Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
Hot

স্থানীয় সরকার ও সংসদ নির্বাচন বিএনপির বিপরীতে বাকিরা

বিএনপি সংসদ নির্বাচনের পর স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাইলেও অন্যরা তা আগে চায়। বিএনপি নির্বাচিত সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচনের কথা বললেও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। 

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের অভিমত, আগে তৃণমূলের ভোট দিতে জনদাবি রয়েছে। প্রকাশ্যে অবস্থান না জানালেও জামায়াতে ইসলামীর একই মনোভাব। শেখ হাসিনার পতন ঘটানো অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতৃত্বের সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি আগে স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছে।

সংগঠনটির সংশ্লিষ্টরা জনপ্রতিনিধিশূন্য স্থানীয় সরকারে আমলার পরিবর্তে রাজনৈতিক প্রশাসক নিয়োগে চিঠি দিয়েছে উপদেষ্টাকে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রশাসক নিয়োগের প্রক্রিয়া নির্ধারণে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নেতৃত্বে কাজও শুরু হয়েছে।

বিএনপি সূত্রের ভাষ্য, সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচনে জোর দেওয়া, প্রশাসক নিয়োগ করা ছাত্রনেতৃত্বের রাজনৈতিক দল গঠনকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার লক্ষণ। সরকারি সুবিধার আশায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সরকার সমর্থিত নতুন রাজনৈতিক দলে ভিড়তে পারেন। অতীতেও তা-ই হয়েছে। গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অভিমত জানানো হয়, কোনো চাপে নতিস্বীকার না করে এবং কোনো পক্ষের স্বার্থকে প্রাধান্য না দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত জাতীয় নির্বাচনমুখী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে নেওয়া। দলটির নেতাদের মত, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দুর্বল হওয়ায় নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা, নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার আশঙ্কায়ও অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচনের বিরোধী বিএনপি।

জনপ্রতিনিধিশূন্য স্থানীয় সরকার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ১৯ আগস্ট দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করে। এর পর একে একে সব সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর, ৬১ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং ৪৯৫ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। অপসারণ করা হয় ৩৩১ পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদেরও। 

আদালতের রায়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বিএনপির শাহাদাত হোসেন দায়িত্ব গ্রহণ করলেও কাউন্সিলর নেই সেখানে। জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ এবং পৌরসভাও জনপ্রতিনিধিশূন্য। সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। এ যুক্তিতে স্থানীয় সরকারে রাজনৈতিক প্রশাসক চায় জাতীয় নাগরিক কমিটি ও অন্যরা।

অন্তর্বর্তী সরকার শুধু ইউনিয়ন পরিষদগুলো বহাল রেখেছে। তবে ৪ হাজার ৫৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে অনেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বার অনুপস্থিত বা পলাতক। অনেকে উপস্থিত থাকলেও নিষ্ক্রিয়। কারণ, তাদের বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতা বা অনুসারী। আবার অনেকেই বিএনপি ও জামায়াতের পদধারী নেতা। বিএনপি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন সংসদের পরে চাইলেও ইউনিয়ন পরিষদ বিলুপ্তি চায়।

পুনর্বহালে বিতর্ক, অস্বস্তি

আওয়ামী লীগ শাসনামলে স্থানীয় সরকারের যত নির্বাচন হয়েছে, এর অধিকাংশেই দলটির নেতারা জয়ী হয়েছেন। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছিল। তবে দলটির ১৯ নেতা দলীয় নির্দেশনা না মেনে নির্বাচন করে পৌরসভায় মেয়র হয়েছিলেন। তাদেরও অপসারণ করা হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় পদে থাকা মেয়রদের পুনর্বহালে গত সেপ্টেম্বরে সরকারকে চিঠিও দিয়েছিলেন। 

তবে বেশি বিতর্কিত হয় গত ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে অপসারণকৃত পৌর কাউন্সিলরদের সমাবেশ ঘিরে। নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাসনাত আবদুল্লাহ সেই সমাবেশে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা নন, এমন কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবি তুলেছিলেন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হতে যাচ্ছে, পুনর্বহালের জন্য তাতে সহযোগিতার শর্ত দেন অপসারিত কাউন্সিলরদের। এসব বক্তব্যের সমালোচনা হলে পিছিয়ে আসে  নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। 

অপসারণ বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৬ পৌর কাউন্সিলরের করা রিটে গত ৫ জানুয়ারি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। অপসারণ কেন অবৈধ হবে না, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় এবং নাগরিক কমিটির সূত্র জানিয়েছে, আদালতের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আমলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ফিরলে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে কাজ করা আরও দুরূহ হবে। স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের অস্তিত্ব সংকট তৈরি হবে। 

