সামরিক শক্তিতে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র
মাতৃভূমির সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও শত্রু দেশের হুমকির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য একটি দেশের সামরিক শক্তি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে। এই প্রেক্ষিতে বিশ্বের উল্লেখযোগ্য প্রায় দেড় শতাধিক দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা ও শক্তি পর্যবেক্ষণ করে প্রতি বছর একটি তালিকা প্রকাশ করে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার (জিএফপি)। সবশেষ তালিকায় চলতি বছর ১৪৫টি দেশ স্থান পায়। এসব দেশের সামরিক শক্তির ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে র্যাঙ্কিং করে প্রকাশ করা হয় দেশের নাম।
মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ায় আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোন দেশগুলো সামরিক শক্তির বিবেচনায় শীর্ষে অবস্থান করছে, অনেকের মনে সেই প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে।
সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তালিকা অনুযায়ী, বরাবরের মতো চলতি বছরও সামরিক শক্তিতে শীর্ষ স্থান দখলে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তালিকার তলানিতে ১৪৫ নাম্বার দেশ হিসেবে নাম রয়েছে ভুটানের। দক্ষিণ এশিয়ার প্রভাবশালী এবং পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারতের অবস্থান আগের বছরের মতোই চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় শক্তিধর দেশ পাকিস্তান দুই ধাপ পিছিয়ে নবম স্থানে রয়েছে। তবে এই অঞ্চলে আরেক শক্তিশালী রাষ্ট্র বাংলাদেশের অবস্থান তিন ধাপ এগিয়ে ৪০তম অবস্থান থেকে হয়েছে ৩৭তম।
দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে নতুন বিশ্বব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়া এবং চীন। এর পরের স্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। পঞ্চম থেকে ১০তম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, জাপান, তুরস্ক, পাকিস্তান ও ইতালি। ১১তম থেকে ২০তম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ফ্রান্স, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মিসর, অস্ট্রেলিয়া, ইসরাইল, ইউক্রেন, জার্মানি এবং স্পেন।
২১তম অবস্থান থেকে ২৫তম অবস্থানে রয়েছে পোল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সৌদি আরব, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড। সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তালিকা অনুযায়ী, চলতি বছর সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৭তম।