Hot

সোয়া ১২ কোটি ভোটারের তথ্যভান্ডার, নিয়ন্ত্রণ ঠিকাদারের হাতে

বাংলাদেশের নাগরিকদের ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির কাজ ২০০৭ সালে শুরু করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বর্তমানে ভোটার তালিকায় নাম আছে সোয়া ১২ কোটি নাগরিকের। ভোটারদের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে তথ্যভান্ডার বা ডেটা সেন্টার গড়ে তুলেছে ইসি। ডেটা সেন্টারের সার্ভারের প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ নেই নির্বাচন কমিশনের। বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটির হাতে মূলত নিয়ন্ত্রণ। ডেটা সেন্টারের ক্রেডেনসিয়াল, সোর্স কোড, নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রাম, সিস্টেম আর্কিটেকচারসহ সবকিছুই ওই প্রতিষ্ঠান এবং এর সহযোগী আইবিসিএস প্রাইমেক্স সফটওয়্যার নামের প্রতিষ্ঠানের কাছে। নিয়ন্ত্রণ না পাওয়া পর্যন্ত ডেটাবেজের নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে চিন্তায় আছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার কমিশনার। মূলত এরপরই টাইগার আইটির কাছ থেকে ডেটা সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ নিতে দৃশ্যমান কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ইসি সচিবালয়। প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে টাইগার আইটি ও আইবিসিএস প্রাইমেক্স সফটওয়্যার লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কর্মকর্তারা। ওই বৈঠকে কিছু কিছু সফটওয়্যারের সোর্স কোড ‘নিজস্ব বুদ্ধিভিত্তিক উদ্ভাবিত সম্পদ’ (ইনটেলেকচুয়াল প্রোপার্টি) উল্লেখ করে তা ইসিকে হস্তান্তরে আপত্তি জানান প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মকর্তারা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে অনিষ্পন্ন অবস্থায় ওই বৈঠক শেষ হয়।

বৈঠকে অংশ নেওয়া নির্বাচন কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, প্রতিষ্ঠান দুটিকে ২০২৩ সালের আগে কিছু কাজ দেওয়া হয়। সেগুলোর চুক্তিতে স্বত্বাধিকারী নির্বাচন কমিশনকে হস্তান্তর করার বিষয়ে তেমন কিছু উল্লেখ করেননি তৎকালীন কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় ডেটা সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার জন্য কপিরাইট আইনের ১৫ নম্বর ধারা অনুসরণ করতে টাইগার আইটিকে বলা হয়েছে। ওই ধারা অনুযায়ী, চুক্তিতে অন্য কিছু না থাকলেও এসব সফটওয়্যার বা সিস্টেমের প্রথম স্বত্বাধিকারী হিসাবে মালিকানা নির্বাচন কমিশনের।

ভোটার ডেটা সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ টাইগার আইটির কাছে থাকার বিষয় স্বীকার করে নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম যুগান্তরকে বলেন, সোর্স কোড ডেটা সেন্টারের চাবির মতো। ঘরের চাবি অন্যের কাছে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ। সোর্স কোড ইসিকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ওই প্রতিষ্ঠানকে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এসব বুঝে নেওয়ার জন্য টিম গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইসির জনবল যাতে ওই ডেটা সেন্টার রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে, সেজন্য তাদের প্রশিক্ষণ দিতে টাইগার আইটিকে বলা হয়েছে।

জানতে চাইলে টাইগার আইটির পরিচালক এএইচএম রাশেদ সরোয়ার যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের যে ডেটা সেন্টার গড়ে উঠেছে, এর পেছনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আমাদের অবদান সবচেয়ে বেশি। টাইগার আইটির সময়কালে ডেটাবেজে কোনো ধরনের ডেটা হ্যাক বা চুরি হয়নি। তিনি বলেন, সব ডেটাবেজের স্কেমা, এপিআই-এর সোর্স কোড, ক্রেডেনসিয়াল, প্রতিটি মডিউল বা ফাংশনের অ্যালগরিদমসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ইসিকে বুঝিয়ে দেব। অটোমেটিক বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন (এবিআইএস) সিস্টেমের কোর ম্যাচিং অ্যালগরিদম টাইগার আইটির নিজস্ব উদ্ভাবন হওয়ায় এর সোর্স কোড দেওয়া হবে না। কারণ, এবিআইএস প্রযুক্তি আমরা অন্য প্রকল্প, এমনকি দেশের বাইরেও ব্যবহার করছি। তিনি জানান, ভোটার রেজিস্ট্রেশন সফটওয়্যার (বিভিআরএস) সিস্টেমের কিছু টেকনোলজি আইবিসিএস প্রাইমেক্স লিমিটেডের নিজস্ব উদ্ভাবন হওয়ায় সেগুলো হস্তান্তর করবে না বলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারাও ইসিকে জানিয়েছে। তবে এতে ইসির কাজে ব্যাঘাত ঘটবে না।

