স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯-এর মাধ্যমে চাঁদে যাত্রা করল দুই বেসরকারি ল্যান্ডার
চাঁদের মাটিতে গবেষণা এবং নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষার জন্য দুটি বেসরকারি চন্দ্র ল্যান্ডার সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেসের ব্লু গোস্ট এবং জাপানি কোম্পানি আইস্পেসের রেজিলিয়েন্স ল্যান্ডারগুলো গত ১৫ জানুয়ারি স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশে পাড়ি জমায়।
নাসার কমার্শিয়াল লুনার পে-লোড সার্ভিসেস (CLPS) প্রোগ্রামের অধীনে ব্লু গোস্ট পরিচালিত হচ্ছে। এতে দশটি গবেষণা ও প্রযুক্তি পে-লোড সংযুক্ত রয়েছে, যা চাঁদের মাটি (লুনার রেগোলিথ) এবং অন্যান্য পরিবেশগত উপাদান নিয়ে গবেষণা করবে।
ব্লু গোস্ট উৎক্ষেপণের পর প্রথম ২৫ দিন পৃথিবীর কক্ষপথে অবস্থান করবে। এ সময় এর সিস্টেম পরীক্ষা এবং কিছু পে-লোড পরিচালনার কাজ সম্পন্ন হবে। পরে এটি চাঁদের কাছে গিয়ে ১৬ দিনের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ শেষে মারে ক্রিসিয়াম অঞ্চলে অবতরণ করবে।
রেজিলিয়েন্স চাঁদের মারে ফ্রিগোরিস অঞ্চলে অবতরণ করার পরিকল্পনা করেছে। প্রায় ৪.৫ মাস সময় নিয়ে জ্বালানি সাশ্রয়ী পথে এটি চাঁদে পৌঁছাবে। এই মিশনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো একটি মাইক্রো রোভার টেনেশাস চাঁদে পাঠানো। টেনেশাস রোভার চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে। এটি নাসার সঙ্গে সম্পাদিত একটি চুক্তির আওতায় পরিচালিত হবে।
২০২৫ সালকে চন্দ্র অনুসন্ধানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ সময় ইনটুইটিভ মেশিনসের IM-2 এবং অ্যাস্ট্রোবটিকের গ্রিফিন মিশন ওয়ান পরিচালিত হবে। এই মিশনগুলো চাঁদে জল বরফসহ বিভিন্ন সম্পদ নিয়ে গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
চাঁদে গবেষণা ও প্রযুক্তি উন্নয়নে এই যৌথ প্রয়াসগুলো মানবজাতির মহাকাশ অভিযানের নতুন দিক উন্মোচনে সহায়ক হবে।