Bangladesh

হরতাল-অবরোধ: বাড়তি দায়িত্বের মধ্যে বাড়তি খরচের বোঝা পুলিশের

সরকারবিরোধী আন্দোলনে জননিরাপত্তায় পুলিশকে পালন করতে হচ্ছে প্রধান দায়িত্ব; দিতে হচ্ছে বাড়তি শ্রম। ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় থাকতে হচ্ছে তাদের

হরতাল ও অবরোধের মত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জনচলাচলসহ অনেক কিছুই সীমিত হয়ে পড়ে; সড়ক ফাঁকা পড়ে থাকলেও নানান অনিশ্চয়তা মোকাবিলায় দায়িত্ব বাড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর, যাদের বড় অংশই পুলিশ।

জ্বালাও-পোড়াও আর সহিংসতার ঝুঁকি সামলানোর পাশাপাশি সতর্কতা ও নজরদারিতে নিয়মিত জনবলের বাইরে পুলিশ বাহিনীকে নিয়োগ করতে হয় বাড়তি সদস্য।

সরকার হটানোর এক দফা দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি ও জামায়াতের চলমান হরতাল ও অবরোধেও সেই ধাক্কা সামলাতে মাঠে নামতে হয়েছে তাদের। মোড়ে মোড়ে, সড়কে সড়কে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে সকাল থেকে রাত পেরিয়ে ভোর পর্যন্ত।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় কাকরাইল, নয়াপল্টন, রাজারবাগ এলাকা। সংঘর্ষে প্রাণ যায় এক পুলিশ কনস্টেবলের, আহত হন অনেকে।

পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স, ভাংচুর করা হয় হাসপাতালে। আন্দোলনকারীদের দমাতে ক্ষয় হয়েছে রাবার-বুলেট-টিয়ার গ্যাসসহ অনেক সরঞ্জাম, যা কিনতে হয়েছে বিদেশ থেকে।

এরপর থেকে চলছে বিএনপি ও জামায়াতের ডাকে টানা অবরোধ। পাঁচ দফা অবরোধ শেষে রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু হচ্ছে। জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে শুধু রাজধানী ঢাকাতেই অন্যান্য দিনের চেয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে পুলিশকে। প্রতিদিন বাড়তি খরচ হচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এ অবস্থা সারা দেশেই এবং নিয়মিত খরচের বাইরে এসব বাড়তি খরচ সরকারের কোষাগার থেকেই দিতে হচ্ছে। তাছাড়া এসব দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কারও জীবনহানি ঘটছে, আহত হচ্ছেন। আবার টানা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দিনের পর দিন বিশ্রাম না পাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেক পুলিশ সদস্য।

গেল ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শতশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে। দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিও বার্তায় নিয়মিত কর্মসূচি দিচ্ছেন।  

এর অংশ হিসেবে ২৯ অক্টোবর সারাদেশে হয় হরতাল। এক দিন বিরতি দিয়ে টানা তিন দিন অবরোধ, পরে সাপ্তাহিক ছুটির দুদিন বাদ দিয়ে টানা দুদিন অবরোধ পালন করে বিএনপি ও জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো।

এরপর আবার মাঝখানে ৭ নভেম্বর বাদ দিয়ে দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেয় তারা। নতুন করে রোববার থেকে আবার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডেকেছে।

এসব কর্মসূচির দিন-রাতে জীবনযাত্রা এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাড়তি পুলিশ নামাতে হচ্ছে মাঠে। বাহিনীর সব শাখার সদস্যদের কাজ করতে হচ্ছে নিয়মিত কর্মঘণ্টার চেয়ে অনেক বেশি। পাশাপাশি বিজিবি বা আনসার থাকে সহযোগী হিসেবে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, “বিষয়টি অন্যভাবে দেখলে বলা যায় এটি আমাদের দায়িত্ব। আমরা সব সবসময় জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে এবং আইনশৃঙ্লার যেন অবনতি না হয় সে বিষয়টি দেখভাল করে থাকি।

“তবে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকারীদের ব্যাপারে খাবারের একটা টাকা দেওয়া হয়।”

এটা সবসময়ই করা হয়ে থাকে বলে জানালেন তিনি।

আন্দোলনের এসব বিশেষ দিনগুলোতে ঢাকা মহানগরীতে পুলিশের বাড়তি খরচটা কেমন হয় জানার জন্য যোগাযোগ করা হয় যুগ্ম কমিশনার, উপ কমিশনার (মিডিয়া), উপ কমিশনার (অর্থ), উপ কমিশনার (ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগ) ও উপ কমিশনার (পরিবহন) এর সঙ্গে।

