সাঈদীর জানাজায় সেই সুখরঞ্জন বালি
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজায় আসেন যুদ্ধাপরাধের মামলায় বহুল আলোচিত সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি।
এ সময় তিনি বলেন, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী নির্দোষ, তিনি আমাদের এমপি ছিলেন, আমরা তখন নিরাপদে বসবাস করি। তুমি কোন অপরাধ করেননি।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে সাঈদী ফাউন্ডেশনের (পিরোজপুর নতুন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন) ভবনে তাকে দেখা গেছে।
এদিকে সাঈদী ফাউন্ডেশন মাঠে এরই মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, মাওলানা তারেক মনোয়ারসহ দলের শীর্ষ ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এর আগে সাঈদীর ছোট ছেলে মাসুদ সাঈদী এক বার্তায় জানান, ‘পিরোজপুরের আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের বায়তুল হামদ জামে মসজিদের পাশে কবর খনন করা হয়েছে। এখানেই শুয়ে আছেন তার বড় সন্তান রাফীক বিন সাঈদী, তার ছোট ভাই হুমায়ুন কবীর সাঈদী, তার বড় পুত্রবধূ সুমাইয়া রাফীক সাঈদী।’
এদিকে ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে সাঈদীর মরদেহ বহনকারী ফ্রিজিং গাড়ি পিরোজপুরে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। এর আগে ভোর ৫টার দিকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে বিক্ষোভ করেন জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। ঢাকায় সাঈদীর জানাজা পড়ানোর দাবি করেন তারা। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।