সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ইসলামপন্থী নেতা শারার সঙ্গে বৈঠক করলেন ট্রাম্প, সম্পর্ক স্বাভাবিক করায় আগ্রহ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ বুধবার সৌদি আরবের রিয়াদে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর আগে আকস্মিক এক ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্র জানায়, সিরিয়ার ইসলামপন্থী নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর থেকে তারা আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে এবং দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
রিয়াদে আজ যুক্তরাষ্ট্র ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ট্রাম্প এ তথ্য জানান। সম্মেলনের আগে ট্রাম্প শারার সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উপস্থিতিতে করমর্দন করেন তাঁরা। এই ছবি সৌদির রাষ্ট্রীয় টিভিতে প্রচার করা হয়।
হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র জানান, শারাকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আহ্বানও জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু অংশ আল-কায়েদার সঙ্গে শারার অতীত সংযোগ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকলেও রিয়াদে গতকাল মঙ্গলবার দেওয়া এক ভাষণে ট্রাম্প বলেন, তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছেন; যা যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও ওই সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন। দেশটির বার্তা সংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।
ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু অংশ আল–কায়েদার সঙ্গে শারার অতীত সংযোগ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকলেও রিয়াদে গতকাল মঙ্গলবার দেওয়া এক ভাষণে ট্রাম্প বলেন, তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছেন; যা যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তন।
ইসরায়েল শারার প্রশাসন নিয়ে এখনো গভীরভাবে সন্দিহান থাকলেও সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ওই ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা শারাকে এখনো একজন ‘জিহাদি’ নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন; যদিও ২০১৬ সালে তিনি আল–কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। সিরিয়াকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসরায়েল সরকার তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত শারার জন্য একটি বড় সাফল্য। গত ডিসেম্বরে সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির নিয়ন্ত্রণভার নেন তিনি। তবে গত মার্চে বাশারপন্থীদের আকস্মিত হামলা ও পাল্টা ইসলামপন্থীদের আক্রমণে শত শত লোক নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্রের ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়।
আহমেদ আল–শারা আগে আল-কায়েদার সিরিয়া শাখার নেতা ছিলেন। ইরাকে থাকতে তিনি এই সংগঠনে যোগ দিয়েছিলেন। পরে পাঁচ বছর সেখানকার মার্কিন কারাগারে বন্দী ছিলেন তিনি। গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র তাঁর মাথার দাম হিসেবে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কারের ঘোষণা তুলে নেয়।