মূলত ডেটা সিস্টেমের সোর্স কোড যার কাছে থাকে, ডেটা সেন্টারের মূল নিয়ন্ত্রণ থাকে তার হাতেই। সোর্স কোড না পাওয়া পর্যন্ত ডেটা সেন্টারের কাঠামোগত পরিবর্তনের ক্ষমতা পাচ্ছেন না ইসির কর্মকর্তারা। এ কারণে তথ্যভান্ডার সিস্টেমে সাইবার হামলা বা হ্যাংকিং রোধে নিরাপত্তা, ত্রুটি ধরা পড়লে ইসির অনুরোধে তা সমাধান করাসহ অন্যান্য নীতিনির্ধারকের কাজ করে আসছে টাইগার আইটি। যদিও টাইগার আইটির শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, এ ডেটা সেন্টার পরিচালনার মতো ইসির দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবল তৈরি হয়নি। এ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কর্মরত অস্থায়ী কর্মকর্তাদের হাতে সোর্স কোড দেওয়া আরও ঝুঁকিপূর্ণ। সোর্স কোড তাদের কাছে থাকায় এখন পর্যন্ত ডেটাবেজের কোনো সমস্যা হয়নি।

প্রতিবছর ২ মার্চ ভোটার দিবস উদযাপন করে নির্বাচন কমিশন। ওইদিন হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। চলতি বছরের ২ মার্চ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশের ভোটার ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। যদিও ওই সময়ের পর তালিকায় প্রতিনিয়ত নতুন ভোটার যুক্ত হচ্ছেন। ‘প্রিপারেশন অব ইলেকট্ররাল রোল উইথ ফটোগ্রাফ অ্যান্ড ফেসিলেটিং দ্য ইস্যুজ অব ন্যাশনাল আইডেন্টি কার্ডস’, ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ)’ প্রথম পর্যায় প্রকল্প এবং আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ-২)-এই তিন প্রকল্পের আওতায় এ ভোটার ডেটাবেজ তৈরি করেছে ইসি। এ ডেটাবেজ তৈরিতে ভোটার রেজিস্ট্রেশন সফটওয়্যার (বিভিআরএস) এবং দ্বৈত ভোটার শনাক্তে অটোমোটেড বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (এবিআইএস)-সহ বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে প্রথম ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ‘অপরাশেন নবযাত্রা’ নামে ওই কার্যক্রম শুরু হয়। তখন ডেটা এন্ট্রি সংক্রান্ত সফটওয়্যার সরবরাহ করে টাইগার আইটি। ২০১০ সালে উন্মুক্ত টেন্ডারে দেশব্যাপী ভোটার রেজিস্ট্রেশনের জন্য নতুন একটি অ্যাপ্লিকেশন এবং হার্ডওয়্যারসহ একটি ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেম তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় টাইগার আইটিকে। ওই প্রকল্পটি ছিল মূলত ভোটার রেজিস্ট্রেশন সফটওয়্যার, ওরাকল এক্সাডেটা মেশিন, ওরাকল ডেটাবেজ এবং ওয়েব লজিকের সম্মিলিত একটি সিস্টেম। এভাবে এখন পর্যন্ত সবকটি প্রকল্পে নিরবচ্ছিন্নভাবে ডেটা সেন্টারে কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি। ডেটা সেন্টারে আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ যুক্ত করা, দ্বৈত ভোটার শনাক্ত করাসহ প্রধান কাজগুলো করেছে এ প্রতিষ্ঠান। ছবিসহ ভোটার তালিকা শুরুর দিকে উন্মুক্ত টেন্ডারে প্রতিযোগিতা করে কাজ পায় প্রতিষ্ঠানটি। একপর্যায়ে টেন্ডার ছাড়াই সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ায় (ডিপিএম) কাজ দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ৩৪ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের কাজ দেওয়া হয় এ প্রতিষ্ঠানকে। চুক্তির আগেই প্রতিষ্ঠানটিকে আগাম কাজ দেওয়ার ঘটনাও রয়েছে। একইভাবে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ায় আইবিসিএস প্রাইমেক্স সফটওয়্যার কাজ পায়। আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের ডিপিপিতে ওই কাজগুলো সরাসরি ক্রয়ের বিধান আগেই যুক্ত করা হয়।