তাদের প্রত্যেকেই বলছেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে বাড়তি যে খরচ হয় সেটির হিসাব সুনির্দিষ্টভাবে বলা মুশকিল। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে খরচগুলো স্পষ্ট। সে‍গুলোর মধ্যে রয়েছে খাবার ও জ্বালানি। তবে হতাহতের ঘটনা একটা বিশেষ বাস্তবতা এবং নিহতের জন্য ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসা খরচের হিসাবটা সম্পূর্ণ আলাদা থাকে।

ঢাকায় থাকে দৈনিক ৮-৯ হাজার পুলিশ

হরতাল-অবরোধের সময় রাজধানীতে দিনের বেলায় আট থেকে নয় হাজার এবং রাতে হাজার সাতেক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকে বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি বলেন, “সময় এবং অবস্থাভেদে সংখ্যাটা কমও হতে পারে।”

তৃতীয় দফার অবরোধ চলাকালে কাকরাইল এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন পুলিশের এএসআই আকতার হোসেন।

তিনি বলেন, “অবরোধ হরতালের মত বিশেষ দিনগুলোতে খাবারের জন্য ১৪০ টাকা করে বিশেষ ভাতা পাই। তবে এই টাকা পেতে সপ্তাহখানেক সময় লাগে।”

তিনি জানান, খাবারের এই টাকা পেলেও অন্য কোনো ভাতা তাদের নেই। তাছাড়া বিশেষ এইসব দিনে দায়িত্ব পালনের সময় তাদের জন্য মেস থেকে যে খাবার আসে তা ‘প্রায় খাওয়ার অযোগ্য’। এজন্য তারা বাইরের খাবার খান। তবে কোনো দিন বড় ধরনের হাঙ্গামা হলে খাওয়ার সুযোগই মেলে না।

কী পরিমাণ সদস্যকে মাঠে দায়িত্ব পালনের জন্য টাকা দিতে হয়, তার একটি ধারণা পাওয়া গেছে উপ কমিশনার (অর্থ) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শিকদারের কাছ থেকে। তিনি জানান, বুধবার তার কাছে আট হাজার পুলিশ সদস্যের একটি তালিকা এসেছে যারা অবরোধের দায়িত্ব পালন করেছেন।

এ ব্যাপারে উপ কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেন, “বিশেষ এসব দিনে ডিউটির তালিকায় যাদেরই নাম থাকবে, তারা ১৪০ টাকা করে পাবেন। এখানে পদবির কোনো বিষয় নেই।”

দায়িত্বরতদের জায়গায় গিয়ে খাবার সরবরাহ করা সময়সাপেক্ষ। আবার খাবার নষ্ট হতে পারে বিবেচনায় নগদ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় বলে জানান তিনি।

দুপুরের খাবারেই দৈনিক অতিরিক্ত ১১ লাখ টাকা

দুই কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৪০ টাকার হিসাবে এই আট হাজার সদস্যকে প্রায় ১১ লাখ টাকার উপরে দিতে হবে। এটা মাত্র এক দিনের হিসাব।

ডিএমপির উপ কমিশনার (অর্থ) সালাউদ্দিন শিকদার জানান, খাবারের ১৪০ টাকার বাইরে অবরোধ বা হরতালের কারণে তাদের কোনো বাড়তি ভাতা বা ওভারটাইম নেই।

তবে পুলিশের কাজ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কনস্টেবল থেকে এসআই পর্যন্ত নিয়মিতই ‘ঝুকিঁভাতা’ পায়। এটা প্রতি মাসে দেওয়া হয়, বিশেষ দিন বলে কিছু নেই।

একজন কনস্টেবল গড়ে ২ হাজার, নায়েক গড়ে ২ হাজার ৪০০, এএসআই ২ হাজার ৭০০ এবং এসআই সাড়ে ৩ হাজার টাকা পেয়ে থাকেনে বলে জানান তিনি।

জ্বালানিতে খরচ বাড়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ

খাওয়ার পেছনে বিশেষ বরাদ্দ ছাড়াও হরতাল অবরোধকেন্দ্রিক পরিবহন খাতেও বাড়তি খরচ আছে।

বরিশালের পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলছিলেন, হরতাল বা অবরোধের মত কর্মসূচিতে এলাকাভিত্তিক অতিরিক্ত মোবাইল টিমের দায়িত্বপালন করতে গিয়ে জ্বালানি খরচ বেড়ে যায়। তবে অন্য খাতে তাদের কোনো বাড়তি খরচ নেই।