বিকল্প হিসেবে প্রশাসক বসানোর চেষ্টা

নাগরিক কমিটির নেতাদের সংগঠন ফ্যাসিবাদবিরোধী তৃণমূল মঞ্চ গত ২৪ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকারে প্রশাসক নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাবে চিঠি দেয় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাকে। এতে বলা হয়, জনগণের দোরগোড়ায় নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সমাজের গণমাধ্যম ব্যক্তি, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতাদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। 

মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দীন মোহাম্মদ সমকালকে বলেন, স্থানীয় সরকারের সংস্কারে কমিশন হয়েছে। তাদের আরও কয়েক মাস লাগবে কাজ সম্পন্ন করতে। এরপর নির্বাচন হতেও কয়েক মাস লাগবে। এই অন্তর্বর্তী সময় স্থানীয় সরকার ফাঁকা থাকতে পারে না। জনসেবা মারাত্মক বিঘ্নিত হচ্ছে। মানুষ জন্ম, মৃত্যু, ওয়ারিশ সনদের মতো সাধারণ সেবা পাচ্ছে না। যে আমলাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারাও কাজ করছেন না। রমজানে নিত্যপণ্য জনসাধারণের কাছে পৌঁছানো, সামাজিক নিরাপত্তার ভাতা বিতরণে জনপ্রতিনিধি প্রয়োজন। তাই নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক নিয়োগ করা উচিত। জনসেবা নিশ্চিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে অবশ্যই স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। 

নাগরিক কমিটি সূত্র জানায়, প্রশাসক বসানোর মাধ্যমে স্থানীয় সরকারে নিজস্ব লোক বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রশাসকরা জনসেবা দিতে পারলে নাগরিক কমিটির জনভিত্তি তৈরি হবে। তাদের ঘিরে দল গঠন সহজ হবে। বিরোধ এড়াতে বিএনপি, জামায়াত নেতাদেরও সরকারের মাধ্যমে প্রশাসক পদে বসাতে রাজি নাগরিক কমিটি। ঢাকার একটি সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে প্রশাসক হিসেবে বিএনপির এক নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার আলোচনা রয়েছে। 

বিএনপি কেন নির্বাচন চাইছে না 

বিএনপির ভাষ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব জাতীয় নির্বাচনকে প্রাধান্য দেওয়া। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে পারে। কিন্তু এর আগে কোনো অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করেনি। 

বিএনপির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, জনগণ দীর্ঘ ১৫ বছর ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। ফ্যাসিবাদী সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা বিলুপ্তের পর্যায়ে নিয়েছিল। অনেক সংগ্রাম, ত্যাগ, রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। স্থিতিশীলতা তৈরিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে হবে। তাই দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দরকার।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা  বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়াতেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সংঘাত, প্রাণহানি হয়; যা অন্তর্বর্তী সরকার সামাল দিতে পারবে না। এতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করবে। বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের আগে এমন অস্থিরতা চায় না। স্থানীয় সরকার ইস্যু জাতীয় নির্বাচনকে আড়ালের ষড়যন্ত্রও হতে পারে। দেশ স্থানীয় নির্বাচনে মেতে উঠলে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সমকালকে বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে যত অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেয়নি। ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পর ইয়াহিয়া খান সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতায় এলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেয়নি। বাংলাদেশেও এর আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর কেউ স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেয়নি। নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার এর আয়োজন করে। তাই বিএনপিও চায়– আগে জাতীয় নির্বাচন হোক। গণতান্ত্রিক সরকার স্থানীয় নির্বাচন আয়োজন করবে।

অতীত নজির ও আইন কী বলে 

বিএনপি নেতারা এ দাবি করলেও জিয়াউর রহমানের সরকার সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করেছিল। ১৯৭৯ সালে হয় সংসদ নির্বাচন। এর আগের বছর ইউনিয়ন পরিষদ এবং তৎকালীন পৌর করপোরেশনের কমিশনার নির্বাচন হয়েছিল। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সামরিক সরকার ১৯৮৪ সালে ইউনিয়ন পরিষদ এবং ১৯৮৫ সালে নবগঠিত উপজেলা নির্বাচন আয়োজন করে। পরের বছর হয় সংসদ নির্বাচন। সেনা সমর্থিত ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালে কয়েকটি পৌরসভা এবং চার সিটি করপোরেশনের বহুল আলোচিত নির্বাচন হয়। ওই সরকারের সময় উপজেলা নির্বাচনের তপশিল ঘোষিত হয়। জাতীয় সংসদের সঙ্গেই ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা ছিল। তবে তা পরিবর্তন করে জাতীয় সংসদের ২৪ দিন পর, ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাচন হয়েছে।

