভাঙচুর চালানো হয় ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কার্যালয়েও। হামলার চেষ্টা করা হয় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাড়িতেও।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button