কী পরিমাণ খরচ বাড়ে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে না পারলেও তিনি বলেন, “আমাদের অন্য দিনে চেয়ে শতকরা ২০ থেকে ২৫ ভাগ বাড়তি খরচ হয়।”

সাধারণ দিনে জ্বালানি খরচ কেমন হয়, সেই হিসাব অবশ্য পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ হিসাব দিতে সময় লাগবে।

উপ কমিশনার (পরিবহন) মোহাম্মদ নাঈমুল হাছানের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি প্রথমেই জানান, আগে বিশেষ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য পাবলিকের গাড়ি রিক্যুজিশন করা হত।এখন পুলিশের সক্ষমতা কিছুটা বেড়েছে। সে দিকে খুব একটা যেতে হয় না।

হরতাল- অবরোধকেন্দ্রিক অতিরিক্ত টহল বা অতিরিক্ত গাড়ি ব্যবহারের কারণে গাড়ির তেল খরচ কিছুটা বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ঢাকা মহানগরে আমাদের সবসময় বাড়তি নিরাপত্তা থাকে। সে জন্য হরতাল বা অবরোধের দিনগুলোতে গাড়ির জন্য তেল খরচ বাড়লেও সেটা খুব একটা বেশি নয়।”

নাশকতায় ক্ষতি বাড়ে

কর্মসূচিতে ঝামেলা না হলে সাধারণ হিসাবের বাইরে খরচ বেশি হয়। তবে ২৮ অক্টোবরের মত কিংবা পরদিন হরতালে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব নাশকতা ও সহিংসতা হয়েছে সেসময় পুলিশের অতিরিক্ত ব্যয়ের ধাক্কা পোহাতে হয়। এরমধ্যে ২৮ অক্টোবর পুলিশের বেশ কিছু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই ক্ষতির হিসাবের পূর্ণাঙ্গ তথ্য এখনও তৈরি হয়নি, তদন্ত চলছে।

তবে পুলিশ হাসপাতালের ভেতরে যে অ্যাম্বুলেন্সটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেটি অত্যাধুনিক আইসিইউ‍যুক্ত অ্যাম্বুলেন্স। এর দাম কোটি টাকার উপরে বলে ঘটনার পরপরই জানিয়েছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ডিআইজি রেজাউল হায়দার।

ক্ষতিপূরণে কল্যাণ তহবিল, চিকিৎসায় ভরসা পুলিশ হাসপাতাল

হরতাল বা অবরোধের মত বিশেষ দিনগুলোতে নিহতদের ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের চিকিৎসা ব্যয়ের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগের উপ কমিশনার আর এম ফয়জুর রহমানের কাছে।

তিনি জানান, কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশের কোনো সদস্য আহত বা নিহত হলে কিংবা কোনো সমস্যায় পড়লে তাদের জন্য পুলিশ কল্যাণ তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়।

“পুলিশ সদস্যদের দেওয়া অর্থই পুলিশ কল্যাণ তহবিলে জমা হয়। এই তহবিল থেকেই তাদের দেওয়া হয়।”

চিকিৎসার ক্ষেত্রে নির্ধারিত পুলিশ হাসপাতাল রয়েছে বলে জানান তিনি।

“তবে সংশ্লিষ্ট ইউনিট বা ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা অবস্থাভেদে বিভিন্নভাবে বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন,” বলেন তিনি।

মোহাম্মদুপুর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল শাখাওয়াত হোসেন জানান, প্রতিমাসে তাদের বেতন থেকে ৫০ টাকা করে কেটে নেওয়া হয় কল্যাণ তহবিলের জন্য।

“এছাড়া বছরের মাঝামাঝি এবং শেষে দুইবার ৫০০ টাকা করে মোট এক হাজার টাকা কেটে রাখা হয় কল্যাণ ফান্ডের কথা বলে।আমাদের জমানো টাকাই আমারা পাই। চাকরি জীবনে কোনো অসুবিধায় পড়লে আবেদন করে কল্যাণ ফান্ড থেকে টাকা নিয়ে থাকি।”

ঘুম-খাওয়া ‘হারাম হয়ে যায়’

পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল হকের বাড়ি ঢাকা ধামরাইয়ে। বিএনপি ও জামায়াতের দ্বিতীয় দফা টানা দুদিন অবরোধের কারণে ৬ ঘণ্টাও ঘুমাতে পারেননি বলে জানালেন। এর আগের তিন দিনের অবরোধের কারণেও তাকে প্রায় ৪০ ঘণ্টা ডিউটি করতে হয়েছে।

