সুপারমুন ও ব্লু মুন : বিরল মিলন এবং এর বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ
১৯ আগস্ট রাতে আকাশে বিরল এক জ্যোতির্বিদ্যাগত ঘটনা ‘সুপার ব্লু মুন’ দেখা গেছে। এই বহুল প্রতীক্ষিত ঘটনা প্রায় এক বছর পর আবারও দৃশ্যমান হলো। কারণ, এর আগে সর্বশেষ ব্লু মুন দেখা গিয়েছিল ২০২৩ সালের ৩০ আগস্ট। তবে, এই নাম শুনে যেমনটা মনে হতে পারে, চাঁদ আসলে নীল নয়, এবং এর আকারের পরিবর্তনও সাধারণত খুব সূক্ষ্ম।
এই বিশেষ ঘটনাটির সঠিক অর্থ বুঝতে পারলে তা আমাদের প্রত্যাশাকে সঠিকভাবে স্থির করতে সহায়তা করবে। যদিও এটি চাক্ষুষভাবে তেমন আকর্ষণীয় নাও হতে পারে।সুপারমুন কী?
‘সুপারমুন’ ঘটে যখন পূর্ণিমার চাঁদ পৃথিবীর কক্ষপথের সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে আসে, যাকে ‘পেরিজি’ বলা হয়। যখন চাঁদ এই অবস্থানে থাকে, তখন তা স্বাভাবিকের তুলনায় সামান্য বড় এবং উজ্জ্বল দেখা যায়। তবে, আকারের এই পার্থক্য সাধারণত সূক্ষ্ম হয় এবং পেরিজিতে চাঁদ সর্বাধিক ১৪ শতাংশ বড় দেখাতে পারে। যারা খুঁটিয়ে আকাশ পর্যবেক্ষণ করেন না, তাদের জন্য এই পার্থক্য বোঝা কঠিন হতে পারে।
ব্লু মুন কী?
ব্লু মুন সাধারণত দুটি ধরণের হয়: যখন একই মাসে দুইটি পূর্ণিমা ঘটে অথবা একটি ঋতুতে চারটি পূর্ণিমা হলে তার তৃতীয়টি ব্লু মুন হিসেবে ধরা হয়। ১৯ আগস্টের ব্লু মুন ছিল ঋতুভিত্তিক। এর নামের সাথে রঙের কোনো সম্পর্ক নেই, অর্থাৎ চাঁদ আসলে নীল হয় না। চাঁদ নীল দেখানোর জন্য বিশেষ পরিবেশগত অবস্থার প্রয়োজন হয়, যেমন ধোঁয়া বা ধূলিকণার উপস্থিতিতে আলোর বিচ্ছুরণ, যা চাঁদকে নীল আভা দিতে পারে। তবে এটি অত্যন্ত বিরল এবং এই ঘটনা চলাকালে এরকম কিছু দেখা যাবে না।
সুপারমুন এবং ব্লু মুন কি একসাথে ঘটে?
না, সুপারমুন এবং ব্লু মুন সবসময় একসঙ্গে ঘটে না। সুপারমুন বছরে কয়েকবার দেখা যায়, কিন্তু ব্লু মুন অনেক কম ঘন ঘন ঘটে। সুপারমুন এবং ব্লু মুনের মিলন বিরল, যা সাধারণত প্রায় দশ বছর পরপর ঘটে। পরবর্তী সুপার ব্লু মুন ২০৩৭ সালের আগে আর দেখা যাবে না, যা এই ঘটনাকে আকাশ পর্যবেক্ষকদের জন্য বিশেষ একটি সুযোগ করে তুলেছে।