স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো ভিন্ন ভিন্ন আইনে চলে। সব আইনে বলা হয়েছে, পরিষদ শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। সরকার ১৮০ দিনের জন্য প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে এসব নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালন করে নির্বাচন কমিশন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের (নগর উন্নয়ন শাখা) যুগ্ম সচিব মাহবুবুল হক বলেন, আইনে শূন্য পদে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনের বিধান থাকলেও, ব্যতিক্রমও আছে। দৈবদুর্বিপাক বা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এটা নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সরকার ও নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। বর্তমানে কাউন্সিলর, মেয়র, উপজেলা ও জেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধির পদ শূন্য থাকলেও সেসব স্থানে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। আর বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে।

কমিশন ও অন্যরা কী বলছে

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, অভিন্ন আইনে সংসদীয় পদ্ধতিতে একসঙ্গে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকারে এমপিদের প্রভাব কমানোর সুপারিশ করা হবে। ঢাকার বাইরে যখন যাচ্ছি, মানুষের কাছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অগ্রাধিকার হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের মতামত, শূন্যতার মধ্যে রয়েছেন তারা। ফলে নির্বাচন হয়ে যাওয়া উচিত। 

বিএনপির অবস্থানের কারণে জামায়াত স্থানীয় নির্বাচন আগে চায় কিনা– তা স্পষ্ট করছে না। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম বলেন, জামায়াত বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করছে। আলোচনা চলছে। সিদ্ধান্ত হলে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। 

জামায়াত নেতাদের মত, স্থানীয় নির্বাচন আগেই হওয়া উচিত। স্থানীয় নির্বাচনে ভালো ফল করলে সংসদ নির্বাচনে মানসিক শক্তি জোগাবে। আবার প্রতিটি সংসদীয় আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী থাকায় সব জায়গায় দলটি অনেক ভাগে বিভক্ত। সম্ভাব্য সব এমপি প্রার্থী অবস্থান শক্তিশালী করতে স্থানীয় নির্বাচনে নিজের পছন্দের নেতাকে ভোটের মাঠে নামাবেন এবং জেতাতে চেষ্টা করবেন। এতে অন্তর্কলহ আরও বাড়বে বিএনপিতে। দলীয় এমপি না থাকায়, তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এতে খারাপ ফল হতে পারে, এ আশঙ্কাতেই বিএনপি সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাইছে না। তবে এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে জামায়াতের জন্য ভালো। 

নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন সমকালকে বলেন, দুটি কারণে স্থানীয় নির্বাচন আগে হওয়া উচিত। প্রথমত, জনপ্রতিনিধি না থাকায় নাগরিক সেবা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এ দায় সরকারকে নিতে হচ্ছে। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, সংস্কার আদৌ কাজ করছে কিনা, তা সংসদ নির্বাচনের আগে যাচাইয়ের একমাত্র উপায় স্থানীয় নির্বাচন। ধাপে ধাপে স্থানীয় নির্বাচন করলে প্রশাসনসহ অন্যরা প্রভাবমুক্ত হয়ে নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে কিনা, তা আগেই পরীক্ষা করা যাবে। 

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacantoto4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d toto
slot toto
bacan4d
bacan4d
togel online
Toto Slot
saraslot88
Bacan4d Login
bacantoto
Bacan4d Login
bacan4d
bacan4drtp
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot maxwin
slot bacan4d
slot maxwin
bacan4d togel
bacan4d login
bacan4d login
bacan4d login
bacantoto 4d
slot gacor
bacansport
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot77 gacor
JAVHD
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacan4d
bacan4d
bacansport
bacansport
gacor slot
slot gacor777
slot gacor bacan4d
bacan4d
bacansport
toto gacor
bacan4d
bacansports login
slot maxwin
slot dana
slot gacor
slot dana
slot gacor
bacansports
bacansport
bacansport
bacansport
bawan4d
bacansports
bacansport
slot gacor
judi bola
slot maxwin
slot maxwin
bacansport
bacan4d
bacansport
slot gacor
slot demo
slot gacor
slot gacor
slot gacor
toto slot
slot gacor
demo slot gacor
slot maxwin
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
toto slot
bacansport
slot gacor
slot toto