স্যাটেলাইট বাজার দখল, মাস্ক বনাম আম্বানির লড়াই
ভারতের স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড বাজারের দখল নিয়ে বিশ্বের অন্যতম দুই শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক ও মুকেশ আম্বানির মধ্যে প্রতিযোগিতা তীব্রতর হচ্ছে। ব্রডব্যান্ডের জন্য স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম নিলামের পরিবর্তে প্রশাসনিকভাবে বরাদ্দ করা হবে বলে গত সপ্তাহে ভারত সরকার ঘোষণা করে। এরপর তাদের মধ্যে যুদ্ধ আরও জমে ওঠে।
এর আগে আম্বানি সমর্থিত নিলাম মডেলের সমালোচনা করেছিলেন মাস্ক। ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করার পর ভারত জানায়, স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম বণ্টনের ক্ষেত্রে নিলাম হবে না। প্রশাসনিকভাবে বণ্টন করা হবে স্পেকট্রাম। আগে টেরিস্ট্রিয়াল স্পেকট্রামের বণ্টন নিলামের ভিত্তিতে হতো। জিও ও এয়ারটেল এই পদ্ধতিকেই বেশি পছন্দ করে থাকে। তবে মাস্ক বরাবরই নিমাল পন্থার বিরোধিতা করে এসেছেন।
ভারতের টেলিকম নিয়ন্ত্রক স্পেকট্রাম এখনও মূল্য ঘোষণা করেনি এবং বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা এখনও শুরু হয়নি। দেশটির ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি আইসিআর জানায়, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট গ্রাহক দুই মিলিয়নে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এ বাজার খুবই প্রতিযোগিতামূলক।
বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই প্রশাসনিকভাবে স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম বণ্টন করা হয়ে থাকে। তবে ভারতে এতদিন স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম বণ্টন হতো নিলামের মাধ্যমে। তাতে সুবিধা পেতেন ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। পাশাপাশি এয়ারটেলের ভারতী সুনীল মিত্তলও এই পদ্ধতিকেই সমর্থন করেন। তবে অ্যামাজনের প্রজেক্ট কুইপার থেকে স্টারলিংক চাইছিল, যাতে ভারতে প্রশাসনিকভাবেই স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম বণ্টন হয়।
ভারত ইন্টারন্যাশনাল টেলিকম ইউনিয়নের সদস্য। এটি জাতিসংঘের একটি সংস্থা। এই সংস্থার সদস্য হওয়ার সুবাদে ভারতের আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম বণ্টন করা উচিত বলে দাবি করেছিলেন মাস্ক। এই আবহে সম্প্রতি ভারতের টেলিকমমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘোষণা করেন, বিশ্বের বাকি জায়গার মতো ভারতেও এখন থেকে প্রশাসনিকভাবে স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম বণ্টন হবে।