International

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার: নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সিরিয়ায় ছোট আইনসভা

নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সংসদীয় শূন্যস্থান পূরণের জন্য একটি ছোট আইনসভা গঠন করবেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল–শারা। গত বুধবার সিরিয়ার পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সিরিয়ার সংবিধান স্থগিত করা হয়। সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার প্রথমবার টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে আল–শারা ছোট আইনসভা গঠনের কথা বলেন। ডয়চে ভেলের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

আহমেদ আল-শারা তাঁর বক্তব্যে জাতীয় সংলাপ সম্মেলনের আয়োজন এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই প্রক্রিয়া সিরিয়াকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাবে। আল-শারা এ সময় নাগরিক শান্তি এবং সিরিয়ার আঞ্চলিক ঐক্য রক্ষারও অঙ্গীকার করেন।

গত বুধবার সানার খবরে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনার জন্য আল-শারাকে একটি অস্থায়ী আইন পরিষদ গঠনের ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে। নতুন একটি সংবিধান গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত এ আইন পরিষদ নিজেদের দায়িত্ব পালন করে যাবে।

আল-শারা আরও বলেন, ‘আমরা আগামী দিনে জাতীয় সংলাপ সম্মেলন প্রস্তুত করার জন্য একটি কমিটি ঘোষণা করব।’

আল-শারা আগেই বলেছেন, নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়ায় চার বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। উল্লেখ্য, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের বাথ পার্টি বিলুপ্ত করার ঘোষণা দিয়েছে আল-শারার সরকার।

অর্থনীতি চাঙা করতে কাজ শুরু

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়, সিরিয়ার নতুন ইসলামপন্থী নেতারা দেশটির অর্থনীতি চাঙা করতে সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন। তাঁদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে এক–তৃতীয়াংশ সরকারি চাকরি বিলুপ্ত করা এবং অর্ধশতাব্দী ধরে আসাদ–পরিবারের কর্তৃত্বে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ব্যক্তিগত খাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয়।

গত বছরের ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অভিযানে বাশার আল–আসাদ সরকারের পতন ঘটে। এরপর দেশটিতে দুর্নীতি ও অপচয়ের অভিযোগে সরকারি কর্মকর্তাদের ছাঁটাই বেড়েছে। এ নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স হায়াত তাহরির আল–শামের নেতাদের নিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচজন মন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তাঁরা সবাই সরকারি চাকরি বিলুপ্ত করার কথা বলেছেন।

সিরিয়ার নতুন অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী বাসিল আবদেল হান্নান বলেন, এখন একটি প্রতিযোগিতামূলক মুক্তবাজার অর্থনীতির দিকে যেতে বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ ছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার অধীনে রাষ্ট্রপরিচালিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বেসরকারীকরণের জন্য কাজ করা হবে। এ ধরনের ১০৭টি লোকসানি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে ছাড়া হবে। তবে কৌশলগত জ্বালানি ও পরিবহন খাত সরকারের হাতে থাকবে। সিরিয়ার মূল শিল্পগুলো হচ্ছে তেল, সিমেন্ট ও স্টিল।

দেশটির অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আবাজিদ বলেন, সরকারি বেতনভুক্ত ১৩ লাখ মানুষের মধ্যে মাত্র ৯ লাখ কাজে আসছেন, কিন্তু বাকি ৪ লাখ ভুতুড়ে নাম।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button