সাম্প্রতিককালে সরকারের ‘অতি গোপনীয়’ এক প্রতিবেদনে টাইগার আইটিকে এসব সুবিধা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সম্পৃক্ততা উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। তিনি আইডিইএ প্রকল্পে ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রকল্প পরিচালক এবং ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনার হিসাবে ইসির তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক কমিটির প্রধান ছিলেন। অন্যরা হলেন আইডিইএ (প্রথম পর্যায়) প্রকল্পের তৎকালীন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন (২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রকল্প পরিচালক), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম (২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রকল্প পরিচালক), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর ভাগিনা আব্দুর রহিম খান সোহেল (যিনি আইটি সোহেল নামে ইসিতে পরিচিত ছিলেন) এবং নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা। তাদের বিষয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের পরিকল্পনা অনুসারে ওইসব কর্মকর্তা টাইগার আইটিকে কাজ দিতে বিশেষ সুবিধা নেন। প্রকল্পের কেনাকাটায় এমনভাবে দরপত্রের শর্ত নির্ধারণ করা হয়, যাতে টাইগার আইটি বিশেষ সুবিধা পায়। ওইসব টেন্ডারে ডেটা সেন্টারের সফটওয়্যার কেনা ‘সেবা’ হিসাবে উল্লেখ না করে ‘পণ্য’ হিসাবে কেনা হয়। এ কারণে সফটওয়্যারের সোর্স কোডসহ অন্যান্য ক্রেডেনসিয়াল নির্বাচন কমিশনকে হস্তান্তর করার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি। ওই সময়েই কেনা সফটওয়্যারের সোর্স কোড ও অন্যান্য ডকুমেন্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করেনি টাইগার আইটি। ওই ‘অতি গোপন প্রতিবেদন’ সরকারের শীর্ষ মহলে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে প্রতিবেদনটিতে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব যেসব কর্মকর্তা টেন্ডারের স্পেসিফিকেশন তৈরি ও দরপত্র মূল্যায়ন করেছেন এবং বিভিন্ন সময়ে এ দুটি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন সুবিধা দিয়েছেন, তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক আত্মগোপনে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

টাইগার আইটিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। তিনি যুগান্তরকে বলেন, আমি প্রকল্প পরিচালক নিযুক্তের আগেই টাইগার আইটি কাজ পায়। আর নির্বাচন কমিশনার থাকাবস্থায় তাদের এককভাবে কোনো সুবিধা দেওয়ার সুযোগ ছিল না। তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন এ বিষয়ে যুগান্তরকে বলেন, কাউকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে আমার মনে পড়ে না। সেসময় বিশ্বব্যাংকের তত্ত্বাবধানে দরপত্র কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। আমারা তাদের (বিশ্বব্যাংক) প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করেছি। আরেক প্রকল্প পরিচালক তৎকালীন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম টাইগার আইটিকে বিশেষ সুবিধা দেননি বলে দাবি করেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর ভাগিনা আব্দুর রহিম খান সোহেল বিদেশে থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সরকারের তৈরি প্রতিবেদনটি যুগান্তরের হাতে সংরক্ষিত আছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রকল্পগুলোয় অনিয়ম হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম। তিনি যুগান্তরকে বলেন, বিগত দিনে দেওয়া অনেক কার্যাদেশে অনিয়ম দেখা যাচ্ছে। আইটি সেবা ক্রয়ের যে নিয়ম, তা অনেক ক্ষেত্রে মানা হয়নি। আমরা ওইসব চুক্তি পর্যালোচনা করব। তখন এর সঙ্গে কারা জড়িত ছিলেন, তা আরও পরিষ্কার হবে। যাদের নাম উঠে আসবে, তা উন্মুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে ডেটাবেজ নিরাপদে ইসির নিয়ন্ত্রণে আনা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এগোচ্ছি। ডেটাবেজ থেকে যে ১৮৩টি প্রতিষ্ঠান নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে, তা যেন বিঘ্নিত না হয় সেদিকেও লক্ষ রাখছি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button