স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা চেয়ে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম সাত কলেজের
এই সাত কলেজ গত সাত বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজগুলোর অধিভুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যহারের কয়েক ঘণ্টা পর এবার সাত কলেজের জন্য স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার রূপরেখা চেয়ে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সাত কলেজের জন্য স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র আবদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সাত কলেজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কেমন হবে, তার একটি বিস্তারিত রূপরেখা চাই।’
ঢাকা কলেজ মিলনায়তনে সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
‘রূপরেখা তৈরির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি আমাদের জানিয়েছে যে তাদের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং শিগগির এটি জমা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তবে আমরা এর জন্য ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছি’, যোগ করেন তিনি।
এই সাত কলেজ গত সাত বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজগুলোর অধিভুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে গতকাল সোমবার ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। পরে আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সচিবালয়ে এক বৈঠকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
গত রোববার (২৬ জানুয়ারি) পাঁচ দফা দাবি নিয়ে কথা বলতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এরপর সেখান থেকে বের হয়েই এর প্রতিবাদে শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব ও টেকনিক্যাল মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন তারা।
রাতে নীলক্ষেত মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীধের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরে রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা কমে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে কয়েক প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়।