“এসব দিনে ঘুম, নাওয়া-খাওয়া হারাম হয়ে যায় পুলিশের,” বলছিলেন তিনি।

কনস্টেবল নাজমুল জানান, টানা এসব ডিউটি করতে গিয়ে খাওয়া এবং ঘুম নিয়মিত না হওয়ায় নানান ধরসের শারীরিক সমস্যায় পড়তে হয়। মাসে একবার হলেও তাকে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। হাসপাতাল থেকে নির্ধারিত কয়েকটা ওষুধ বিনামূল্যে পাওয়া যায়। সেসব ওষুধের বাইরে কিছু থাকলে নিজেরই কিনতে হয়। অসুস্থতার জন্য চিকিৎসক বিশেষ কোনো পথ্য দিলে সেগুলো কিনে খেতে হয়। এজন্য তার বাড়তি টাকা খরচ হয়।

পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ডিআইজি রেজাউল হায়দার বলছেন, পেটের পীড়া, শ্বাসকষ্ট, কিডনি জটিলতাসহ নানা ধরনের অসুস্থতা নিয়ে পুলিশ সদস্যরা বেশি আসেন।

কতটা ব্যয় গোলাবারুদে

বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটে সে ব্যাপারে দায়ের করা দুটি মামলায় গোলাবারুদ ব্যবহারের একটি তথ্য মিলেছে।

এ দুটি মামলার মধ্যে একটি পল্টন থানায় দায়ের করা পুলিশ হত্যা মামলা এবং অপরটি প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলায়।

প্রধান বিচারপতির বাসার হামলা এবং পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় শটগানের ৩২৪ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছিল। গ্যাস সেল ১৩৩টি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয় ১৬টি। এছাড়াও ব্যবহার হয়েছে চায়নিজ রাইফেল ও এসএমজির গুলি।

পল্টন থানায় যে হত্যা মামলা হয়েছে, সেখানে পল্টনসহ আশপাশের এলাকায় সংঘর্ঘের কথা বলা হয়েছে। এসব সংঘর্ষকালে প্রায় ২৩ রাউন্ড গ্যাস শেল ছোড়া হয়। দুটি সাউন্ড গ্রেনেড এবং প্রায় ১৭৬ রাউন্ড শটগানের গুলি বিক্ষোভ দমনে ব্যবহার করা হয়।

মামলায় বলা হয়েছে, বিক্ষোভ বা নাশকতা রোধে এসব গোলাবারুদ ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এসবের পেছনে কত খরচ হয়েছে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

পুলিশের অস্ত্র সরবরাহকারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, প্রতিটি রাবার বুলেটের দাম ১২০ থেকে দেড়শ টাকা, টিয়ারগ্যাস প্রতিটি শেল দেড়শ থেকে ২০০ টাকা, সাউন্ড গ্রেনেড মানভেদে প্রতিটি দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা হয়।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
Situs Toto
toto togel
slot toto
Toto slot gacor
bacan4d
totoslotgacor
bacan4d
bacan4d slot gacor
bacan4d login
Bacan4d
bacan4d
bacan4d bonus
Toto gacor
Toto gacor
slot gacor hari ini
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d link alternatif
slot gacor bett 200
situs toto
SITUS TOTO
toto 4d
toto gacor
Slot Toto
Slot Toto
Slot Toto
Situs toto
Slot toto
Slot Dana
Slot Dana
Judi Bola
Judi Bola
Slot Gacor
toto slot
bacan4d toto
bacan4d akun demo slot
bacantogel
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacantoto
bacan4d
Bacan4d Login
slot demo
Bacan4d Toto
toto gacor
Slot Gacor
Live Draw
Live Draw Hk
toto slot
Bacan4d slot gacor
toto macau
toto slot
Toto Gacor
slot dana
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
Slot Dp Pulsa
Bacan4d Login
toto slot
Bacansports/a>
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
slot gacor
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
slot demo
toto slot gacor
bacansports Slot toto toto slot Slot toto Slot dana Slot toto slot maxwin slot maxwin toto slot toto slot slot dana
Toto Bola
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
bacan4d
ts77casino
situs toto
slot pulsa
bacansports
situs toto
slot toto
situs toto
slot toto
situs toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansports
slot toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
situs toto
situs toto
xx1toto
toto slot
xx1toto
xx1toto
slot qriss
Slot Toto
slot dana
situs toto
slot toto
slot dana
Situs Toto Slot Gacor
xx1toto
xx1toto
bacan4d
xx1toto
xx1toto
toto slot
situs toto slot gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
situs toto
Slot Toto
Toto Slot
Slot Gacor
Slot Gacor
Slot Gacor
slot toto
Toto Slot
slot gacor
situs togel
Toto Slot
bacan4d
bacan4d